মানুষের যেমন শারিরীক ব্যাধি আছে তেমনি আত্মারও ব্যাধি আছে। কুদৃষ্টি, অহেতুক প্রেমপ্রীতি, অহংকার, গোস্বা, হিংসা ইত্যাদি রূহানী রোগের অন্তর্ভুক্ত। এসব রোগের বৈশিষ্ট্য হলো এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে কখনও রোগী মনে করে না এবং নিজের ভুলকে ভুল বলে স্বীকারই করে না। বরং নিজেকে একজন সুস্থ, সবল মানুষ মনে করে। নিয়মিত সিনেমা দেখার বদভ্যাসও এক ধরনের রূহানী ব্যাধি। এতে অন্তরাত্মার পবিত্রতা ক্ষয় হতে হতে একসময় শূণ্যের কোঠায় এসে দাঁড়ায়। যার পরিনাম সাধারণ রোগের তুলনায় অনেক বেশি ভয়ংকর।
সিনেমা দেখার আরেকটি অপুরণীয় ক্ষতিকর দিক হল নির্লজ্জতা এ পর্দাহীনতার প্রসার। সমাজে নারীঘটিত কেলেঙ্কারীজনক দূর্ঘটনার প্রায় সব ক'টি এই একটি কারণেই ঘটে থাকে। এতে যে শুধু সমাজে বিপর্যয় নেমে আসে তা নয় বরং মুসলিম নারীরা আল্লাহ তায়ালার পর্দাপ্রথা সম্পর্কিত একটি নির্দেশ অমান্য করার দায়ে হারামের অথৈ সাগরে ডুবে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বলাবাহুল্য, যারা পবিত্র কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন দারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, ইসলামে পর্দাকে কি অসামান্য গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-- ' হে নবী! আপনি আপনারর স্ত্রী, কন্যা এবং মুমিনদের নারীদের বলে দিন যেন তারা তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'
(সূরা আহযাব, আয়াত ৫৯)
কুরআনে কারীমের সকল মুফাসসির সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায় নারীদের চেহারাও পর্দার হুকুমের আওতাভুক্ত। অথচ জঘন্য হলেও সদ্য যে, এ আদেশ অমান্য করে শুধু চেহারা নয় প্রায় সর্বাঙ্গ উন্মোক্ত করেই বর্তমানে নারীরা সিনেমা হলসহ অণ্যান্য স্থানে পুরুষের সাথে একান্তে মিলিত হচ্ছে। ফলে সমাজের অবস্হা অাজ যাচ্ছেতাই। এহেন পরিস্থিতিতে সমাজকর্তা ও অভিভাবকদের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে সমাজকে পতনের হাত থেকে কিছুতেই রক্ষা করা যাবে না। অনেক সময় এমনও হয় যে, মহিলারা সিনেমা দেখে গভীর রাতে ঘরে ফেরার পথে দুবৃত্তের হাতে পড়ে ইজ্জত-সম্ভ্রমের মত দৌলতও খুইয়ে বসে। কোন কোনন সময় জীবনও দিতে হয়। এসব কারণে পারিবারিক দুর্নাম সৃষ্টি হয় এবং বংশগত ঐতিয্য ভূলুণ্ঠিত হয়। এমনকি উক্ত মহিলার সাথে কোন পুরুষ সঙ্গী থাকলে তার জীবনও আক্রমনকারীদেন হাতে বিপন্ন হয়ে যায়। অথচ এভাবে সিনেমা দেখার বদরুসম চালু না থাকলে আমাদের সমাজে এ অভিশাপ নেমে আসতো না। একটু ভেবে দেখলেই আমরা উপলদ্ধি করতে পারবো যে, এক সিনেমার কারণে আমাদেরকে দৈনন্দিন জীবনে কত বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, সমাজ দেহে সৃষ্টি হয় কত জঘন্য ক্ষত চিহ্ন।প্রথমত রূহানী রোগের প্রাদুর্ভাব অতঃপর ক্রমে ঘটতে শুরু হয় বেপর্দা, সম্ভ্রমহানি, প্রাণহানির মত ভয়াবহ দূর্ঘটনাসমূহ।
সিনেমা দেখার আরেকটি অপুরণীয় ক্ষতিকর দিক হল নির্লজ্জতা এ পর্দাহীনতার প্রসার। সমাজে নারীঘটিত কেলেঙ্কারীজনক দূর্ঘটনার প্রায় সব ক'টি এই একটি কারণেই ঘটে থাকে। এতে যে শুধু সমাজে বিপর্যয় নেমে আসে তা নয় বরং মুসলিম নারীরা আল্লাহ তায়ালার পর্দাপ্রথা সম্পর্কিত একটি নির্দেশ অমান্য করার দায়ে হারামের অথৈ সাগরে ডুবে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বলাবাহুল্য, যারা পবিত্র কুরআন ও হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন দারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, ইসলামে পর্দাকে কি অসামান্য গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-- ' হে নবী! আপনি আপনারর স্ত্রী, কন্যা এবং মুমিনদের নারীদের বলে দিন যেন তারা তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'
(সূরা আহযাব, আয়াত ৫৯)
কুরআনে কারীমের সকল মুফাসসির সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায় নারীদের চেহারাও পর্দার হুকুমের আওতাভুক্ত। অথচ জঘন্য হলেও সদ্য যে, এ আদেশ অমান্য করে শুধু চেহারা নয় প্রায় সর্বাঙ্গ উন্মোক্ত করেই বর্তমানে নারীরা সিনেমা হলসহ অণ্যান্য স্থানে পুরুষের সাথে একান্তে মিলিত হচ্ছে। ফলে সমাজের অবস্হা অাজ যাচ্ছেতাই। এহেন পরিস্থিতিতে সমাজকর্তা ও অভিভাবকদের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে সমাজকে পতনের হাত থেকে কিছুতেই রক্ষা করা যাবে না। অনেক সময় এমনও হয় যে, মহিলারা সিনেমা দেখে গভীর রাতে ঘরে ফেরার পথে দুবৃত্তের হাতে পড়ে ইজ্জত-সম্ভ্রমের মত দৌলতও খুইয়ে বসে। কোন কোনন সময় জীবনও দিতে হয়। এসব কারণে পারিবারিক দুর্নাম সৃষ্টি হয় এবং বংশগত ঐতিয্য ভূলুণ্ঠিত হয়। এমনকি উক্ত মহিলার সাথে কোন পুরুষ সঙ্গী থাকলে তার জীবনও আক্রমনকারীদেন হাতে বিপন্ন হয়ে যায়। অথচ এভাবে সিনেমা দেখার বদরুসম চালু না থাকলে আমাদের সমাজে এ অভিশাপ নেমে আসতো না। একটু ভেবে দেখলেই আমরা উপলদ্ধি করতে পারবো যে, এক সিনেমার কারণে আমাদেরকে দৈনন্দিন জীবনে কত বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, সমাজ দেহে সৃষ্টি হয় কত জঘন্য ক্ষত চিহ্ন।প্রথমত রূহানী রোগের প্রাদুর্ভাব অতঃপর ক্রমে ঘটতে শুরু হয় বেপর্দা, সম্ভ্রমহানি, প্রাণহানির মত ভয়াবহ দূর্ঘটনাসমূহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন