ইসলাম যে সালাত চায় তা শুধু কতগুলো বাক্য নয়, যা মুখে মুখে আওড়ানো হয় কিংবা শুধু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়ারও নাম নয় যাতে মস্তিষ্কের ভাবনা নেই এবং অন্তরের একাগ্রতা নেই। যে সালাতে মোরগের মত ঠোকর মারা হয়, কাকের মত ছোঁ মারা হয় কিংবা শিয়ালের মত এদিক সেদিক তাকানো হয়। না কখনো এ সালাত শরিয়তে কাম্য নয়। বরং শুধু এমন সালাতই গ্রহণযোগ্য যাতে চিন্তা-ফিকির, বিনম্রতা-একাগ্রতা এবং মাবুদের মাহাত্ম্যের প্রতি খেয়াল রাখা হয়।
আর প্রকৃত পক্ষে সালাতের বরং সকল ইবাদতের প্রধান উদ্দেশ্য হল বান্দাকে মহান রাব্বুল আলামীনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া, যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন ও হিদায়াত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي ﴿طه:১৪﴾
“আর তুমি আমার স্মরণে সালাত কায়েম কর”।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সালাত ফরজ হওয়া ও হজের কার্যাদি পালনের আদেশ একমাত্র আল্লাহর যিকির প্রতিষ্ঠার জন্যই।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের রূহের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন: ‘সালাত হল বিনম্রতা, একাগ্রতা ও কাকুতি-মিনতি করা এবং দু’হাত তুলে ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলার নাম। যার সালাত এমন নয় সেটা ধোঁকা অর্থাৎ অসম্পূর্ণ।
সালাতে অন্তর স্থির রাখার জন্য এটি একটি সতর্কবাণী। আর অন্তর স্থির রাখা বলতে কী বুঝায় তা জানার জন্য আল্লাহর এ বাণীই যথেষ্ট-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ﴿النساء:৪৩﴾
“হে মুমিনগণ, তোমরা মাতাল অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না। যতক্ষণ না তোমরা কী বল তা বুঝতে পার”।
এ আয়াতে বিবেকÑবুদ্ধি সজাগ রাখার ব্যাপারে সর্তক করা হয়েছে। এমন অনেক মুসল্লী¬ রয়েছে যারা সালাতে কী বলছে তাও জানতে পারে না অথচ তারা মদপান করেনি। মূলত অজ্ঞতা, গাফলতি, দুনিয়ার ভালবাসা ও প্রবৃত্তির অনুসরণই তাদেরকে মাতাল করে দিয়েছে।
ইবনে আব্বাস রা. বলতেন, জিকির ও ফিকিরের সাথে দুই রাক‘আত সালাত আদায় করা অন্যমনস্ক হয়ে পূর্ণ রাত ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
এ সালাতই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চক্ষুশীতল করত। এর জন্যই তাঁর অন্তর কাঁদত এবং এর দ্বারাই তাঁর অন্তর প্রশান্তি লাভ করত। বিলাল রা. বলতেন, আমাদের এর দ্বারা অর্থাৎ সালাতের দ্বারা শান্তি দাও। এটিই হচ্ছে মুহাব্বত ও ভালবাসার সালাত। অধিকাংশ মানুষ যেভাবে মোরগের ঠোকর মারা ও কাকের ছোঁ মারার মত সালাত আদায় করে তা এমনটি নয়। যারা বলে, “আমাদেরকে সালাতের মাধ্যমে শান্তি দাও” তাদের ও ওদের মাঝে কতইনা ব্যবধান!
আর প্রকৃত পক্ষে সালাতের বরং সকল ইবাদতের প্রধান উদ্দেশ্য হল বান্দাকে মহান রাব্বুল আলামীনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া, যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন ও হিদায়াত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي ﴿طه:১৪﴾
“আর তুমি আমার স্মরণে সালাত কায়েম কর”।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সালাত ফরজ হওয়া ও হজের কার্যাদি পালনের আদেশ একমাত্র আল্লাহর যিকির প্রতিষ্ঠার জন্যই।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের রূহের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন: ‘সালাত হল বিনম্রতা, একাগ্রতা ও কাকুতি-মিনতি করা এবং দু’হাত তুলে ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলার নাম। যার সালাত এমন নয় সেটা ধোঁকা অর্থাৎ অসম্পূর্ণ।
সালাতে অন্তর স্থির রাখার জন্য এটি একটি সতর্কবাণী। আর অন্তর স্থির রাখা বলতে কী বুঝায় তা জানার জন্য আল্লাহর এ বাণীই যথেষ্ট-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ﴿النساء:৪৩﴾
“হে মুমিনগণ, তোমরা মাতাল অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না। যতক্ষণ না তোমরা কী বল তা বুঝতে পার”।
এ আয়াতে বিবেকÑবুদ্ধি সজাগ রাখার ব্যাপারে সর্তক করা হয়েছে। এমন অনেক মুসল্লী¬ রয়েছে যারা সালাতে কী বলছে তাও জানতে পারে না অথচ তারা মদপান করেনি। মূলত অজ্ঞতা, গাফলতি, দুনিয়ার ভালবাসা ও প্রবৃত্তির অনুসরণই তাদেরকে মাতাল করে দিয়েছে।
ইবনে আব্বাস রা. বলতেন, জিকির ও ফিকিরের সাথে দুই রাক‘আত সালাত আদায় করা অন্যমনস্ক হয়ে পূর্ণ রাত ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
এ সালাতই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চক্ষুশীতল করত। এর জন্যই তাঁর অন্তর কাঁদত এবং এর দ্বারাই তাঁর অন্তর প্রশান্তি লাভ করত। বিলাল রা. বলতেন, আমাদের এর দ্বারা অর্থাৎ সালাতের দ্বারা শান্তি দাও। এটিই হচ্ছে মুহাব্বত ও ভালবাসার সালাত। অধিকাংশ মানুষ যেভাবে মোরগের ঠোকর মারা ও কাকের ছোঁ মারার মত সালাত আদায় করে তা এমনটি নয়। যারা বলে, “আমাদেরকে সালাতের মাধ্যমে শান্তি দাও” তাদের ও ওদের মাঝে কতইনা ব্যবধান!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন