তারাবীহ নামাযের হাদীস শরীফ নিয়ে জাকির নালায়েক ,আহলে হাদীস,লা মাযহাবীদের মিথ্যাচার !!!
জাকির নালায়েককে প্রশ্ন করা হয়েছিল তারাবীহ সম্পর্কে ।কিন্তু সে হাদিস শরিফকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে ।
নিন্মে তার মিথ্যাচার ও এর দলিল খন্ডনমুলক আলোচনা কর হল-
১. জাকির নালায়েকের মিথ্যচার -
প্রশ্নঃ তারাবীহর নামায ৮ রাক’আত নাকি ২০ রাক’আত?
উত্তরঃ জাকির নায়েক এর উত্তর-
তবে আমরা যদি রসূলুল্লাহ ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহর-এর দিকে তাকাই তাহলে দেখি যে, “আয়িশা আলাইহাস সালাম উনাকে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রমাদ্বানের কিয়ামুল লাইল বা তারাবীহ’র নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বান মাসে যখন তারাবীহ’র স্বলাত আদায় করতেন তখন ১১ রাক’আত আদায় করতেন(৮ রাকাত তারাবিহ+৩ রাকাত বিতর)এবং এর বেশি করতেন না।
(সহীহ আল-বুখারী, অধ্যায় , তারাবিহ, হাদীস ২০১৩,সহিহ আল বুখারি,অধ্যায় তাহাজ্জুদ, হাদিস ১১৪৭ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত হাদিস ১০৮১)
এর থেকে বুঝা যায় যে রাসুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৮ রাকাত তারাবিহ পরতেন এবং এর বেশি পরতেন না।
(আরো কিছু জবাব সে দিয়েছে কিন্তু মুল ইহা-ই)
উত্তরঃ জাকির নায়েক এর উত্তর-
তবে আমরা যদি রসূলুল্লাহ ছল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহর-এর দিকে তাকাই তাহলে দেখি যে, “আয়িশা আলাইহাস সালাম উনাকে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রমাদ্বানের কিয়ামুল লাইল বা তারাবীহ’র নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বান মাসে যখন তারাবীহ’র স্বলাত আদায় করতেন তখন ১১ রাক’আত আদায় করতেন(৮ রাকাত তারাবিহ+৩ রাকাত বিতর)এবং এর বেশি করতেন না।
(সহীহ আল-বুখারী, অধ্যায় , তারাবিহ, হাদীস ২০১৩,সহিহ আল বুখারি,অধ্যায় তাহাজ্জুদ, হাদিস ১১৪৭ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত হাদিস ১০৮১)
এর থেকে বুঝা যায় যে রাসুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৮ রাকাত তারাবিহ পরতেন এবং এর বেশি পরতেন না।
(আরো কিছু জবাব সে দিয়েছে কিন্তু মুল ইহা-ই)
২. জাকির নালায়েকের মিথ্যাচারের জবাব –
জাকির নালায়েক এখানে সম্পুর্ন হাদিস শরিফকে উপস্থাপন না করে কারচুপি করেছে । আমরা যদি সম্পুর্ন হাদিস শরিফ উপস্থাপন করি তাহলে দেখতে পাই “ আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্নিত , তিনি হযরত ছিদ্দিকা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞেস করলেন “ রমাদ্বান মাসে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সলাত কেমন ছিল ? “ছিদ্দিকা আলাইহাস সালাম উত্তর দিলেন” হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বান মাসে এবং অন্যান্য সময় (রাতের বেলায়) ১১ রাকায়েতের অধিক সলাত আদায় করতেননা । তিনি ৪ রাকয়াত সলাত আদায় করতেন। এর দীর্ঘত্ব ও সোন্দর্য্য সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করবেননা। তারপর ৪ রাকয়াত সলাত আদায় করতেন । এর সোন্দর্য্য ও দীর্ঘত্ব সম্পর্কে আমায় জিজ্ঞেস করবেননা। তারপর তিনি ৩ রাকয়াত (বিতর) সলাত আদায় করতেন।“ ছিদ্দিকা আলাইহাস সালাম বলেন একদিন আমি জিজ্ঞাসা করলাম” ইয়া রসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি কি বিতরের আগে ঘুমিয়ে থাকেন?” হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন “ আমার চোখ দুটি ঘুমায় কিন্তু হৃদয় ঘুমায়না । (ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ১৯৯১ সালে প্রকাশিত বুখারী ২য় খন্ডের তাহাজ্জুদ অধ্যায়ের ১০৮১ নং হাদিস )
প্রশ্ন হল-
১. জাকির নালায়েক উল্লেখ করেছে “রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বান মাসে যখন তারাবীহ’র স্বলাত আদায় করতেন তখন ১১ রাক’আত আদায় করতেন”
অথচ দেখুন হাদিস শরিফে উল্লেখ করা আছে “হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বান মাসে এবং অন্যান্য সময় (রাতের বেলায়) ১১ রাকায়েতের অধিক সলাত আদায় করতেননা ।“
তাহলে সে কেন রমাদ্বান মাস উল্লেখ করলেও “অন্যান্য সময়” শব্দ উপস্থাপন করেনি ?
২. হাদীছ শরীফে তো রমজান ও রমজান শরীফের বাইরের ৮ রাকায়াত নামাযের কথা লিখা। রমজান শরীফ মাসের বাইরে কি তারাবীহর নামায আছে?
৩. সেই হাদীছ শরীফে মোট এগার রাকায়াত নামাযের কথা লিখা আছে। ধরে নিলাম, তারাবীহর নামায ৮ রাকায়াত, লামাযহাবীরা তো বতির নামায ১ রাকায়াত পড়ে । তাহলে ৮+১=৯ হলো,বাকী ২ রাকায়াত কিসের নামায?
জাকির নালায়েক তো বিতর এর নামায ১ রাকয়াত এর কথা বলে অথচ হাদিসে প্রমানিত “( দেখুন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ১৯৯১ সালে প্রকাশিত বুখারী ২য় খন্ডের তাহাজ্জুদ অধ্যায়ের ১০৭১ ও ১০৭৪ নং হাদিস শরীফ উনাদের স্ক্রিন শট । যেখানে সুস্পষ্ট করে বলা আছে তারাবিহ ৩ রাকয়াত)।
৪.তারাবীহর নামাজ ৮ রাকাত হলে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা উনার হুজরা শরীফের পাশে মসজিদে নববী শরীফে কয়েক যুগ তারাবীর নামাজ ২০ রাকায়াত পড়া হলো তিনি কোন প্রতিবাদ করলেন না কেন ?
৫. বুখারী শরিফের উক্ত হাদিস যদি ৮ রাকায়াতের হয় তাহলে তারাবিহ অধ্যায়ে আলোচনা না করে তাহাযযুদ অধ্যায়ে কেন?
১. জাকির নালায়েক উল্লেখ করেছে “রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বান মাসে যখন তারাবীহ’র স্বলাত আদায় করতেন তখন ১১ রাক’আত আদায় করতেন”
অথচ দেখুন হাদিস শরিফে উল্লেখ করা আছে “হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বান মাসে এবং অন্যান্য সময় (রাতের বেলায়) ১১ রাকায়েতের অধিক সলাত আদায় করতেননা ।“
তাহলে সে কেন রমাদ্বান মাস উল্লেখ করলেও “অন্যান্য সময়” শব্দ উপস্থাপন করেনি ?
২. হাদীছ শরীফে তো রমজান ও রমজান শরীফের বাইরের ৮ রাকায়াত নামাযের কথা লিখা। রমজান শরীফ মাসের বাইরে কি তারাবীহর নামায আছে?
৩. সেই হাদীছ শরীফে মোট এগার রাকায়াত নামাযের কথা লিখা আছে। ধরে নিলাম, তারাবীহর নামায ৮ রাকায়াত, লামাযহাবীরা তো বতির নামায ১ রাকায়াত পড়ে । তাহলে ৮+১=৯ হলো,বাকী ২ রাকায়াত কিসের নামায?
জাকির নালায়েক তো বিতর এর নামায ১ রাকয়াত এর কথা বলে অথচ হাদিসে প্রমানিত “( দেখুন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ১৯৯১ সালে প্রকাশিত বুখারী ২য় খন্ডের তাহাজ্জুদ অধ্যায়ের ১০৭১ ও ১০৭৪ নং হাদিস শরীফ উনাদের স্ক্রিন শট । যেখানে সুস্পষ্ট করে বলা আছে তারাবিহ ৩ রাকয়াত)।
৪.তারাবীহর নামাজ ৮ রাকাত হলে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা উনার হুজরা শরীফের পাশে মসজিদে নববী শরীফে কয়েক যুগ তারাবীর নামাজ ২০ রাকায়াত পড়া হলো তিনি কোন প্রতিবাদ করলেন না কেন ?
৫. বুখারী শরিফের উক্ত হাদিস যদি ৮ রাকায়াতের হয় তাহলে তারাবিহ অধ্যায়ে আলোচনা না করে তাহাযযুদ অধ্যায়ে কেন?
তাহলে তারাবিহ ৮ রাকয়াত হয় কি করে? জাকির নালায়েক যে হাদিস শরিফ পেশ করেছে তা দিয়ে কি প্রমানিত তারাবিহ ৮ রাকয়াত ? তাহলে কেন এ মিথ্যাচার ?
আর মিথ্যাবাদী সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরিফে বর্নিত আছে -
"পঞ্চমবার বলবে যে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লানত। (সূরা নূর- ৭)
আবার হাদীস শরিফে উল্লেখ আছে " যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নামে মিথ্যাচার করে সে যেন দুনিয়া থাকতেই তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারন করে নিল"
"পঞ্চমবার বলবে যে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লানত। (সূরা নূর- ৭)
আবার হাদীস শরিফে উল্লেখ আছে " যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নামে মিথ্যাচার করে সে যেন দুনিয়া থাকতেই তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারন করে নিল"
মুলত লা মাযহাবি,ওহাবী ,আহলে হাদিস হল সহি হাদিস অনুসরণ এর নাম দিয়ে হাদিস শরিফ বিকৃতকারী ,ভুল ব্যাখ্যাকারী, জাহেল ,জাহান্নামী,মালউন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন