চিকিৎসকের সামনে পর্দার বিধান“
চিকিৎসার ব্যাপারেও মহিলাদের পর্দার প্রতি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, আজকাল অনেক পরিবার যারা পর্দা করে, তারাও চিকিৎসকের সামনে পর্দার প্রয়োজন মনে করে না। মহিলাদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে মাহরাম ডাক্তার তালাশ করা উচিত। একান্তই যদি কোন মাহরাম ডাক্তার পাওয়া না যায়, তবে গায়রে মাহরাম দ্বারা চিকিৎসা করানো যেতে পারে। তবে শরীরের যতটুকু দেখানো প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই দেখাতে হবে।
মহিলার নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত কোন পুরুষ তো দূরের কথা, ভিন্ন মহিলার সামনেও খোলা জায়েজ নেই। কাজেই এ যায়গার ভিতর কোন রোগ হলে, মহিলা ডাক্তারকে দেখাতে হলে একটা পুরাতন কাপর পড়ে জখম বা প্রয়োজনিয় অংশ কেটে দিবে, যাতে শরীরের অন্য কোন অংশ মহিলা ডাক্তাররাও দেখতে না পারে। অনুরুপ ভাবে শরীরের অন্যান্য অংশও পুরুষ ডাক্তারদের দেখাতে হবে। কোন ভাবেই পর্দার বরখেলাপ করা যাবে না।
চিকিৎসার ব্যাপারেও মহিলাদের পর্দার প্রতি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, আজকাল অনেক পরিবার যারা পর্দা করে, তারাও চিকিৎসকের সামনে পর্দার প্রয়োজন মনে করে না। মহিলাদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে মাহরাম ডাক্তার তালাশ করা উচিত। একান্তই যদি কোন মাহরাম ডাক্তার পাওয়া না যায়, তবে গায়রে মাহরাম দ্বারা চিকিৎসা করানো যেতে পারে। তবে শরীরের যতটুকু দেখানো প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই দেখাতে হবে।
মহিলার নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত কোন পুরুষ তো দূরের কথা, ভিন্ন মহিলার সামনেও খোলা জায়েজ নেই। কাজেই এ যায়গার ভিতর কোন রোগ হলে, মহিলা ডাক্তারকে দেখাতে হলে একটা পুরাতন কাপর পড়ে জখম বা প্রয়োজনিয় অংশ কেটে দিবে, যাতে শরীরের অন্য কোন অংশ মহিলা ডাক্তাররাও দেখতে না পারে। অনুরুপ ভাবে শরীরের অন্যান্য অংশও পুরুষ ডাক্তারদের দেখাতে হবে। কোন ভাবেই পর্দার বরখেলাপ করা যাবে না।
বর্তমানে পুরুষ ডাক্তার দিয়ে অনেকে সন্তান প্রসব করিয়ে থাকে। যেখানে মহিলাদের জন্যই দেখা জায়িজ নেই, সেখানে পুরুষ দিয়ে প্রসব করানো অত্যন্ত গুনাহের কাজ ও নাজায়েজ। সন্তান ভুমিষ্ট হবার সময় ধাত্রী বা নার্সের জন্য প্রসবের জায়গাটুকু ছারা অতিরিক্ত কোন অংশ দেখা জায়িজ নেই। অনেক সময় দেখা যায়, মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় ফেলে রাখে, এবং উপস্থিত সব মহিলারা তাকে দেখতে থাকে। এটা সম্পূর্ন হারাম।
গর্ভবতী অবস্থায় যদি ধাত্রী দ্বারা পেট মালিশের প্রয়োজন হয়, তখনো নাভীর নিচের পেটের অংশ ধাত্রীর দেখা জায়েজ নেই। চাদর দিয়ে ঢেকে মালিশ করতে হবে।
[শুধু মহিলা নয়, যদি কোন বালেগ ছেলের খৎনা করাতে হয়, তবে খৎনা কারীর জন্য শুধু প্রয়োজনীয় অংশ দেখা জায়িজ, অন্যান্য অংশ দেখা জায়িজ নয়।]
অনেক মহিলা চুড়ি কিনে পুরুষ চুড়ি ওয়ালাকে দিয়ে চুড়ি পরিয়ে নেয়। এটা অত্যন্ত গর্হিত কিজ। আর এটা যেহেতু অপারগতাবশত নয়, কাজেই কোন অবস্থায়ই এটা জায়েজ নেই।
[শুধু মহিলা নয়, যদি কোন বালেগ ছেলের খৎনা করাতে হয়, তবে খৎনা কারীর জন্য শুধু প্রয়োজনীয় অংশ দেখা জায়িজ, অন্যান্য অংশ দেখা জায়িজ নয়।]
অনেক মহিলা চুড়ি কিনে পুরুষ চুড়ি ওয়ালাকে দিয়ে চুড়ি পরিয়ে নেয়। এটা অত্যন্ত গর্হিত কিজ। আর এটা যেহেতু অপারগতাবশত নয়, কাজেই কোন অবস্থায়ই এটা জায়েজ নেই।
সর্বশেষ কথা, বিপরীত লিঙ্গের পুরুষের সাথে সম্পর্কের দূরত্ব যত বেশি, নিষিদ্ধের মাত্রাও বরশি। কাজেই, মুসলিম মহিলার জন্য সবচেয়ে নিকটতম হলো মুসলিম মহিলা ডাক্তার। কাজেই প্রয়োজন হলে প্রথমে মুসলিম মহিলা ডাক্তার খুজবে। না পেলে অমুসলিম মহিলা ডাক্তার, যার হুকুম পুরুষদের মত। যদি তাও পাওয়া না যায় তখন মুসলিম পুরুষ ডাক্তারের কাছে যাবে। যদি তাও পাওয়া না যায়, তবে অমুসলিম পুরুষ ডাক্তারের কাছে যেতে পারবে, প্রথমেই অমুসলিমের নিকট যাবে না। কেননা ডাক্তার দেখানোর এ প্রথা যখন ছিলো না সে যুগেও অনায়াসেই বাচ্চা জন্ম নিতো। এখনো এমন অনেক ধাত্রী আছে, যেখানে ধাত্রীরাই পর্দার সকল কাজ আঞ্জাম দিচ্ছে। তেমন ধাত্রীই খুজে নেওয়া ভালো।
লেখিকা- মাইমুনা আক্তার,
সহকারী শিক্ষিকা,
পস্তাইল সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়।
সহকারী শিক্ষিকা,
পস্তাইল সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন