শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০১৫

ইবনে আল জাওযির উদ্ধৃতি (ইসলামি কলাম)

“যখন আমি বিয়ে এবং সন্তানলাভের মাহাত্ম্য সম্পর্কে শিখেছিলাম, আমি গোটা কুরআন পাঠ করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে দু’আ করেছিলাম যেন তিনি আমাকে দশটি সন্তান দান করেন। তিনি আমার দু’আ কবুল করেছিলেন এবং আমাকে পাঁচটি ছেলে এবং পাঁচটি কন্যা সন্তান দিয়েছিলেন।”
— ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[সিয়ার আল-আলাম আন-নুবালা, ২১/৩৭৫]

“বই পড়ে আমি কখনো পরিতৃপ্ত হই না। আমি যখন কোন বই প্রথমবারের মতন দেখি, আমার কাছে মনে হয় আমি যেন সম্পদের একটি ভান্ডার দেখছি। আমি ২০ হাজারটির চেয়েও বেশি ভলিউম পড়েছি এবং আমি এখনো পড়ছি।”
— ইমাম ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[আদাব শারি’ইয়্যাহ, ২/৩৭৪]

“তোমার করা ভুল কাজগুলোর জন্য রাতের অন্ধকারে ঝরে যাওয়া অশ্রুরাশিকে সুপারিশকারী করতে চেষ্টা করো।”
— ইমাম ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[কিতাব আল-লাতাইফ ফিল-ওয়াইজ, পৃ ৫১]


“তিনি (আবু বকর) ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ‘কুরআনকে একত্রিত করেছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণের আগে জাহিলিয়্যাতের সময়েও কোনদিন মদ (অ্যালকোহল) পান করেননি, পরেও তা করেননি।”
— ইবনে আল-জাওযি
[সিফাতুস সাফওয়াহ, ১/১০৫]

“তোমার করা ভুল কাজগুলোর জন্য রাতের অন্ধকারে ঝরে যাওয়া অশ্রুরাশিকে সুপারিশকারী করতে চেষ্টা করো।”
— ইমাম ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[কিতাব আল-লাতাইফ ফিল-ওয়াইজ, পৃ ৫১]


“বই পড়ে আমি কখনো পরিতৃপ্ত হই না। আমি যখন কোন বই প্রথমবারের মতন দেখি, আমার কাছে মনে হয় আমি যেন সম্পদের একটি ভান্ডার দেখছি। আমি ২০ হাজারটির চেয়েও বেশি ভলিউম পড়েছি এবং আমি এখনো পড়ছি।”
— ইমাম ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[আদাব শারি’ইয়্যাহ, ২/৩৭৪]


যখন আমি বিয়ে এবং সন্তানলাভের মাহাত্ম্য সম্পর্কে শিখেছিলাম, আমি গোটা কুরআন পাঠ করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে দু’আ করেছিলাম যেন তিনি আমাকে দশটি সন্তান দান করেন। তিনি আমার দু’আ কবুল করেছিলেন এবং আমাকে পাঁচটি ছেলে এবং পাঁচটি কন্যা সন্তান দিয়েছিলেন।”
— ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[সিয়ার আল-আলাম আন-নুবালা, ২১/৩৭৫]


“আমি এমন কোন কিছু দেখিনি বা এমন কোন কিছুর কথা শুনিনি যা নির্জনতার সমান শান্তি, সম্মান ও মর্যাদা এনে দিতে পারে। নির্জনতা বান্দাকে পাপ কাজ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে, তার সম্মান রক্ষা করে এবং সময় বাঁচায়। নির্জনতা আপনাকে হিংসুকদের থেকে দূরে রাখবে এবং যারা আপনার বিপদে খুশি হয় তাদের থেকেও আপনাকে দূরে রাখবে। এটা আখিরাতের স্মরণকে বাড়িয়ে দেয় এবং বান্দাকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের কথা ভাবায়। নির্জনবাসের সময় বান্দার চিন্তাগুলো যা কল্যাণকর এবং যাতে হিকমাহ বা প্রজ্ঞা আছে তাতে ঘুরে বেড়াতে পারে।”
— ইমাম ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[লা তাহযান : ড আইয আল কারনি, পৃ ১৫৭]


“পাপ করার পরে যদি আপনার অন্তরের মাঝে আঁধার খুঁজে পান, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার অন্তরে আলো রয়েছে। সেই আলোর কারণেই আপনি আঁধারকে অনুভব করেছেন।”
— ইমাম আবুল ফারাজ ইবনে আল জাওযি
[রাওদাতুল মুহিবীন, ২/১১২]


ইমাম ইবনে আল জাওযিকে (রাহিমাহুল্লাহ) একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলোঃ
— তাসবীহ (আল্লাহর প্রশংসা) পড়া নাকি ইস্তিগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা) করা, কোনটা
বেশি উত্তম?
তিনি উত্তর দিলেনঃ
— একটি নোংরা পোশাকের জন্য সুগন্ধির চাইতে সাবানের প্রয়োজনীয় অনেক বেশি।


“প্রতিটি ঘন্টা কীভাবে অতিক্রান্ত হচ্ছে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সম্ভাব্য শ্রেষ্ঠ উপায়ে তাকে ব্যয় করুন, নিজেকে অবহেলা করবেন না। সময়গুলোকে সম্মানজনক এবং শ্রেষ্ঠ কাজে পরিণত করাকে রপ্ত করুন। কাজগুলোকে পাঠিয়ে দিন কবরে যা আপনি সেখানে পৌঁছানোর পরে আপনাকে আনন্দিত করবে।”
— ইমাম ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)

“মানুষের অনেক সময় এমন হয় যে স্বাস্থ্য ভালো থাকলেও সে অবসর সময় খুঁজে পায়না কারণ জীবিকা অর্জনের জন্য তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়; অথবা সে ধনী হলেও তার স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। সুতরাং, যদি এই দুটো জিনিস (সুস্বাস্থ্য এবং অবসর) কেউ একসাথে পেয়েও যদি নিজের আলসেমিতে কর্তব্য পালন করতে না পারে, তাহলে সে একজন হতভাগা ব্যর্থ। (জেনে রাখো) এই দুনিয়া আখিরাতের শস্যক্ষেত্র; এর মাঝেই ব্যবসা রয়েছে যার মুনাফা পরকালে দেখা যাবে। তাই যে মানুষ তার অবসর সময় এবং সুস্বাস্থ্যের সঠিক ব্যবহার করলো আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে, সে-ই সৌভাগ্যবান। আর যে তাদেরকে ব্যবহার করলো আল্লাহর নাফরমানীতে, সে নিজের উপরে জুলুম করে, কেননা যে কোন সময় অবসর ব্যস্ততায় পরিণত হতে পারে এবং সুস্থতা বিঘ্ন হতে পারে রোগের কারণে।”
—- ইবনে আল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)
[ফাতহুল বারী, ১১/২৩০]

“যে এক ফোঁটা চোখের পানি মু’মিনের গাল বেয়ে নেমে যায় তা পৃথিবীর জমিনে ঝরে পড়া হাজার ফোঁটা বৃষ্টির পানির চাইতে বেশি কল্যাণময়।”
— ইবনে আল জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)

“যদি আপনি লোকেদের প্রিয় পাত্র হোন, তাহলে জেনে রাখুন যে,
তারা আসলে আল্লাহর সেই সৌন্দর্যকে ভালোবাসেন যা দ্বারা তিনি আপনার গুনাহকে ঢেকে রেখেছেন।”
-ইবনে আল জাওযি (রহ)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন