এশিয়া ও ইউরোপে বিস্তৃৃত একমাত্র দেশ তুরস্ক। দেশটির বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুল। শহরটির অর্ধেক ইউরোপে আর অর্ধেক এশিয়ায়। শহরটি প্রায় ১৭ শ’ বছরের পুরনো হলেও মানুষ বসতি গড়েছে আরো আগে। কারণ এখানকার মাটি খুঁড়ে ১০ হাজার বছরের বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে। রোমান সম্রাট কনস্টানটিনের নামে শহরটির প্রথম নাম হয় কনস্টানটিনোপল। পরে সেটা বদলে হয় ইস্তাম্বুল।
এই শহরটির ঐতিহাসিক নিদর্শন সুলতান আহমেদ মসজিদ। মসজিদটির ভেতরের দেয়াল নীল রঙের টাইলস দিয়ে সাজানো বলে এটি ‘ব্লু মস্ক’ বা ‘নীল মসজিদ’ নামে পরিচিত।
মসজিদটিতে দুর্লভ ও দামি টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন ৫০টি চিত্রের সমন্বয়ে কারুকাজকৃত মসজিদটিকে অসাধারণ করে তুলেছে। ভেতরটা সম্পূর্ণ টাইলস দিয়ে ঘেরা। প্রতিটি সারিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাইলস। প্রতিটি টাইলসে হাতের কারুকাজ করা। কারুকাজগুলো ফুল ও লতাপাতাবিশিষ্ট। এ ছাড়া এই মসজিদে রয়েছে বিশাল ঝাড়বাতি। সুসজ্জিত ও আলোকিত এ মসজিদটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো মিহরাব। মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মিত এই মিহরাব। এর পাথরে রয়েছে নিখুঁত কারুকাজ। মিহরাবের পাশেই রয়েছে সুসজ্জিত মিম্বার। যেখানে ইমাম সাহেব দাঁড়িয়ে খুতবা পাঠ করেন। প্রতিটি দেয়াল, ছাদ, দরজা সব কিছুই নানা রঙে রঞ্জিত। ডিজাইনগুলো জটিল প্রকৃতির কিন্তু একেবারে নিখুঁত।
মসজিদটির ছয়টি দৃষ্টিনন্দন উঁচু মিনার ও ৪৩টি বিভিন্ন আকারের গম্বুজ শৈল্পিকতার এক অন্য নিদর্শন। প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৬৪ মিটার। মূল গম্বুজের উচ্চতা ৪৩ মিটার। আর মসজিদটির উচ্চতা ৭২ মিটার।
মূল মসজিদের বাইরে আছে বড়সড় খোলা চত্বর। মসজিদটিতে একসাথে ১০ হাজার মুসল্লিø নামাজ আদায় করতে পারেন।
উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ বখতি মসজিদটি নির্মাণ করেন। ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ শুরু করেন তিনি। তখন তার বয়স মাত্র ১৯। সাত বছর লেগে যায় নির্মাণকাজ শেষ হতে। ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি মুসল্লিøদের নামাজ আদায়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এর এক বছর পর মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মসজিদ চত্বরেই তাকে দাফন করা হয়। মসজিদের আর্কিটেক্ট ছিলেন মেহমেত আগা।
মসজিদটি বর্তমানে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ পর্যটক এটি পরিদর্শন করেন। ইস্তাম্বুল এসে ব্লু মসজিদে না গেলে ইস্তাম্বুল ভ্রমণ পুরাটাই বৃথা।
এই শহরটির ঐতিহাসিক নিদর্শন সুলতান আহমেদ মসজিদ। মসজিদটির ভেতরের দেয়াল নীল রঙের টাইলস দিয়ে সাজানো বলে এটি ‘ব্লু মস্ক’ বা ‘নীল মসজিদ’ নামে পরিচিত।
মসজিদটিতে দুর্লভ ও দামি টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন ৫০টি চিত্রের সমন্বয়ে কারুকাজকৃত মসজিদটিকে অসাধারণ করে তুলেছে। ভেতরটা সম্পূর্ণ টাইলস দিয়ে ঘেরা। প্রতিটি সারিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাইলস। প্রতিটি টাইলসে হাতের কারুকাজ করা। কারুকাজগুলো ফুল ও লতাপাতাবিশিষ্ট। এ ছাড়া এই মসজিদে রয়েছে বিশাল ঝাড়বাতি। সুসজ্জিত ও আলোকিত এ মসজিদটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো মিহরাব। মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মিত এই মিহরাব। এর পাথরে রয়েছে নিখুঁত কারুকাজ। মিহরাবের পাশেই রয়েছে সুসজ্জিত মিম্বার। যেখানে ইমাম সাহেব দাঁড়িয়ে খুতবা পাঠ করেন। প্রতিটি দেয়াল, ছাদ, দরজা সব কিছুই নানা রঙে রঞ্জিত। ডিজাইনগুলো জটিল প্রকৃতির কিন্তু একেবারে নিখুঁত।
মসজিদটির ছয়টি দৃষ্টিনন্দন উঁচু মিনার ও ৪৩টি বিভিন্ন আকারের গম্বুজ শৈল্পিকতার এক অন্য নিদর্শন। প্রতিটি মিনারের উচ্চতা ৬৪ মিটার। মূল গম্বুজের উচ্চতা ৪৩ মিটার। আর মসজিদটির উচ্চতা ৭২ মিটার।
মূল মসজিদের বাইরে আছে বড়সড় খোলা চত্বর। মসজিদটিতে একসাথে ১০ হাজার মুসল্লিø নামাজ আদায় করতে পারেন।
উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ বখতি মসজিদটি নির্মাণ করেন। ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ শুরু করেন তিনি। তখন তার বয়স মাত্র ১৯। সাত বছর লেগে যায় নির্মাণকাজ শেষ হতে। ১৬১৬ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি মুসল্লিøদের নামাজ আদায়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এর এক বছর পর মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মসজিদ চত্বরেই তাকে দাফন করা হয়। মসজিদের আর্কিটেক্ট ছিলেন মেহমেত আগা।
মসজিদটি বর্তমানে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ পর্যটক এটি পরিদর্শন করেন। ইস্তাম্বুল এসে ব্লু মসজিদে না গেলে ইস্তাম্বুল ভ্রমণ পুরাটাই বৃথা।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন