অভিশপ্ত ইংরেজ জাতি এই উপমহাদেশে একটি মূলনীতির উপর দুইশ বছর রাজত্ব করেছে।
আর সেই মূলনীতিটি ছিল "ডিভাইড এন্ড রুল" অর্থাৎ বিভক্ত করে আর রাজত্ব করো।।এই মূলনীতিকে সামনে রেখে এই উপমহাদেশে তারা অনেক ফেরকার জন্ম দিয়েছে।এরকমই এক ফেরকার নাম হলো "আহলে হাদীস ফেরকা"।এরা প্রথমে নিজেদেরকে মুওয়াহহিদ বা তাওহীদ পন্থী বলে পরিচয় দিত।পরে তারা মুহাম্মদী নাম ধারন করে।এক সময় ভারতে তাদেরকে ওহাবী বলে গালি দেয়া হতো।উপায় অন্ত না দেথে পরিশেষে তারা তৎকালীন বৃটিশ সরকারের কাছে আহলে হাদীস নাম বরাদ্দ দেয়ার জন্য আবেদন করে।১৮৮৮ সালে সর্ব প্রথম ব্রিটিশ সরকার তাদের জন্য এই নামের বরাদ্দ দেয়।বৃটিশ সরকারের আগে এই উপমহাদেশে আহলে হাদীস নামক ফেরকার একটা মসজিদ,একটা মাদরাসা,একটা মক্তব ছিলো এর প্রমান কেউ দিতে পারবেনা।বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন, আহলে হাদীস আওর আংরেজ পৃ:৩,১৮।এর ফেরকার প্রথম মসজিদ তৈরী হয় পাঞ্জাব প্রদেশের চিনায়াঁওয়ালীতে। ঐ মসজিদের ইমাম ছিলেন আব্দুল্লাহ চাকড়ালবী।যিনি প্রথমে আহলে হাদীস ফেরকার সাথে সম্পৃক্ত হন।পরবর্তীতে তিনি হাদীস অস্বীকারকারী ফেরকা আহলে কুরআনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রতিভাত হন।উল্লেখ্য,আহলে হাদীস এমন একটি ফেরকা, যেই ফেরকার উদর থেকে বড় বড় ফেতনা জন্ম নিয়েছে।যেমন-কাদীয়ানী ফেরকার প্রতিষ্ঠাতা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী,আহলে কুরআন ফেরকার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ চাকড়ালবী,নেচারপন্থী বা প্রকৃতিবাদী ফেরকার প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমদ এরা সবাই আহলে হাদীস ফেরকার লোক ছিলেন।(আহলে হাদীস আওর আংরেজ পৃ:৩,১৯,৩০,৩১)এই ফেরকার গুরুরা এক সময় ১৮৫৭ সালের ইংরেজ বিরোধী সিপাহি বিপ্লবকে গাদ্দারী এবং রাষ্ট্রদ্রোহ বলে ফতোয়া দিয়েছে।ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদকে হারাম ফতোয়া দিয়েছে।পৃ:২৩,২৭,২৯এদের একজন ধর্মীয় লিডার জনাব নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান লিখেছেন: সমস্ত ওয়াজিবের তুলনায় ইংরেজ সরকারের আনুগত্য করা সব থেকে বড় ওয়াজিব।এরা বর্তমানে সক্রিয়ভাবে তাদের ভ্রান্ত মতবাদগুলোর প্রচারনা চালিয়ে সাধারন মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করছে।এরা ইসলামী শরীআতে নিত্যদিন নতুন নতুন কথার দ্বারা মানুষদেরকে গোমরাহ করছে।এদের ষড়যন্ত্র ধোকাবাজী থেকে নিজের ঈমান আমল হেফাজত করার জন্য সদা সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন