একটি জরুরী অপারেশনের জন্য তাড়াহুড়ো করে এক ডাক্তারকে হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হল। সে দ্রুত গতিতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলো। হাসপাতালে ঢুঁকেই সে দেখল রোগীর (একটি ছোট্ট ছেলে) বাবা ওখানে পায়চারি করছে ডাক্তারের অপেক্ষায়, ডাক্তারকে দেখামাত্র লোকটি চেঁচিয়ে উঠলঃ “আপনার আসতে এত দেরি লাগে ? দায়িত্ববোধ বলতে কিছু আছে আপনার? আপনি জানেন আমার ছেলে এখানে কতটা শোচনীয় অবস্থায় আছে ?”
ডাক্তার তেমন কিছু না বলে শুধু বলল- “আমি দুঃখিত, আমি হাসপাতালে ছিলাম না, বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এলাম, তাই খানিকটা দেরি হল, এখন আপনি যদি একটু শান্ত হন, তবে আমি আমার কাজটা শুরু করতে পারি।” লোকটি এবার যেন আরও রেগে গেলো, ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল- “ঠাণ্ডা হব ? আজ যদি এখানে আপনার সন্তান এভাবে জীবন-মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতো, তাহলে আপনি কি করতেন ? শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারতেন?”
ডাক্তার আবার বললেনঃ “ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবন দিতে পারে না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করুন।”
লোকটি পুনরায় রাগত স্বরে বলল- “যখন কারো টেনশন না থাকে তখন উপদেশ দেয়া সহজ।” এরপর ডাক্তার সাহেব অপারেশনের রুমে চলে গেলো। ২ ঘণ্টার মত লাগলো, শেষে হাসি মুখে ডাক্তার হাসি মুখে বের হয়ে এলেন,”আলহামদুলিল্লাহ, অপারেশন সফল হয়েছে।” এরপর লোকটির উত্তরের অপেক্ষা না করেই ডাক্তার আবার বলে উঠলেন- “আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে নার্সকে জিজ্ঞেস করুন, এই বলে তিনি চলে গেলেন।” এরপর লোকটি নার্সকে বললেন- “ডাক্তার এত ভাব নেন কেন? তিনি কি আর কিছুক্ষণ এখানে দাঁড়াতে পারতেন না? যাতে আমি ওনাকে আমার সন্তানের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করতাম।” নার্স কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন আর জানালেন- “ডাক্তার সাহেবের ছেলে আজ সকালে মারা গেছেন রোড এক্সিডেন্টে। তিনি আপনার ফোন পেয়ে ওনার ছেলের জানাজা পড়ে দ্রুত চলে এসেছেন। এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন- উনার সন্তানকে দাফন করতে।
শিক্ষা: একজন মানুষকে তার বাইরের আচার-আচরণ দেখে সর্বদা যাচাই করা ঠিক না। কারণ আমরা হয়তো জানতে পারছি না প্রকৃতপক্ষে তিনি কেমন পরিস্থিতিতে আছেন। মহান আল্লাহ্ তা’আলা সবাইকে সুন্দর জীবন দান এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন- আমীন।
ডাক্তার তেমন কিছু না বলে শুধু বলল- “আমি দুঃখিত, আমি হাসপাতালে ছিলাম না, বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এলাম, তাই খানিকটা দেরি হল, এখন আপনি যদি একটু শান্ত হন, তবে আমি আমার কাজটা শুরু করতে পারি।” লোকটি এবার যেন আরও রেগে গেলো, ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল- “ঠাণ্ডা হব ? আজ যদি এখানে আপনার সন্তান এভাবে জীবন-মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতো, তাহলে আপনি কি করতেন ? শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারতেন?”
ডাক্তার আবার বললেনঃ “ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবন দিতে পারে না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করুন।”
লোকটি পুনরায় রাগত স্বরে বলল- “যখন কারো টেনশন না থাকে তখন উপদেশ দেয়া সহজ।” এরপর ডাক্তার সাহেব অপারেশনের রুমে চলে গেলো। ২ ঘণ্টার মত লাগলো, শেষে হাসি মুখে ডাক্তার হাসি মুখে বের হয়ে এলেন,”আলহামদুলিল্লাহ, অপারেশন সফল হয়েছে।” এরপর লোকটির উত্তরের অপেক্ষা না করেই ডাক্তার আবার বলে উঠলেন- “আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে নার্সকে জিজ্ঞেস করুন, এই বলে তিনি চলে গেলেন।” এরপর লোকটি নার্সকে বললেন- “ডাক্তার এত ভাব নেন কেন? তিনি কি আর কিছুক্ষণ এখানে দাঁড়াতে পারতেন না? যাতে আমি ওনাকে আমার সন্তানের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করতাম।” নার্স কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন আর জানালেন- “ডাক্তার সাহেবের ছেলে আজ সকালে মারা গেছেন রোড এক্সিডেন্টে। তিনি আপনার ফোন পেয়ে ওনার ছেলের জানাজা পড়ে দ্রুত চলে এসেছেন। এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন- উনার সন্তানকে দাফন করতে।
শিক্ষা: একজন মানুষকে তার বাইরের আচার-আচরণ দেখে সর্বদা যাচাই করা ঠিক না। কারণ আমরা হয়তো জানতে পারছি না প্রকৃতপক্ষে তিনি কেমন পরিস্থিতিতে আছেন। মহান আল্লাহ্ তা’আলা সবাইকে সুন্দর জীবন দান এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন- আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন