ইসহাক ফরিদী। নামটাতেই বৈচিত্র আছে। আজকাল দেশভর্তি আলিম; অত আলিম আগে ছিল না। দিন দিন আলিমের সংখ্যা বাড়ছেই, লক্ষন খারাপ নয়। তবে সাধারণ নিয়ম হলো; কোন বস্তুর ব্যপ্তি বেড়ে গেলে গভীরতা হ্রাষ পায়। বাস্তবেও তা-ই লক্ষ্য করা যায়। আগের দিনে আলিম সংখ্যায় কম ছিলেন; কিন্তু প্রায় প্রত্যেক আলিম জ্ঞানে-জ্ঞুনে , আমল- আখলাকে এবং ইলমী গভীরতায় দৃষ্টান্ত ছিলেন। মানুষ একক জন আলিম কে গণীমত মনে করতো এবং নিজেদের দ্বীনী দুনিয়াবী প্রয়োজনে তাঁদের শরণাপন্ন হতো। এখন অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। মাদরাসার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তালিবে ইলমের সংখ্যাও বেড়েছে এবং আলিমের সংখ্যাও বেড়েছে, পাশাপাশি ইলমের চাহিদাও বেড়েছে। এ বৃদ্ধির সাথে সাথে মানগত অবনতি ও নিমগ্নতাও লক্ষনীয়। ইলমের রৌনক যেমন আগের মত নেই তেমনি আমল আখলাকের চমক ও আগের মত নেই।সবই ফেকাশে হয়ে যাচ্ছে। যমানার অবনতি সব কিছুতেই অবনতির ছোঁয়া লাগিয়ে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতেও মাঝে মাঝে নজরকাড়া দৃশ্য অবলোকন করা যায়। হাজারে দু- একজন এমন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব নজরে পড়ে যাদের থেকে নজর ফেরানো যায় না।
এরা যেন “গুর্রে মুহাজ্জালীনের মত“ চাঁদ কপালের অধিকারী, যাদের দূর থেকে দেখলেও চেনা যায়।
আমি অর্ধশতাদ্বিকাল ধরে তুচ্ছ দুনিয়াটা দেখছি। দীর্ঘকালের এ চলার পথে অসংখ্যবনী
আদমের সাক্ষাত পেয়েছি। দেখেছি সাদা-কালো বহু কিছু তবে মনে দাগ কাটতে পেরেছে এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম।যারা দাগ কেটেছে তারা হৃদয়াকাশে জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। লোকে
লোকারণ্য এ ধরায় নিজেকে চেনার আগেই “ফরিদী“ রুপে যথার্ত নিজেই নিজের উপমা হয়ে অন্তর্ধান করলেন মহা জবনিকার অন্তরালে; যেখানে গেলে কেউ পূনরায় মঞ্চে ফিরে আসে না।
তিনি মঞ্চে ছিলেন। সমঝদার দর্শকদের মন জয় করে গেছেন, সত্য এটাই। দর্শকেরা হা করে তাকিয়ে দেখলো তাঁর চলে যাওয়ার দৃশ্যটা, এদৃশ্য ভুলবার নয়।
নবীন আলিম, জ্ঞানী আলিম, আমলদার আলিম, বিচক্ষন আলিম ও দূরদর্শী আলিম, অমায়িক ভদ্র আলিম, রুচিশীল আলিম, যোগ্য আলিম তিনি, আলিমের ছড়াছড়ি যেখানে সেখানে তিনি সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তাঁর স্বাতন্ত্রের মহিমায়। হিংসাও পরশ্রীকাতরাতা শূণ্য, সংকীর্ণ মন-মানসিকতার উর্ধ্বে, আলিম সুলভ উদার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন, প্রতিভাবান একজন যুবক আলিম, নবীন-প্রবীণ সবার প্রিয়, আস্থাভাজন একজন হৃদয়বান আহলেদীল, শরী‘আত ও তরীকতের উভয় ময়দানে সরল পদচারণা ছিল তাঁর, আল্লাহ কে পাওয়ার বুকভরা অদম্য প্রেরণা, যাকে সব সময় কী যেন একটা অজানা আকর্ষন আকৃষ্ট করে রাখতো। দুনিয়ার হালচাল সব বুজেও না বুঝার ভান করে মুখের মুচকি হাসি দিয়ে ঢেকে রাখতেন সব ব্যথা-বেদনা, বাদ-প্রতিবাদ ও অবুঝদের অবুঝপনাকে। আমি তাঁকে খুব কাছে থেকে দেখার মতন তেমন কোন পরিস্থিতি আসেনি; তবে মাঝে মাঝে স্বল্প সময়ের দেখা আমাকে তাঁর বৈশিষ্টগুলো উপলব্ধি করার পথে অনতরায় হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতেও মাঝে মাঝে নজরকাড়া দৃশ্য অবলোকন করা যায়। হাজারে দু- একজন এমন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব নজরে পড়ে যাদের থেকে নজর ফেরানো যায় না।
এরা যেন “গুর্রে মুহাজ্জালীনের মত“ চাঁদ কপালের অধিকারী, যাদের দূর থেকে দেখলেও চেনা যায়।
আমি অর্ধশতাদ্বিকাল ধরে তুচ্ছ দুনিয়াটা দেখছি। দীর্ঘকালের এ চলার পথে অসংখ্যবনী
আদমের সাক্ষাত পেয়েছি। দেখেছি সাদা-কালো বহু কিছু তবে মনে দাগ কাটতে পেরেছে এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম।যারা দাগ কেটেছে তারা হৃদয়াকাশে জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। লোকে
লোকারণ্য এ ধরায় নিজেকে চেনার আগেই “ফরিদী“ রুপে যথার্ত নিজেই নিজের উপমা হয়ে অন্তর্ধান করলেন মহা জবনিকার অন্তরালে; যেখানে গেলে কেউ পূনরায় মঞ্চে ফিরে আসে না।
তিনি মঞ্চে ছিলেন। সমঝদার দর্শকদের মন জয় করে গেছেন, সত্য এটাই। দর্শকেরা হা করে তাকিয়ে দেখলো তাঁর চলে যাওয়ার দৃশ্যটা, এদৃশ্য ভুলবার নয়।
নবীন আলিম, জ্ঞানী আলিম, আমলদার আলিম, বিচক্ষন আলিম ও দূরদর্শী আলিম, অমায়িক ভদ্র আলিম, রুচিশীল আলিম, যোগ্য আলিম তিনি, আলিমের ছড়াছড়ি যেখানে সেখানে তিনি সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তাঁর স্বাতন্ত্রের মহিমায়। হিংসাও পরশ্রীকাতরাতা শূণ্য, সংকীর্ণ মন-মানসিকতার উর্ধ্বে, আলিম সুলভ উদার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন, প্রতিভাবান একজন যুবক আলিম, নবীন-প্রবীণ সবার প্রিয়, আস্থাভাজন একজন হৃদয়বান আহলেদীল, শরী‘আত ও তরীকতের উভয় ময়দানে সরল পদচারণা ছিল তাঁর, আল্লাহ কে পাওয়ার বুকভরা অদম্য প্রেরণা, যাকে সব সময় কী যেন একটা অজানা আকর্ষন আকৃষ্ট করে রাখতো। দুনিয়ার হালচাল সব বুজেও না বুঝার ভান করে মুখের মুচকি হাসি দিয়ে ঢেকে রাখতেন সব ব্যথা-বেদনা, বাদ-প্রতিবাদ ও অবুঝদের অবুঝপনাকে। আমি তাঁকে খুব কাছে থেকে দেখার মতন তেমন কোন পরিস্থিতি আসেনি; তবে মাঝে মাঝে স্বল্প সময়ের দেখা আমাকে তাঁর বৈশিষ্টগুলো উপলব্ধি করার পথে অনতরায় হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন