শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

🌟🌟মুসলমান মেয়েরা ফতুয়া জিন্স পড়তে পারে?🌟🌟



Tomsom Begom's photo.

মেয়েদের মধ্যে বিশেষ করে ভার্সিটি পড়ুয়া ও তরুণীরা নিজেকে স্মার্ট ও আধুনিকা প্রমান করার জন্য ফতুয়া- জিন্স পড়ে থাকে।
এই পোশাকের পাপ তিন প্রকারঃ
পুরুষদের পোষাক পড়া - রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অভিশাপ দিয়েছেন ঐ সমস্ত নারীদের প্রতি যারা পুরুষদের পোশাক পড়ে আর
যে সমস্ত পুরুষেরা নারীদের পোশাক পড়ে। (আবু দাউদ)

🔵 ফাহেশা বা অশ্লীলতা - এই পোশাকে নারীদের শরীরের অবয়ব প্রকাশ পায় যা ফাহেশা কাজের অন্তর্ভুক্ত।

🔵ওড়না না পড়া - বাইরে বের হলে নারীদের হিজাবের (মাথার ছোট্ট একটা রুমাল না, রেগুলার কাপড়ের উপরে অন্য
একটা লম্বা ও ঢোলা কাপড় দিয়ে সারা শরীর ঢাকা কমপ্লিট পর্দা) উপরে এক্সট্রা বুকের উপরে কাপড় দিয়ে বের হওয়ার আদেশ
আল্লাহ কুরানেই উল্লেখ করেছেন।
এই মেয়েগুলা প্রাপ্তবয়ষ্কা হলে তারা নিজেরাই আগুনে যাওয়ার পথের দিক হাটছে তবে এদের মা-বাবারাও এর জন্য দায়ী থাকবে।
একটা মেয়েকে ছোটবেলা থেকে হিজাব পর্দা শেখানো একজন মা-বাবার জন্য ফরয।
সে যদি এই কাজ না করে, উল্টা নিজের মেয়েকে কাফের নারীদের মতো অশ্লীল কাপড় চোপড় কিনে দেয় বা টাকা দিয়ে সাপোর্ট করে,
তার মেয়ে তারই সামনেই লম্পট পুরুষদের কামনার বস্তু হয়ে ঘুরে বেড়াবে আর সে চুপ করে বসে থাকবে।
ইসলামে এই ধরণের মা-বাবাকেই দাইয়ুছ বলে।
আর দাইয়ুছের জন্য জান্নাত হারাম।
💡দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমরা এমন অনেক আংঙ্কেল-আন্টিকে চিনি, যাদের লম্বা দাড়ি সাদা ধবধবে হয়ে আছে,
সিজদা দিতে দিতে কপালে কালো দাগ পড়ে গেছে তবুও তার মেয়েদেরকে এইভাবে ছেড়ে দিছে।
💡আবার কিছু আন্টি আছে, নিজের মেয়েকে নিয়ে যখন বের হন তিনি ঠিকই বোরখা পড়েন কিন্তু তার কিশোরী বা তরুণী মেয়েকে পুরুষদের জন্য প্রদর্শনী বস্তু বানিয়ে বের হন। তখন খুব ইচ্ছা হয় আন্টিকে বলি, একটা পুরুষ চল্লিশোর্ধ-পঞ্চাশোর্ধ নারীর দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ার সম্ভাবনা কম। আর তরুণীর দিকে হিজাব পড়া থাকলেও তাকাবে।
আপনার কাছে যদি একটা মাত্র বোরখা থাকে তাহলে আপনার বোরখাটা আপনার থেকে আপনার মেয়ের জন্য বেশি জরুরী।
কেননা বোরকা হিজাব ছাড়া অাপনরা মেয়ে উলংগ তাই অন্যের চোখের দৃষ্টি থেকে অাড়াল করতে অাপনার নিকটতম বোন মেয়ে সবাই
কে খাঁটি পর্দার অাহব্বান করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন