শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

নাগরিকের একাংশ প্রায় বিনামূল্য শিক্ষা নিবে,










নাগরিকের একাংশ প্রায় বিনামূল্য শিক্ষা নিবে, ভর্তুকি পাবে, আর আরেক অংশ উচ্চ মুল্যে শিক্ষা নিবে আবার সেই উচ্চ মুল্যের উপর ভ্যাট দিবে। বোঝার উপর শাকের আটি!!
তাই এই ভ্যাট আরোপ নাগরিকের এই অংশের উপর অপমান স্বরুপ, তুচ্ছতাচ্ছিল্য স্বরুপ। ছোট করা হয়েছে তাদের। আত্নসম্মানে আঘাত স্বরুপ। একই রাষ্ট্রের একই মৌলিক অধিকারে ২ টা অংশের জন্য দুই রকম আচরন কিছুতেই গ্রহনযোগ্য নয়। মেনে নেয়া যায়না। একই রাষ্ট্রের নাগরিক একই খাতে দুই রকম ভাবে সংজ্ঞ্যায়িত হতে পারে না।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী সাহেব, 
এই কথাটাও সত্যি সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়েও এখানে অনেকে লেখা পড়া করছে। অন্তত ১ লাখ ছাত্র-ছাত্রী সামর্থ্যের সীমা অতিক্রম করে লেখা পড়া করছে। টিউশান ফি দিতে গিয়ে অনেক পরিবারেই ঈদের জামা কেনেনা। নিজেদের চিকিৎসা করায় না। অনেক পরিবারেই সাধ পুরনে অর্থ খরচ বন্ধ। সাধ আল্লাদ সন্তানের গ্রাজুয়েশনের পরে হবে বলে তুলে রেখেছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী সাহেব, আপনি যদি দেখতেন, পরীক্ষার আগে এই অসামর্থ্যকে সামর্থে রুপ দেয়ার চেষ্টা রত পরিবারের ছেলেমেয়েদের বকেয়া টাকা জমা দিতে গিয়ে হিমশিম খাওয়া, তাদের আকাশ ভাংগা দুশ্চিন্তারত মুখ আর ভার্সিটির অফিসে ওর অফিসে ছুটোছুটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে পরীক্ষা দেবার জন্য, কখনো কখনো তাদের পিতা মাতার কান্না আর অপমান আর গঞ্জনায় লজ্জ্বাবরত মুখ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আকুতি মিনতি, "স্যার ছেলে/মেয়েটাকে পরীক্ষায় প্লিজ বসতে দিন, ফাইনালের আগে বা সামনের মাসে বাকি টাকা দিয়ে দিবো" এই কথা বলতে বলতে মাটিতে মিশে যাওয়া। তাহলে আজ টাকা তুলে কথাটা বলতেন না।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী,
আপনি আমার পিতা হন, আর শুধুমাত্র বেতনে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সংসার চালান, আমি আপনাকে টিউশান ফি দেয়ার সময় বৃদ্ধির জন্য অনুনয় বিনয় করতে গিয়ে লজ্জায় অপমানে মাটিতে মিশে যেতে দেখতে চাই। তাহলে আপনার বলা ৩০ হাজার ৫০ হাজার টাকা বেতন দিতে পারে ৭.৫% ভ্যাট দিতে পারবেনা এই কথার মর্ম আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন।
[ মধ্যবিত্ত ঘরের হতভাগা ছাত্র সমাজ ]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন