রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

(বরকতের জন্য জিকির,,,,)

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, আল্লাহর অধিক জিকিরকারী নর ও নারী, তাদের সবার জন্য আল্লাহ তৈরি করে রেখেছেন মহা প্রতিদান।, (সুরা আহজাব:৩৫) রাসুল ( সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি জিকির করে আর যে করে না, এমন দুই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত হচ্ছে, জীবিত এবং মৃত ব্যক্তরি মতো। (বোখারী শরিফ) জিকির হচ্ছে অতীব সহজ একটি ইবাদত। বসে,দাড়িয়ে, শুয়ে, সর্বাবস্থায় করা যায়। জিকিরেরর বরকতে আল্লাহপাক আপতিত বিপদাপদ দূর করে দেন। অনিবার্য ধ্বংস ও শাস্তির হাত থেকে বাঁচান। অসুস্থকে সুস্থতা দান করেন। অভাবগ্রস্তের অভাব দূর করে দেন। ঋণগ্রস্তের ঋণ পরিশোধ করার তৌফিক দান করেন।জাদুটোনা, জিনের আসর, বদ নজর ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেন। হযরত ইবনে মাসউদ ( রা:) বলেন, একজন ব্যক্তি যতক্ষণ জিকির করে, ততক্ষণ ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকে, যদিও সে বাজারে থাকে। জিকির, নবী-রাসুল ও আল্লাহ তায়ালার খাছ বন্দাদের একটি বিশেষ গুণ। হযরত আম্মাজান আয়েশা (রা:) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা:) সর্বদায় জিকির করতেন। পেশাব- পায়খানা ও স্ত্রী সহবাসের সময় ছাড়া যে কোন সময় জিকির করা যায়। জীবনের প্রতিটি মূহর্তে , প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুলে করিম (সা:) এর রয়েছে দোয়া ও জিকির । ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা লাভের জন্য মুসলমানদের সব সময় সে সব জিকির জেনে আমল করার দরকার। আল্লাহ আমাদের সবাই কে বেশী বেশী জিকির করার তৌফিক দান করুন । আমিন, সুম্মা আমিন।।।প্রেরক , - মুহাঃ আবুল হাসিম -সভাপতি ইসলামী ছাত্র খেলাফত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন