রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫

সেদিন ভার্সিটি পড়ুয়া এক মেয়ের স্ট্যাটাস দেখলাম।

সেদিন ভার্সিটি পড়ুয়া এক মেয়ের স্ট্যাটাস দেখলাম।
সে লিখেছে "আজ আমার জীবনের প্রথম রোজা রাখলাম। আমার হাজবেন্ড রোজা রাখতে অনুরোধ করায় তা ফেলতে পারিনি। আমার প্রথম রোজা আমার হাজবেন্ডকে উৎসর্গ করলাম।"
ভার্সিটিতে পড়া বিশ-বাইশ বছরের এক ধাড়ী মেয়ে জীবনে প্রথম রোজা রেখেছে। তাও তার হাজবেন্ডের অনুরোধে।
কতোটুকু বেহায়া হলে নির্লজ্জের মতো একথা ফেসবুকে শেয়ার করা যায় তা আমার ছোট মাথায় ঢুকে না।
গতকাল এইচএসসি পড়া এক ছেলে এসেছিলো। রোজা রাখে কিনা জিজ্ঞেস করলে তার মা মুখে হাসি দিয়ে বলল "না, আসলে রোজা রাখলে ও দুর্বল হয়ে যায়, পড়ার এনার্জি পায় না। তাই আমি রোজা রাখতে দেই না।"
ছোট থেকেই আমাদের পরিবারে এমন এক ধর্মীয় পরিবেশ বিরাজ করছে যে আমাদের রোজা রাখতে বলতেও হতো না। স্বেচ্ছায় ও উদ্দীপনার সাথেই আমরা ছোট থেকে রোজা রেখে আসছি।
বর্তমানে পারিবারিক পরিবেশে ঘুণ ধরেছে। বাবা-মা'রা আজ সন্তানের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়ে তেমন একটা নজর দেন না। অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে সন্তানের হাতে গিটার তুলে দেন, নাচ-গান শেখান।
আমার স্পষ্ট মনে আছে, ছোটবেলায় আব্বু আমার জন্য দারুণ সব শিশুতোষ ইসলামী ও জ্ঞান বিজ্ঞানের বই কিনে আনতেন। সেসব পড়েই আমি মানুষ হয়েছি, পেয়েছি নৈতিকতার শিক্ষা।
কিন্তু আজকালকার বাবা-মায়েরা নিজেরাই ডুবে থাকেন অনৈতিকতার সাগরে। তাদের সময় কাটে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। এধরণের বাবা-মা দ্বারা সন্তানকে সত্যিকারের মানুষে পরিণত করা অসম্ভব।
তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করার জন্য জাফর ইকবাল গং-দের সাথে এ ধরণের বাবা-মা'ও সমানভাবে দায়ী। অনৈতিকতার ভূত এখন সর্ষের মাঝে ঢুকে গেছে।
এই ভূত তাড়াতে ইসলামের কোন বিকল্প নেই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন