শনিবার, ১১ জুলাই, ২০১৫

সুফিয়ান আস সাওরি (রঃ) এর উদ্ধৃতি

নিয়্যাতের চেয়ে অন্য কোন কিছুর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা আমার কাছে বেশি কঠিন মনে হয়নি, কেননা নিয়্যাত তো সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে।”
— ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
[জামি’ ‘উলুম, পৃ ১৬]


জ্ঞান অর্জন করো। যখন তুমি জ্ঞানার্জন করবে, তখন তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখ এবং তাকে পালাতে দিয়ো না। হাসিঠাট্টা আর খেলার সাথে জ্ঞানকে মিশ্রিত করো না; নইলে তোমার হৃদয় তার ভেতর থেকে তোমার অর্জিত জ্ঞানকে উগড়ে ফেলে দেবে।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
[বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি, পৃ ১৫২]


তিনটি গুণাবলী সবরের (ধৈর্য) অন্তর্ভুক্ত: নিজের দুর্দশার ব্যাপারে কথা না বলা, নিজের কষ্ট (সম্পর্কে কথা না বলা) এবং নিজের প্রশংসা না করা।”
— ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি
[আল-হিলইয়াহ, ৬/৩৮৯]


“তাঁকে (অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) অনুসরণ করাই হলো তাকে ভালোবাসা।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
[ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটি ফেসবুক পেইজ, ১৪/০১/১৪]


“কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত।”
— ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি [মৃত্যু ১৬১ হিজরি/৭৭৮ ঈসায়ী]
[বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ্দিন ইবন আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃ 


“নেতৃত্বের পদটি ছেড়ে দেয়া এই দুনিয়াকে (এবং তার আনন্দগুলোকে) ছেড়ে দেয়ার চেয়েও বেশি কঠিন।”
— ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
[বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ্দিন ইবন আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃ ৯২]


ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরিকে একবার আল্লাহর কুরআনের বাণী, “মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, “দুর্বল বলতে কী বুঝানো হয়েছে?”
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “কোন পুরুষের পাশ দিয়ে একজন নারী গেলে সে নারীটির দিকে তাকানো থেকে নিজেকে সামলাতে পারে না এবং এতে (নারীটির দিকে তাকানোর মাঝে) তার কোনই উপকার নেই। এর চেয়ে বেশি দুর্বল আর কোন কিছু আছে কি?”
[হিলইয়াহ আল-আউলিয়া, ৭/৬৮]



ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ) একটি চিঠিতে লিখেছিলেন:
“তোমার ব্যক্তিগত ও গোপন জীবনকে উন্নত করো, আল্লাহ তোমার সামাজিক ও প্রকাশ্য জীবনে উন্নতি দান করবেন। তোমার এবং আল্লাহর মধ্যকার বিষয়গুলোকে ভালো করো, আল্লাহ তোমার সাথে মানুষের মধ্যকার বিষয়গুলোকে ভালো করবেন। আখিরাতের জন্য পরিশ্রম করো, আল্লাহ তোমার পার্থিব বিষয়গুলোর জন্য যথেষ্ট হবেন।”
[বায়োগ্রাফি অফ ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ-দিন ইবনে আলি আবদুল মাউজুদ]


“কখনো কখনো কোন মানুষ আমার কাছে এসে এমন হাদিস বর্ণনা করে যা আমি তার মা তাকে জন্ম দেওয়ার আগে থেকে জানি। তবুও উত্তম আচরণ হিসেবে সে যা বলে তা আমি শুনি (যেন আমি আগে তা শুনিনি)।”
— ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
[তারিখ দিমাশক, ৫/৬৬]


“যে ব্যক্তি ভালোবাসে লোকে তার মতামত জানার জন্য তাকে প্রশ্ন করুক, সে মতামত জানতে চাওয়ার যোগ্য কোন ব্যক্তি নয়।”
— ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
[সিয়ার আ’লাম আন-নুবালা, ৮/৪৬৯]


“তোমরা কি আমাকে দারিদ্রতার কথা ভাবিয়ে ভয় দেখাতে চেষ্টা করছ যখন যে একমাত্র বিষয় সুফিয়ান ভয় করে তা হলো এই দুনিয়ার সম্পদ তার উপরে ঢেলে দেয়া হবে!”
— ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি [মৃত্যু, ১৬১ হিজরী, ৭৭৮ ঈসায়ী]
[বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি, সালাহউদ-দ্বীন ইবনে আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃষ্ঠা ৯০]


“মানুষকে তার করা (ভালো) কাজগুলোর অনুপাতে ভালোবাসো। যখন তোমাকে কোন ভালো কাজ করার জন্য আহবান করা হয় তখন বিনয়ী এবং নমনীয় হও এবং যখন কোন পাপকাজ করতে ডাকা হয় তখন কঠোর এবং বেপরোয়া হও।”
— ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন