সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০১৫

“ব্ল্যাক হ্যাট ও আইআরজির এডমিনদের উদ্দেশ্যে“

“ব্ল্যাক হ্যাট ও আইআরজির এডমিনদের উদ্দেশ্যে“
হযরত লোকমান হেকিম আঃ বলেন, আমি ১০০ আসমানি কিতাব গবেষনা করে সব কিতাবের স্বারমর্ম, মূল নির্যাস বা মূল ভাব বের করেছি যে দুটি জিনিষ আমাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে, ২টি জিনিষ ভুলে যেতে হবে। যে অন্তর ২টি জিনিষ মনে রাখবে আর দুটি জিনিষ ভুলে যাবে, ঐ অন্তর হবে আরশোল্লাহ্। আল্লাহ পাক ঐ অন্তরে বাস করেন। ঐ অন্তর একটি পবিত্র অন্তর। 
যে দুটি জিনিষ আমাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে:-
১/ আল্লাহ- মনের মাঝা সর্বদা আল্লাহকে স্বরনে রাখতে হবে। এক সেকেন্ডের জন্যও আল্লাহকেও ভুলে গেলে চলবে না। রাহাত চৌধুরি ভাই, আপনি যদি সর্বদা আল্লাহকে স্বরনে রাখেন, তবে আপনি পারবেন না ফালতু ক্যাচাল করে সময় নষ্ট করতে। আপনি পারবেন না অশ্লীলতা আর নোংড়া কথা বার্তা বলতে। আল্লাহর নিকট ঘোপন কিছু নেই, আল্লাহ আপনার সিক্রেট গ্রুপ, সিক্রেট কনভার্সন, আপনার ইনবক্স সব কিছু দেখতেছে, আপনার পাসওয়ার্ডও আল্লাহ পাক জানেন, তিনি আপনার আইডির খুটি নাটি সব দেখতেছেন, এটা যদি সর্বদা আপনার মাথায় থাকে তবে আপনি এই আইডি দ্বারা কাউকে গালি দিতে পারবেন না। পারবেন না নোংড়া কোন কথা বলতে। সিক্রেট থেকে সিক্রেট কোথাও কোন অন্যায় কাজ করতে পারবেন না। তাই যখনই আপনি সর্বদা আল্লাহকে স্বরনে রাখবেন, তখনই আপনি পূত পবিত্রের একটি সুন্দর মানুষ হিসেবে নিজেকে গঠন করতে পারবেন।
২/ মৃত্যু- আমাদের সর্বদা মৃত্যুকে স্বরনে রাখতে হবে। ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ভাই, আপনি যখন সর্বদা মৃত্যুকে স্বরনে রাখবেন, তখন আর নিজেকে মহাপ্রুষ হিসেবে গর্ব করতে পারবেন না। তখন আপনার চিন্তা চেতনা এদিকে আসবেই না। মৃত্যুর চিন্তা যদি আপনার স্বরনে থাকে তখন আপনি নতুন করে কাউকে ম্যালওয়ার ভাইরাসের ভয় দেখাতে পারবেন না। ঐ ভাইরাস যে সত্যি সত্যি জন্ম নিয়ে আপনার ব্যাক্তি জীবনে আক্রমন করতে পারে এটাও কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়। মৃত্যু ভয় যদি আপনার মনে থাকে, তখন আরেকজনকে আপনি রিপোর্ট করে সময় নষ্ট করতে পারবেন না। যখন আপনার খেয়ালে থাকবে, আপনি রিপোর্ট করে মৃত্যু বরন করলে রিভিউ দেখার মত কেউ থাকবে না, তখনই আপনি রিপোর্ট করা থেকে বিরত থেকে ঐক্যের পথে চলতে পারবেন। ফেসবুক সমাজে শান্তি আসবে। আপনাকে কেউ ভয় পাবে না, সবাই ভালোবাসবে। আচ্ছা সাইফুল ভাই, মনে করেন আইআরজির এডমিনদের সাথে আপনার সাইবার যোদ্ধ শুরুই হলো পূরুপুরি। এমতাবস্থায় আপনি মারা গেলেন। ফেসবুকে আপনি অনুপস্থিত, আমরা জানলামই না আপনার কি হলো। আজীবনকাল ওরা বলে বেড়াবে ওদের ভয়ে আপনি ফেসবুক ছেরে দিছেন।
কি দরকার ওদের সেই সুযোগ দিয়ে? বরং ওরা যদি কোন ভুল করে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে ওদের আপন করে নিন, সম্মিলিতভাবে নাস্তিকদের বিরোদ্ধে লড়ুন। এতে অন্তত ফেসবুকে ইসলামের উপকার হবে। যে মেধা, জ্ঞান, পরিশ্রম আপনি ওদের বিরোদ্ধে ব্যবহার করবেন, ঐটা নাস্তিকদের বিরোদ্ধে ব্যবহার করুন, ফেসবুকবাসি আজীবন আপনাকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়ে রাখবে।
যে দুটি জিনিষ ভুলে যেতে হবে-
১/ নিজের ভালো কাজ- নিজের ভালো কাজ সম্পূর্ন ভুলে যেতে হবে। নিজের ভালো কাজ মনে রাখবেন তো ঐ কাজের আছর নষ্ট হয়ে যাবে। পিচ্ছি হাসিব, আপনি পিচ্ছি মানুষ, স্বাভাবিক ভাবেই আপনার জ্ঞান, বুদ্ধি, আকল, মেধা কম। তাই আপনি যখন আমাকে ফেইক দ্বাবী করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, কমেন্টে গালিগালাজ করেছেন, আপনার মত আমি তেমন রাগ করি নাই। পিচ্ছি পুলাপানের ভুল হিসেবে আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। ফেসবুক ইউজার, রিয়েল লাইফ সবখানে আমি আপনার সিনিয়র, তাই সিনিয়রের পরিচয় দিছি। তাই ‘দুই দিনের ফেসবুকার‘ বলার পরেও প্রতিবাদ করি নাই। আমি যখন থেকে ফেসবুক চালাই, তখন আপনি ‘ফেসবুক‘ শব্দটাই শোনেন নাই। তবে হ্যা, ‘আসমা আফিয়া ফাতেমার বোন মাইমুনা‘ নামে আমি ফেসবুকে পরিচিত পেয়েছি বেশি দিন হবে না। এখন আপনার প্রতি আমার যে উপদেশ থাকবে তা হলো, আপনি যে সকল ভালো কাজ করেন, তা আপনাকে ভুলে যেতে হবে। কয়টা নাস্তিক মেরেছেন, ইতু ইত্তিলা পত্রিকাতে আপনাকে নিয়ে কি বলেছে, ঐসব নিয়ে যদি আপনি ডাকঢোল পিটান, তবে ঐসব ভালো কাজের ফলাফল পরকালে আশা করতে পারবেন না। আপনি যদি আপনার ভালোটা মনে রাখেন, তবে আপনার মনে অহংকার আসবে। আপনার মনে ধারনা জন্মাবে ‘তার থেকে আমি ভালো।‘ এটা শয়তানের গুন। এটা আপনাকে পরিহার করতে হবে। পত্রিকায় আপনাকে নিয়ে কি বললো, তা আপনি বলতে গেলেন কেন? ঐদিন সকালে আমিই সর্বপ্রথম 
নাচনিক - [নাস্তিক ও চটি নির্মূল কমিশন]
গ্রুপের এডমিন কনভার্সনে পত্রিকার জের ধরে আপনাদের প্রসঙ্গ তুলি। ইনবক্সে ক্রিয়েটর সায়মার কাছ থেকে অনুমতি নেই নাচনিকের পক্ষ থেকে ব্ল্যাকহ্যাট ও আইআরজিকে অভিনন্দন জানানোর। কিন্তু পরক্ষনেই আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরো আসি, কারন আপনারা সামান্য পত্রিকার জের ধরে নিজেদের সর্বশ্রেষ্ট ঘোষনা করলেন। ফলাফল দেখুন, আজ আপনারা এডমিনরা ছারা এটা কেউ ভুলেও উচ্চারন করে না। জানে সবাই, কিন্তু আপনাদের অহংকারের কারনে কেউ এসব বলে না। অন্যদিকে কমরেড মাহমুদকে দেখুন। আপনার কে ফোর্সকে স্বমূলে উৎপাটন করেছে। জয় বাংলা সাইবার যোদ্ধা, মুজিব সেনা, সোনার বাংলা ডিজিটাল যোদ্ধা ইত্যাদি গ্রুপগুলিকে ধ্বংস করে ইসলামি লেখক লেখিকাদের ওদের আক্রমন থেকে রক্ষা করেছে। এইতো দুই দিন আগে উনি মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমন করা বৌদ্ধ প্রধানের আইডি নষ্ট করে দিছে। কমরেড কিন্তু ভুলেও এসবের জন্য অহংকার করে নাই, নিজের ঢোল নিজে পিটায় নাই। যার দরুন আজ কমরেডের প্রসংসা চার দিকে, সবার মুখে মুখে। ‘তার থেকে আমি বড়‘ এ মনোভাব কমরেডের নেই, তাই কমরেডের তেমন কোন মুসলিম শত্রুও নেই। আছে কিছু হিংসুক। তাই নিজে ভালো যা কিছু করেছেন, সব ভুলে যান।
২/ অপরের দোষ:- ২য়তে যে জিনিষটি ভুলে যেতে হবে সেটা হলো অপরের দোষ। কে কি খারাপ করলো সেটা আপনাকে ভুলে যেতে হবে মাসুদ ভাই। কিন্তু আপনার বেলায় উল্টোটি দেখা যায়। কেউ যদি সামান্য একটা ভুল করে, মুখুষ উন্মোচনের নামে আপনি রং ঢং লাগিয়ে ঐটাকে আরো বড়ো করে প্রচার করেন। আপনার তথাকথিত এসব মুখুষ উন্মোচন ইসলামের কোথায় নেই। অথচ অপরের সমালোচনা ও মিথ্যাচার করে নিজেকে ইসলামিষ্ট দ্বাবী করেন। ইসলাম কিন্তু সম্পূর্ন আপনার নীতির বিরোদ্ধে। ‘তোমরা অপরের দোষ ঘোপন রাখো। যে অপরের দোষ ঘোপন রাখবে, কেয়ামতে আল্লাহ তার দোষ ঘোপন রাখবে।“ -বুখারী ও মুসলিম। কাজেই মাসুদ ভাই, অপরের দোষ ভুলে যেতে হবে আপনাকে। কে আপনাকে গালি দিলো, কে আপনাকে ক্ষতির চেষ্টা করলো, ঐসব ভুলে যান। রাহাত চৌধুরিকে আপনি বন্ধুত্বের আহ্বান করুন। আগের মত ইঞ্জিনিয়ার সাইফুলের সাথে বন্ধুত্ব করুন। ওদের ভালো কাজ সামনে আনুন, মন্দটাকে ভুলে যান।
----------------------------
এই চারটা গুন যার অন্তরে থাকবে, তার অন্তর হবে আরশোল্লাহ। এই চার গুনের মর্তবা অনেক বেশি। আমি চারজনকে অনুরোধ করবো, আপনারা প্রত্যেকেই এই চারটা গুনের অধিকারী হয়ে যান। নিজেদের মাঝে জগড়া ভুলে বন্ধু হয়ে যান। হযরত মোহাম্মদ সাঃ আপনাদেন আদেশ করেন “তোমরা পরষ্পর সম্পর্ক ছিন্ন করো না, একে অপরের পেছনে লেগে থেকো না, পরস্পর শত্রুতা পোষণ করো না এবং পরষ্পরে হিংসা করো না। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা পরষ্পরে ভাই ভাই হয়ে যাও।“ -বুখারী
কে কি দোষ করেছে, কার অন্যায় কত বেশি, ঐসব কমেন্ট করার কোন দরকার নেই। যদি পারেন আপনারা ২টা গ্রুপ মিলে যান, বন্ধু হয়ে না। নবীজির হাদীস মেনে আমল করার চেষ্টা করুন। আর না পারলে যা ইচ্ছা করেন গিয়া। নিজেরা নিজেরা মরেন গিয়া। সারাদিন কর্মব্যস্ততার ফাকে ফেসবুকে আসি অবসর সময় কাটাতে আর নাস্তিক্যবাদের প্রতিরোধ করতে। আপনাদের খুনাখুনি দেখতে ভালো লাগে না। আপনারা ঐক্য হোন বা না হোন, আপনাদের নিয়ে এটাই আমার শেষ পোষ্ট। শেষ বারের মত আবারো অনুরোধ করছি, আপনারা বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক করুন।
অনুরোধক্রমে
মাইমুনা আক্তার,
সহকারী শিক্ষিকা,
পস্তাইল সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন