বর্তমানে ছোট বড় প্রায় সবশহরেই সিনেমা হল বা চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ গড়ে উঠেছে বা উঠছে। প্রতিদিন যেখানে লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ তথা বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ একাকী বা সবান্ধব কিংবা বান্ধবী নিয়ে সিনেমার দর্শক হিসেবে হাজির হচ্ছে পঙ্গপালের মত। সম্প্রতি নির্মিত হলগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত করলেই আমাদের বোধগম্য হবে যে, এ শয়তানী কাজটি বাস্তবায়নের জন্য মানুষ কিভাবে পানির মত অর্থ ব্যয় করে চলছে এবং কত অর্থ ব্যয় করে প্রেক্ষাগৃহের এ সুরম্য অট্টালিকাসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বোপরি চলচিত্র উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান এফ,ডি,সি, এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তথা ছবি নির্মাতা,প্রযোজক,পরিবেশক,পরিচালক,অভিনেতা,অভিনেত্রী,নৃত্যশিল্পী,ক্যামেরাম্যান প্রভৃতি লোকদের ভাতা এবং এদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ তথা একটি ছবি নির্মাণে দেশের অর্থনীতিরর শতকরা কতভাগ ব্যয় হয় এবং ব্যয়ের এ বিরাট অংশটি দেশ ও জাতির চরিত্রগত উন্নতির খাতে ব্যয় হচ্ছে কিনা দেশের নীতি নির্ধারকগন এসব নিয়ে ভাবেন কি কোনদিন? অথচ পবিত্র কুরআন ও হাদীসে অর্থ ব্যয় সম্পর্কে স্পষ্ট বিধান রয়েছে। অন্যায় ও চরিত্রহরনমূলক খাতে ব্যয় করাকে নিরুৎসাহিত করে কঠোর নিষেধাজ্ঞাও জারী করা হয়েছে।
সিনেমা দেখার বদভ্যাস যে আমাদেন দেশে কত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে এ আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এ শয়তানি জালটি বর্তমানে এতো বিস্তার লাভ করেছে যে, প্রতি ঘরে ঘরে পৌছে গেছে এর অশুভ বিচরণ। খুব কম পরিবারই এমন আছে যারা এখনো এই আবর্জনা থেকে মুক্ত এবং সিনেমা, টিভি বা ডিশএন্টিনা দ্বারা ঘরতে অপবিত্র করেনি। অতন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যারা এ শয়তানি কর্মের সাথে নিজেদের জড়ায়নি তাদেরও এর পাপ থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ মিনেমার প্রচারভিযানের নির্লজ্জ দৌরাত্ম্য যেমনঃ উলঙ্গ, অর্ধোলঙ্গ ও যৌন আবেদনমূলক পোষ্টার, ব্যানার, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, আকর্ষণীয় পদ্ধতি অবলম্বনে গাড়ি সাজিয়ে মাইকিং করা ইদ্যাদির কবল ধেকে কোন নাগরিকই মুক্ত এবং নিরাপদ নয়। মোটকথা সিনেমা এখন ব্যাপক মুসিবতের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
কিন্তু পরিতাপের সাথে বলতে হচ্ছে যে, 'সিনেমা' এত শত মন্দতার বাহক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সমাজে অনেক লোকই এমন আছে যারা একে মন্দ কাজ এবং অপরাধ বলে মনো করে না। বরং সিনেমাভক্তরা বলে, এর দ্বারা চিত্তবিনোদন ও আত্মিক তৃপ্তি লাভ করা যায় এবং বিভিন্নমুখী জ্ঞানও অর্জিত হয়!
হায় আমাদেন আকল! জানি না কিভাবে এমন মারাত্মক কথা আমাদের মুখ দিয়ে নিসৃত হয়। অভিশপ্ত শয়তান আমাদের দেমাগের কি বিকৃতি সাধন করেছে। হে আল্লাহ! আমাদেরকে শুভবুদ্ধি দান করুন।
মূলতঃ শয়তান সর্বদা মানুষের সামনে মন্দ কাজকে অতি সুশোভিদ করে তুলে ধরে; ফলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে ভালকে মন্দ আর মন্দকে ভাল বলে মনে হয়। পরিনামে মানুষ সিরাতে মুস্তাকিম বা সঠিক ও সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়। মন্দকাজে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে থাকে এবং আল্লাহর হুকুম তথা নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি নেক কাজে কোন তৃপ্তি অনুভূত হয় না। বরং খুবই বেরস লাগে। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
"আর শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের নিকট সুশোভিত করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে নিবৃত্ত করেছে; ফলে তারা সৎপথ পায় না।"
সিনেমা দেখার বদভ্যাস যে আমাদেন দেশে কত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে এ আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এ শয়তানি জালটি বর্তমানে এতো বিস্তার লাভ করেছে যে, প্রতি ঘরে ঘরে পৌছে গেছে এর অশুভ বিচরণ। খুব কম পরিবারই এমন আছে যারা এখনো এই আবর্জনা থেকে মুক্ত এবং সিনেমা, টিভি বা ডিশএন্টিনা দ্বারা ঘরতে অপবিত্র করেনি। অতন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যারা এ শয়তানি কর্মের সাথে নিজেদের জড়ায়নি তাদেরও এর পাপ থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ মিনেমার প্রচারভিযানের নির্লজ্জ দৌরাত্ম্য যেমনঃ উলঙ্গ, অর্ধোলঙ্গ ও যৌন আবেদনমূলক পোষ্টার, ব্যানার, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, আকর্ষণীয় পদ্ধতি অবলম্বনে গাড়ি সাজিয়ে মাইকিং করা ইদ্যাদির কবল ধেকে কোন নাগরিকই মুক্ত এবং নিরাপদ নয়। মোটকথা সিনেমা এখন ব্যাপক মুসিবতের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
কিন্তু পরিতাপের সাথে বলতে হচ্ছে যে, 'সিনেমা' এত শত মন্দতার বাহক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সমাজে অনেক লোকই এমন আছে যারা একে মন্দ কাজ এবং অপরাধ বলে মনো করে না। বরং সিনেমাভক্তরা বলে, এর দ্বারা চিত্তবিনোদন ও আত্মিক তৃপ্তি লাভ করা যায় এবং বিভিন্নমুখী জ্ঞানও অর্জিত হয়!
হায় আমাদেন আকল! জানি না কিভাবে এমন মারাত্মক কথা আমাদের মুখ দিয়ে নিসৃত হয়। অভিশপ্ত শয়তান আমাদের দেমাগের কি বিকৃতি সাধন করেছে। হে আল্লাহ! আমাদেরকে শুভবুদ্ধি দান করুন।
মূলতঃ শয়তান সর্বদা মানুষের সামনে মন্দ কাজকে অতি সুশোভিদ করে তুলে ধরে; ফলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে ভালকে মন্দ আর মন্দকে ভাল বলে মনে হয়। পরিনামে মানুষ সিরাতে মুস্তাকিম বা সঠিক ও সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়। মন্দকাজে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে থাকে এবং আল্লাহর হুকুম তথা নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি নেক কাজে কোন তৃপ্তি অনুভূত হয় না। বরং খুবই বেরস লাগে। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
"আর শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের নিকট সুশোভিত করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে নিবৃত্ত করেছে; ফলে তারা সৎপথ পায় না।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন