আজ ১৫ই আগষ্ট। বঙ্গবন্ধু (?) শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী। তাই গতকাল থেকে প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের সেই তেজোদৃপ্ত ভাষণের প্রদর্শনী। ফেসবুকেও দেখা যাচ্ছে কেউ সুনাম আবার কেউ দুর্নাম করে পোষ্ট দিচ্ছে। সকলেরই মূল বিষয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নিহত হওয়া। কিন্তু??
আজ থেকে ১৩ বছর পূর্বে ২০০২ সালে মালিবাগ এলাকাতেই ঘটে গিয়েছিল আরেকটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যা ঘটেছিল একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে। যেই মসজিদটি আমাদের নিকট মালিবাগ শহিদি মসজিদ নামে পরিচিত।
মূল ঘটনা (সংক্ষিপ্ত) :-
২০০২ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন সরকারি বাহিনীর সহায়তায় একদল সরকার দলীয় কেডার মালিবাগ বাইতুল আজীম শহিদি মসজিদের জায়গা দখল করে সেখানে মসজিদ ভেঙ্গে মার্কেট বানানের পরিকল্পনা করেছিল। এই উদ্দেশ্যে তারা মসজিদটির প্রবেশপথে দেয়াল উঠিয়ে দিয়েছিল। যার ফলে উক্ত মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় এই খবর জানাজানি হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে আজকের এই দিনেই মসজিদ চত্বরে এক সমাবেশের ডাক দেয়া হল। ইমানদার মুসলমানগন যখন দলে দলে সেই সমাবেশকে সফল করার উদ্দেশ্যে মসজিদ চত্বরে একত্রিত হচ্ছিলেন, তখনই শুরু হল সরকারি বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে গুলি বর্ষণ। ঝরে পড়লো চার চারটি তরতাজা প্রাণ। যাদের মাঝে তিন জন ছিলেন মালিবাগ মাদ্রাসা এবং চৌধুরী পাড়া মাদ্রাসার ছাত্র। আহত হয়েছিলেন শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান। এই আত্মত্যাগের মাধ্যমেই চক্রান্তকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফলে আজও চার শহিদের স্মৃতিকে বুকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মসজিদটি।
২০০২ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন সরকারি বাহিনীর সহায়তায় একদল সরকার দলীয় কেডার মালিবাগ বাইতুল আজীম শহিদি মসজিদের জায়গা দখল করে সেখানে মসজিদ ভেঙ্গে মার্কেট বানানের পরিকল্পনা করেছিল। এই উদ্দেশ্যে তারা মসজিদটির প্রবেশপথে দেয়াল উঠিয়ে দিয়েছিল। যার ফলে উক্ত মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় এই খবর জানাজানি হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে আজকের এই দিনেই মসজিদ চত্বরে এক সমাবেশের ডাক দেয়া হল। ইমানদার মুসলমানগন যখন দলে দলে সেই সমাবেশকে সফল করার উদ্দেশ্যে মসজিদ চত্বরে একত্রিত হচ্ছিলেন, তখনই শুরু হল সরকারি বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে গুলি বর্ষণ। ঝরে পড়লো চার চারটি তরতাজা প্রাণ। যাদের মাঝে তিন জন ছিলেন মালিবাগ মাদ্রাসা এবং চৌধুরী পাড়া মাদ্রাসার ছাত্র। আহত হয়েছিলেন শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান। এই আত্মত্যাগের মাধ্যমেই চক্রান্তকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফলে আজও চার শহিদের স্মৃতিকে বুকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মসজিদটি।
এখন কথা হচ্ছে, আজকের এই দিনে আমরা কেউ করছি বঙ্গবন্ধুর (?) সুনাম আবার কেউ করছি দুর্নাম। কিন্তু এর দ্বারা মানুষ কতটুকু উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু এর বদৌলতে যদি আমরা আমাদের আত্মত্যাগ সম্বলিত উজ্জ্বল ইসলামি ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করি তাহলে কি দেশ, জাতি, ধর্ম সর্বক্ষেত্রেই উপকার হত না।
আমি বলছিনা যে বঙ্গবন্ধুর (?) হত্যা আমাদের জন্য আত্মত্যাগের ইতিহাস নয়। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের জন্য একটি শিক্ষনীয় ইতিহাস। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের বাড়াবাড়ির দ্বারা তার কতটুকু উপকার হচ্ছে? আর শুধুমাত্র তার ঘটনাই কেন স্মরণ করা হয় আজকের এই দিনে? পাশাপাশি আরও যেই ঘটনা গুলো ঘটেছে সেগুলো কি পুরাই মূল্যহীন? অন্তত আমাদের মুসলমানদের নিকটেও?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন