নামাজ নামাজ
হামদ ও সালাতের পর।
ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে কালেমার পরই সালাতের স্থান। কালেমার পর এটি সর্বোত্তম আমল। ইসলামের স্তম্ভসমূহের মধ্যে সবচেয়ে মজবুত স্তম্ভ এটি। সুতরাং সালাত ব্যতীত মুসলমানের ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না। কেননা সালাত স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন। এটি শারীরিক ইবাদাতের মূল। সালাতই সকল উম্মাতের দীন। আসমানী শরীয়াতের কোনটিই সালাতমুক্ত ছিল না। কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার মাধ্যমে এটি ফরজে আঈন। আল্ল¬াহ তা‘আলা মিরাজ রজনীতে আসমানে সালাত ফরজ করেছেন। অন্যান্য ইবাদাত এমনটি নয়। অতএব সালাতের মর্যাদা সহজেই অনুমেয়। এটি সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ। কোন অবস্থায়ই এটি ছাড়া যাবে না। অন্যান্য রোকনগুলোর ব্যাপারে অবশ্য কিছুটা সহজ করা হয়েছে।
নিশ্চয় সালাতের রয়েছে বিশেষ এক মর্যাদা, যার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা মুসলমানদের সম্মানিত করেছেন। মহান আল্লাহ যা কিছু বান্দার উপর ফরজ করেছেন তার মধ্যে সালাত সবচে’ বড়। কেননা অন্য সকল ইবাদাত ফরজ হয়েছে করা হয়েছে যমীনে। আর সালাত ফরজ হয়েছে সুউচ্চ স্থান সিদরাতুল মুনতাহাতে, যেখানে ইতিপূর্বে সৃষ্টির কেউ পৌঁছতে পারেনি।
পবিত্র কুরআনে সালাত শব্দটি ৬৬ বার এসেছে। আর এ ধাতু থেকে নির্গত শব্দসমূহ এসেছে ৩৩ বার। সর্বমোট ৯৯ বার। এছাড়া সালাতের সমার্থবোধক ও তার প্রতি ইঙ্গিতসূচক শব্দও এসেছে বহুবার। যেমন-‘রুকূকারী’, ‘সিজদাকারী’, ‘আল্লাহর জন্য সিজদা করে’ ইত্যাদি। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আমি যেমন সালাতের ফযীলত বর্ণনা করেছি, তেমনি উল্লেখ করেছি সালাত ত্যাগ করা কিংবা অবহেলা করার পরিণতিও। যেমনটি উল্লি¬খিত হয়েছে অনেক হাদীসে। সেসব হাদীস আমি বরাতসহ উদ্বৃত করার চেষ্টা করেছি এ বইটিতে। আর সবই করেছি সালাতের মর্যাদা বর্ণনা করা ও তা আঁকড়ে ধরার প্রতি উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে।
আমার এ বই থেকে কেউ যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হন তার প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল, তিনি যেন এ গুনাহগার ও তার পিতা-মাতা, উস্তাদবর্গ এবং সকল মুসলমানের জন্য দু‘আ করেন।
হামদ ও সালাতের পর।
ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে কালেমার পরই সালাতের স্থান। কালেমার পর এটি সর্বোত্তম আমল। ইসলামের স্তম্ভসমূহের মধ্যে সবচেয়ে মজবুত স্তম্ভ এটি। সুতরাং সালাত ব্যতীত মুসলমানের ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না। কেননা সালাত স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন। এটি শারীরিক ইবাদাতের মূল। সালাতই সকল উম্মাতের দীন। আসমানী শরীয়াতের কোনটিই সালাতমুক্ত ছিল না। কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার মাধ্যমে এটি ফরজে আঈন। আল্ল¬াহ তা‘আলা মিরাজ রজনীতে আসমানে সালাত ফরজ করেছেন। অন্যান্য ইবাদাত এমনটি নয়। অতএব সালাতের মর্যাদা সহজেই অনুমেয়। এটি সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ। কোন অবস্থায়ই এটি ছাড়া যাবে না। অন্যান্য রোকনগুলোর ব্যাপারে অবশ্য কিছুটা সহজ করা হয়েছে।
নিশ্চয় সালাতের রয়েছে বিশেষ এক মর্যাদা, যার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা মুসলমানদের সম্মানিত করেছেন। মহান আল্লাহ যা কিছু বান্দার উপর ফরজ করেছেন তার মধ্যে সালাত সবচে’ বড়। কেননা অন্য সকল ইবাদাত ফরজ হয়েছে করা হয়েছে যমীনে। আর সালাত ফরজ হয়েছে সুউচ্চ স্থান সিদরাতুল মুনতাহাতে, যেখানে ইতিপূর্বে সৃষ্টির কেউ পৌঁছতে পারেনি।
পবিত্র কুরআনে সালাত শব্দটি ৬৬ বার এসেছে। আর এ ধাতু থেকে নির্গত শব্দসমূহ এসেছে ৩৩ বার। সর্বমোট ৯৯ বার। এছাড়া সালাতের সমার্থবোধক ও তার প্রতি ইঙ্গিতসূচক শব্দও এসেছে বহুবার। যেমন-‘রুকূকারী’, ‘সিজদাকারী’, ‘আল্লাহর জন্য সিজদা করে’ ইত্যাদি। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে আমি যেমন সালাতের ফযীলত বর্ণনা করেছি, তেমনি উল্লেখ করেছি সালাত ত্যাগ করা কিংবা অবহেলা করার পরিণতিও। যেমনটি উল্লি¬খিত হয়েছে অনেক হাদীসে। সেসব হাদীস আমি বরাতসহ উদ্বৃত করার চেষ্টা করেছি এ বইটিতে। আর সবই করেছি সালাতের মর্যাদা বর্ণনা করা ও তা আঁকড়ে ধরার প্রতি উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে।
আমার এ বই থেকে কেউ যদি বিন্দুমাত্র উপকৃত হন তার প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল, তিনি যেন এ গুনাহগার ও তার পিতা-মাতা, উস্তাদবর্গ এবং সকল মুসলমানের জন্য দু‘আ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন