মুহিব খানের জ্বালাময়ী কবিতা "এই দেশ কালেমার"
=====<>=====
অনেক সয়েছি জ্বালা তিলে তিলে আমরা, এইবার নেবো তুলে শোষকের চামড়া।
এই তোরা কে কোথায় লাঠি নিয়ে দাঁড়া রে,
পিটিয়ে ঝেঁটিয়ে দুশমন তাড়া রে।
দেশ ভরা মুনাফিক বিদেশের চামচা,
সুযোগ পেলেই মারে কলিজায় খামচা।
=====<>=====
অনেক সয়েছি জ্বালা তিলে তিলে আমরা, এইবার নেবো তুলে শোষকের চামড়া।
এই তোরা কে কোথায় লাঠি নিয়ে দাঁড়া রে,
পিটিয়ে ঝেঁটিয়ে দুশমন তাড়া রে।
দেশ ভরা মুনাফিক বিদেশের চামচা,
সুযোগ পেলেই মারে কলিজায় খামচা।
অনেক খেয়েছি ধোঁকা বোকা হয়ে বারবার,
আমাদের নিয়ে চলে স্বার্থের কারবার।
ক্ষমতার লোভে যারা প্রভু খোঁজে বাইরে,
এদেশে থাকার তার অধিকার নাইরে।
এরা সব বেইমান এরা নীতিভ্রষ্ট, এরা তো দেখে না ফিরে মানুষের কষ্ট।
আমাদের নিয়ে চলে স্বার্থের কারবার।
ক্ষমতার লোভে যারা প্রভু খোঁজে বাইরে,
এদেশে থাকার তার অধিকার নাইরে।
এরা সব বেইমান এরা নীতিভ্রষ্ট, এরা তো দেখে না ফিরে মানুষের কষ্ট।
অমেরুদন্ডহীন এরা, এরা অপদার্থ, স্বদেশের নয় দেখে বিদেশের স্বার্থ।
দেশজুড়ে হাহাকার ভারতীয় শোষণে,
সরকার লেগে আছে সে ভারত তোষণে।
জাতি আজ তেতে আছে নানা পেরেশানিতে,
ভারত দিয়েছে বেড়া তিস্তার পানিতে।
দেশজুড়ে হাহাকার ভারতীয় শোষণে,
সরকার লেগে আছে সে ভারত তোষণে।
জাতি আজ তেতে আছে নানা পেরেশানিতে,
ভারত দিয়েছে বেড়া তিস্তার পানিতে।
নদী নালা শুকিয়ে কি মরু হবে দেশটা?
পানি বিনা মরে যাবো দেখি এর শেষটা।
আয় তোরা ছুটে আয় শুয়ে বসে কতো খাস!
কোদাল শানিয়ে চল সাথে নিয়ে লাঠি বাঁশ।
সরকার লা জওয়াব প্রভুকে কি ধরা যায়?
আয় দেখি নিজেরাই কীভাবে কী করা যায়!
পানি বিনা মরে যাবো দেখি এর শেষটা।
আয় তোরা ছুটে আয় শুয়ে বসে কতো খাস!
কোদাল শানিয়ে চল সাথে নিয়ে লাঠি বাঁশ।
সরকার লা জওয়াব প্রভুকে কি ধরা যায়?
আয় দেখি নিজেরাই কীভাবে কী করা যায়!
সবুজের বুক খুঁড়ে ট্রানজিট চায় কে?
সীমান্তে গুলি করে এ সাহস পায় কে?
খুলনা সিলেট নাকি ভারতের অংশ!
কে বলে! সে শালাদের আয় করি ধ্বংস।
সীমান্তে গুলি করে এ সাহস পায় কে?
খুলনা সিলেট নাকি ভারতের অংশ!
কে বলে! সে শালাদের আয় করি ধ্বংস।
আমরাও বলি তবে কোলকাতা মেঘালয়,
আসাম মোদের ওরা বাংলাতে কথা কয়।
বড় বলে দাদাগিরি আমরাও ছোট নই,
আমরা তো বানজলে ভাসা খড়কুটো নই।
আমাদের ছোট ভেবে বেশি যদি ঘাটবে,
ষোলো কোটি ‘ডিনামাইট’ একসাথে ফাটবে।
আসাম মোদের ওরা বাংলাতে কথা কয়।
বড় বলে দাদাগিরি আমরাও ছোট নই,
আমরা তো বানজলে ভাসা খড়কুটো নই।
আমাদের ছোট ভেবে বেশি যদি ঘাটবে,
ষোলো কোটি ‘ডিনামাইট’ একসাথে ফাটবে।
চেতনার ভাঁজে ভাঁজে আগুনের ফুলকি,
মধু খেতে এসে দেখো মো-মাছির ‘হুল’ কী!
চুপ কেন ভোটহীন ভোটে জয়ী সরকার?
সাফ সাফ মনোভাব বলে দেয়া দরকার।
ক্রিমিয়া সিকিম নয় বাঁচো বুক ফুলিয়ে,
এভাবে যাবে না থাকা জনতাকে ভুলিয়ে।
মধু খেতে এসে দেখো মো-মাছির ‘হুল’ কী!
চুপ কেন ভোটহীন ভোটে জয়ী সরকার?
সাফ সাফ মনোভাব বলে দেয়া দরকার।
ক্রিমিয়া সিকিম নয় বাঁচো বুক ফুলিয়ে,
এভাবে যাবে না থাকা জনতাকে ভুলিয়ে।
ভারতকে বলে দাও দিতে সব অধিকার,
আমরা চিনি না ভাই কে রাহুল, মোদি কার!
ফারাক্কা খুলে দাও বাঁধ ভাঙ্গো তিস্তার,
না হলে তোমাদের নাই নাই নিস্তার।
হটাও টিপাইমুখ খুলে ফেলো কাঁটাতার,
না হলে প্রমাণ হবে তোমরা পা-চাটা তার।
আমরা চিনি না ভাই কে রাহুল, মোদি কার!
ফারাক্কা খুলে দাও বাঁধ ভাঙ্গো তিস্তার,
না হলে তোমাদের নাই নাই নিস্তার।
হটাও টিপাইমুখ খুলে ফেলো কাঁটাতার,
না হলে প্রমাণ হবে তোমরা পা-চাটা তার।
পারো যদি বলো আর না পারো তো সরে যাও,
ক্ষমতার পদ ছেড়ে নিজ নিজ ঘরে যাও।
আমরা রবো না বসে ওরে আয় ছুটে আয়,
আমাদের পথে দেখি বাধা হয়ে কে দাঁড়ায়!
যাদের ক্ষমতা নেই দেশটাকে বাঁচাবার,
সুযোগ পাবে না তারা জনতাকে নাচাবার।
ক্ষমতার পদ ছেড়ে নিজ নিজ ঘরে যাও।
আমরা রবো না বসে ওরে আয় ছুটে আয়,
আমাদের পথে দেখি বাধা হয়ে কে দাঁড়ায়!
যাদের ক্ষমতা নেই দেশটাকে বাঁচাবার,
সুযোগ পাবে না তারা জনতাকে নাচাবার।
কৃষক শ্রমিক আয় আয় গণ-জনতা,
আমরা দেখাতে চাই আমাদের ক্ষমতা।
আমরাই পারি আজ দেশটাকে বাঁচাতে,
দেশকে দেবো না যেতে ভারতের খাঁচাতে।
আমরা দেখাতে চাই আমাদের ক্ষমতা।
আমরাই পারি আজ দেশটাকে বাঁচাতে,
দেশকে দেবো না যেতে ভারতের খাঁচাতে।
হে ভারত! ভাই আমার প্রতিবেশী দোস্তো,
কেন গিলে খেতে চাও আমাদের গোশতো?
প্রভু হতে চাও যদি ছাড়বো না আমরাও,
বিষদাঁত খুলে নেবো যদি বেশি কামড়াও।
খুঁচোখুঁচি উৎপাত করো সব বন্ধ,
এই দেশে দিলে চোখ হয়ে যাবে অন্ধ।
এই দেশ কালেমার শক্তিতে পূর্ণ
এখানে বাড়ালে হাত হয়ে যাবে চূর্ণ।
কেন গিলে খেতে চাও আমাদের গোশতো?
প্রভু হতে চাও যদি ছাড়বো না আমরাও,
বিষদাঁত খুলে নেবো যদি বেশি কামড়াও।
খুঁচোখুঁচি উৎপাত করো সব বন্ধ,
এই দেশে দিলে চোখ হয়ে যাবে অন্ধ।
এই দেশ কালেমার শক্তিতে পূর্ণ
এখানে বাড়ালে হাত হয়ে যাবে চূর্ণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন