অমন করেই তিনি ভালোবাসতেন নবীজীকে!
আল্লাহকে ভালোবাসতে হলে আগে ভালোবাসতে হবে নবীজীকে। নিজের পরিবারের চেয়ে বেশি। এমন কি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি। সবচে’ বেশি। নবীজী যা করতে বলেছেন তা যদি তুমি করতে পারো এবং যা তিনি ছাড়তে বলেছেন তা ছাড়তে পারো, তাহলেই তুমি তাঁকে ভালোবাসলে। এ ভালোবাসা মুখে মুখে হয় না, সুন্নতের উপর আমল করে প্রমাণ করতে হয়। নবীজীর সুন্নত ও আদর্শকে ভালোবাসলেই নবীজীকে ভালোবাসা হয়।
হযরত উমরের জীবন থেকে একটা দৃষ্টান্ত দিই।
কা‘বা তাওয়াফ করছেন হযরত উমর রা.। এক পর্যায়ে কাছে গেলেন হাজরে আসওয়াদের—কালো পাথরের। আবেগভরে ছুঁইলেন। গভীর করে চুমু খেলেন। তারপর বললেন—
"وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لاَ تَضُرُّ وَلا تَنْفَعُ ، وَلَوْلا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ".
‘আল্লাহর কসম! তুমি শুধুই একটা পাথর! না-করতে পারো কারো ক্ষতি, না কোনো উপকার! তোমাকে কেনো চুমু খাচ্ছি, জানো! শুধু নবীজীকে চুমু খেতে দেখেছি বলে!’
কী পেলাম আমরা এখানে? নবীজীর প্রতি হযরত উমর রা.-এর ভালোবাসা ছিলো সীমাহীন! কালো পাথরের প্রতি এই-যে তাঁর ভক্তি ও সম্মান— সে শুধুই এ জন্যে যে, তা নবীজীর ছোঁয়া পেয়ে ধন্য হয়েছে! নবীজীর পরশে সোনা হয়েছে! নইলে এ জড় পদার্থ—পাথরের গায়ে তিনি কক্খনো চুমু খেতেন না।
হযরত উম রা.-যে নবীজীকে সবচে’ বেশি ভালোবাসতেন তার আরেকটা দৃষ্টান্ত দিই।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রিয় সাহাবী উমরের হাত ধরে আছেন। নবীজীর হাতের মিষ্টি স্পর্শে হযরত উমরের মনে ‘নবীপ্রেম’-এর ঝরনা বয়ে যেতে লাগলো! উমর চুপ থাকতে পারলেন না। তাঁর সবকিছু যেনো একসঙ্গে কথা বলে উঠতে চাইছে। সবাই যেনো বলতে চাইছে— হে নবী! আমি তোমাকে ভালোবাসি! হে রাসূল! আমিও তোমাকে ভালোবাসি! সবচে’ বেশি ভালোবাসি! সবার সুরে সুর মিলিয়ে হযরত উমরও তখন বলে উঠলেন—
وَاللَّهِ لأَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ إِلاَّ نَفْسِي ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : لاَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ، حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنْ نَفْسِكِ ، فَقَالَ عُمَرُ : فَأَنْتَ الآنَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ نَفْسِي ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : الآنَ يَا عُمَرُ.
‘আল্লাহর কসম হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার কাছে সবচে’ প্রিয়— তবে আমার নিজের জীবনের চেয়ে নয়! তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘না! যার হাতে আমার জীবন, তার নামে শপথ করে বলছি, (তোমার ঈমান তাহলে পূর্ণ হয় নি! হবেও না,) যতোক্ষণ তোমার জীবনের চেয়েও বেশি প্রিয় না-হবো!’ উমর তখন বলে উঠলেন: ‘এখন আপনি আমার জীবনের চেয়েও আমার কাছে বেশি প্রিয়!’ নবীজী বললেন: ‘উমর! এখন (তোমার ঈমান পূর্ণ) হয়েছে!’
আহা! কী অকপটে .. কী নির্দ্বিধায় .. কী তাড়াতাড়ি নিজের জীবনটাকে নবীপ্রেমে হযরত উমর উৎসর্গ করে দিলেন! তিনি যেনো স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন— হে প্রিয় রাসূল! আপনিই তো আমাকে দিয়েছেন আলোর পথের সন্ধান! টেনে এনেছেন ইসলামের সুমীতল ছায়ায়! মায়া করে বসতে দিয়েছেন আপনার সান্নিধ্যে! নইলে আমি উমর কে? ইসলাম বিরোধিতায় কেটেছে আমার কতো বেলা! এভাবে বেলা যেতে যেতে হয়তো জীবনের সূর্যটাই এক সময় ডুবে যেতো! ডুবে যেতো গভীর অন্ধকারে! এমন অন্ধকারে, যেখানে কোনো আলো নেই! সুতরাং আমার এ-জীবন আপনারই দান! আপনার অনুগ্রহেই লাভ করেছি! আপনি না হলে কোথায় পেতাম আমি— আলোর জীবন .. নূরের জীবন! আপনার সান্নিধ্যে বসে বসে মণি-মুক্তো-হীরে-পান্না কুড়ানোর জীবন! তাহলে কেনো আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না এ জীবনের চেয়ে বেশি? অবশ্যই পারবো!
আল্লাহকে ভালোবাসতে হলে আগে ভালোবাসতে হবে নবীজীকে। নিজের পরিবারের চেয়ে বেশি। এমন কি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি। সবচে’ বেশি। নবীজী যা করতে বলেছেন তা যদি তুমি করতে পারো এবং যা তিনি ছাড়তে বলেছেন তা ছাড়তে পারো, তাহলেই তুমি তাঁকে ভালোবাসলে। এ ভালোবাসা মুখে মুখে হয় না, সুন্নতের উপর আমল করে প্রমাণ করতে হয়। নবীজীর সুন্নত ও আদর্শকে ভালোবাসলেই নবীজীকে ভালোবাসা হয়।
হযরত উমরের জীবন থেকে একটা দৃষ্টান্ত দিই।
কা‘বা তাওয়াফ করছেন হযরত উমর রা.। এক পর্যায়ে কাছে গেলেন হাজরে আসওয়াদের—কালো পাথরের। আবেগভরে ছুঁইলেন। গভীর করে চুমু খেলেন। তারপর বললেন—
"وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لاَ تَضُرُّ وَلا تَنْفَعُ ، وَلَوْلا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ".
‘আল্লাহর কসম! তুমি শুধুই একটা পাথর! না-করতে পারো কারো ক্ষতি, না কোনো উপকার! তোমাকে কেনো চুমু খাচ্ছি, জানো! শুধু নবীজীকে চুমু খেতে দেখেছি বলে!’
কী পেলাম আমরা এখানে? নবীজীর প্রতি হযরত উমর রা.-এর ভালোবাসা ছিলো সীমাহীন! কালো পাথরের প্রতি এই-যে তাঁর ভক্তি ও সম্মান— সে শুধুই এ জন্যে যে, তা নবীজীর ছোঁয়া পেয়ে ধন্য হয়েছে! নবীজীর পরশে সোনা হয়েছে! নইলে এ জড় পদার্থ—পাথরের গায়ে তিনি কক্খনো চুমু খেতেন না।
হযরত উম রা.-যে নবীজীকে সবচে’ বেশি ভালোবাসতেন তার আরেকটা দৃষ্টান্ত দিই।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রিয় সাহাবী উমরের হাত ধরে আছেন। নবীজীর হাতের মিষ্টি স্পর্শে হযরত উমরের মনে ‘নবীপ্রেম’-এর ঝরনা বয়ে যেতে লাগলো! উমর চুপ থাকতে পারলেন না। তাঁর সবকিছু যেনো একসঙ্গে কথা বলে উঠতে চাইছে। সবাই যেনো বলতে চাইছে— হে নবী! আমি তোমাকে ভালোবাসি! হে রাসূল! আমিও তোমাকে ভালোবাসি! সবচে’ বেশি ভালোবাসি! সবার সুরে সুর মিলিয়ে হযরত উমরও তখন বলে উঠলেন—
وَاللَّهِ لأَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ إِلاَّ نَفْسِي ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : لاَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ، حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنْ نَفْسِكِ ، فَقَالَ عُمَرُ : فَأَنْتَ الآنَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ نَفْسِي ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : الآنَ يَا عُمَرُ.
‘আল্লাহর কসম হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার কাছে সবচে’ প্রিয়— তবে আমার নিজের জীবনের চেয়ে নয়! তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘না! যার হাতে আমার জীবন, তার নামে শপথ করে বলছি, (তোমার ঈমান তাহলে পূর্ণ হয় নি! হবেও না,) যতোক্ষণ তোমার জীবনের চেয়েও বেশি প্রিয় না-হবো!’ উমর তখন বলে উঠলেন: ‘এখন আপনি আমার জীবনের চেয়েও আমার কাছে বেশি প্রিয়!’ নবীজী বললেন: ‘উমর! এখন (তোমার ঈমান পূর্ণ) হয়েছে!’
আহা! কী অকপটে .. কী নির্দ্বিধায় .. কী তাড়াতাড়ি নিজের জীবনটাকে নবীপ্রেমে হযরত উমর উৎসর্গ করে দিলেন! তিনি যেনো স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন— হে প্রিয় রাসূল! আপনিই তো আমাকে দিয়েছেন আলোর পথের সন্ধান! টেনে এনেছেন ইসলামের সুমীতল ছায়ায়! মায়া করে বসতে দিয়েছেন আপনার সান্নিধ্যে! নইলে আমি উমর কে? ইসলাম বিরোধিতায় কেটেছে আমার কতো বেলা! এভাবে বেলা যেতে যেতে হয়তো জীবনের সূর্যটাই এক সময় ডুবে যেতো! ডুবে যেতো গভীর অন্ধকারে! এমন অন্ধকারে, যেখানে কোনো আলো নেই! সুতরাং আমার এ-জীবন আপনারই দান! আপনার অনুগ্রহেই লাভ করেছি! আপনি না হলে কোথায় পেতাম আমি— আলোর জীবন .. নূরের জীবন! আপনার সান্নিধ্যে বসে বসে মণি-মুক্তো-হীরে-পান্না কুড়ানোর জীবন! তাহলে কেনো আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না এ জীবনের চেয়ে বেশি? অবশ্যই পারবো!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন