হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) জীবিত ছিলেন উসমান (রা) এর খিলাফতকাল পর্যন্ত । তিনি যখন অন্তিম রোগ শয্যায়, তখন উসমান (রা) একদিন তাকে দেখতে গেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ
– আপনার অভিযোগ কীসের বিরুদ্ধে?
— আমার পাপের বিরুদ্ধে।
— আমার পাপের বিরুদ্ধে।
– আপনার চাওয়ার কিছু আছে কি?
— আমার রবের রহমত বা করুণা।
— আমার রবের রহমত বা করুণা।
– বহুবছর যাবত আপনার ভাতা নিচ্ছেন না, তা কি আবার দেয়ার নির্দেশ দেব?
— আমার কোন প্রয়োজন নেই।
— আমার কোন প্রয়োজন নেই।
দিনশেষে রাত্রি নেমে এলো, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ তার রফীকে আলা-শ্রেষ্ঠতম বন্ধুর সাথে মিলিত হলেন। খলীফা উসমান তাঁর জানাযার নামায পড়ান এবং হযরত উসমান ইবন মাজউনের (রা) পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
[আসহাবে রাসূলের জীবনকথা (প্রথম খন্ড) – মুহাম্মাদ আবদুল মাবুদ]
আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদকে (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলা হয়েছিলো,
“আমরা কিয়াম আল-লাইল আদায় করতে পারছি না।”
তিনি উত্তর দিলেন, “তোমাদের নিজেদের পাপকাজগুলো থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখ।”
[লাতা’ইফ আল-মা’আরিফ, পৃ ৯৮]
“আল্লাহ যা আগে থেকেই নির্ধারিত রেখেছেন সে ব্যাপারে ‘যদি এমনটি না হতো’ বলার চেয়ে উত্তপ্ত লাল কয়লা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত কামড়ে ধরে থাকাও আমার কাছে অনেক প্রিয়।”
— আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[আয-যুহদ, আবু দাউদ, পৃ ১৩৬]
”নিশ্চয়ই একজন লোকের কোন কাজ ছাড়া অযথা বসে থাকা দেখতে আমি ঘৃণা করি, যখন সে দুনিয়ার জীবনের জন্য কোন কাজ করছে না, এমনকি আখিরাতের জন্যও কিছু করছে না।”
— আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[ আল-হিলইয়াহ, ১/১৩০]
“আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন এমন কাজ করে যদি আপনি লোকজনকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করেন তাহলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন না।”
— আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[আল-বায়হাকী শু’আব আল-ঈমানে বর্ণনা করেন, ২০৯]
“জঘন্য পাপগুলোর একটি হলো যখন একজন মানুষ তার অপর ভাইকে বলে, “আল্লাহকে ভয় করো” এবং সে তার জবাবে বলে, “তোমার নিজেকে নিয়ে চিন্তা করো।”
— আব্দুল্লাহ বিন মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[আবু বাকর আল-দাইনুরি, আল মুজালাসাহ ওয়া জাওয়াহির আল-‘ইলম, ২৬১৯]
“ভালো কাজকে যিনি বীজ হিসেবে বুনেছেন সম্ভবত তার ফসল হবে আশা,
খারাপ কাজকে যে বীজ হিসেবে বুনেছে সম্ভবত তার ফসল হবে অনুতাপ।”
খারাপ কাজকে যে বীজ হিসেবে বুনেছে সম্ভবত তার ফসল হবে অনুতাপ।”
— আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ার আগেই তা অর্জন করো, আর জ্ঞান হারিয়ে যায় যখন আলেমগণ ইন্তেকাল করেন। তোমরা জানো না যে কখন তা তোমাদের কাজে লাগবে।”
— আব্দুল্লাহ বিন মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
— আব্দুল্লাহ বিন মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন