বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০১৫

সমকামিতা

সমকামিতার প্রায় ৯০% সম্পর্ক অ্যানাল সেক্সের সাথে সম্পর্কিত । মলাশয়কে যৌনসঙ্গমের জন্য ব্যাপার করা হলে বিভিন্ন ভাইরাসের জন্য তা পোয়াবারো, কেননা লিঙ্গ সহজেই মলাশয়গাত্র ( রেকটাল ওয়াল) ভেদ করে সেটিতে ক্ষত সৃষ্টি করে এবং সেই ক্ষত দিয়ে বীর্য সহজেই ব্লাডস্ট্রিমে ঢুকে পড়ে ।
সমকামিতার প্রকৃতি
শারীরিক ক্ষতিসাধনে সমকামী পুরুষদের যৌনসঙ্গমের প্রকৃতি চরমভাবে দায়ী । কেননা এই যৌনাচারণ শুধু সক্রিয়/পরোক্ষ নয়, পেনাইল –অ্যানাল, মাউথ-পেনাইল, হ্যান্ড –অ্যানাল এমনকি মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক। মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক আন্ত্রিক জীবাণুর মাধ্যমে রোগ সৃষ্টি করতে খুবই সহায়ক । মলাশয়ে ক্ষত থেকে শরীরের ভেতরে জীবাণু প্রবেশ করে, এবং অ্যানো –জেনিটাল সিফিলিটিক আলসারের সৃষ্টি হয় ।
সমকামী ব্যক্তিদের সমকামী সম্পর্কের প্রধান রুট অ্যানো-জেনিটাল রুট, একে বলা হয় sine qua non of sex for many gay men অর্থাৎ এটি সমকামী সম্পর্কে অপরিহার্য । হিউম্যান ফিজিওলজী থেকে এটি স্পষ্ট যে, মানবদেহ এই সম্পর্কের জন্য তৈরি বা পরিকল্পিত নয় । লিঙ্গের জন্যই যোনী, লিঙ্গের জন্য মলাশয় নয় । যোনী যৌনসঙ্গমের জন্য স্পেশালি তৈরি,যোনীর অভ্যন্তরে ন্যাচারাল লুব্রিকেন্ট ও তিন লেয়ার বিশিষ্ট পুরু এবং স্থিতিস্থাপক মাসল থাকার কারনে একটি লিঙ্গ ঘর্ষণ এড়িয়ে ও রক্তপাত না ঘটিয়ে সহজেই যোনীতে ঢুকে যেতে পারে। কিন্তু মলাশয় একটি অত্যন্ত নাজুক অঙ্গ, মলাশয়গাত্র একেবারেই পাতলা ও কমনীয় যেটির শুধুমাত্র “এক্সিট-অনলি” বৈশিষ্ট্য রয়েছে ,একটি লিঙ্গ মলাশয়ে সহজেই ঢুকে যেতে পারেনা,সরু ছিদ্রের কারণে তাকে প্রেশার দিয়ে ঢোকাতে হয় এবং মলাশয়গাত্রে মাত্র একস্তরবিশিষ্ট লেয়ার থাকার ফলে ঢোকাতে যেয়ে প্রায়শই রক্তপাত হয় যেখান থেকে বিভিন্ন রোগের জীবাণু সরাসরি রক্তপ্রবাহে চলে আসে । মলাশয়ে বারবার ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট ক্ষত ও লিঙ্গ প্রবেশের কারণে সৃষ্ট মলাশয়ছিদ্রের প্রসারণের কারণে স্ফিংকটার তার স্বাভাবিক টোন এবং টাইট সিল বৈশিষ্ট্যটি হারায় । উপরন্তু, অ্যানো-জেনিটাল যৌনসঙ্গমের কারণে ফিকাল ম্যাটেরিয়ালের নিঃসরণও ক্রমাগত বা ক্রনিক আকার ধারণ করে ।
অরডিনারী রিপ্রোডাক্টিভ ফিজিওলজি থেকে জানা যায়, সিমেন বা বীর্যরস ইমিউনোসাপ্রেসিভ বা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নিরুদ্ধ বা নিগৃহীত করে, অ্যানাল রুট একেই অত্যন্ত নাজুক এবং জীবাণুর ডিপো, সেখানে ইমিউন সিস্টেম যোনীর সিস্টেমের তুলনায় এমনিতেই অনেক দুর্বল থাকে, সেই দুর্বল সিস্টেমে যদি বীর্যরসের মাধ্যমে তাকে আরো দুর্বল করে দেওয়া হয়, তাহলে জীবাণু বিনা প্রতিরোধে শরীরে প্রবেশ করে অতি সহজেই বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করবে ।
অ্যানাল সেক্সের কারণে নিম্নলিখিত রোগের প্রাদুর্ভাব সমকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি –
১) এইচআইভি এইডস ২) সিফিলিস ৩) গনোরিয়া ৪) হার্পিস সিমপ্লেক্স ৫) ভাইরাল হেপাটাইটিস টাইপ বি ও সি ৬) ক্ল্যামিডিয়া ইনফেকশন ৭) অ্যানাল ক্যান্সার ৮) ক্রিপ্টোস্পোরিডিওসিস ৯) আইসোস্পোরিয়াসিস ১০) মাইক্রোস্পোরিডিওসিস ১১) জিয়ার্ডিয়া ল্যাম্বলিয়া ডিজিজ ১২) স্কিন ও অ্যানো-জেনিটাল ওয়ার্ট ১৩) হেপাটাইটিস এ ১৪) এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকাজাত এমিবিয়াসিস ১৫) শিগেলোসিস ১৬) সালমোনেলোসিস ১৭) পেডিকুলোসিস ১৮) স্ক্যাবিস ১৯) ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস ২০) ক্যাম্পাইলোব্যাক্টেরিওসিস ২১) মেনিনজাইটিস ও মেনিঞ্জোকক্কেমিয়া ২২) হুক ওর্ম ।
উল্লেখ্য, ৭-২২ নং রোগগুলি বিষমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খুবই বিরল । ১-৬ নং রোগগুলো সমকামী ও বিষমকামী উভয় ব্যক্তিদের হলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সকল রোগের হার অনেক বেশি ।
ওরাল-অ্যানাল যৌনসম্পর্ক
সমকামীদের এই ধরনের যৌনসম্পর্কের সাথে অজস্র প্যারাসাইটিক এবং আন্ত্রিক রোগ বিজড়িত। গে-বাওয়েল সিনড্রোম এমন একটি রোগ যা অবাধ অ্যানাল যৌনসংসর্গ/ এনিলিংগাস বা পায়ুপথ ও নিতম্ব চোষণ ও লেহন (রিমিং/রিম-জব) / ফেলাশিও বা লিঙ্গচোষণের (ব্লোজব) মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং সমকামীদের মধ্যে এই সিনড্রোম অত্যাধিক বেশি বলেই এর নাম বিশেষভাবে গে-বাওয়েল সিনড্রোম রাখা হয়েছে ।
ফিস্টিং বলতে বোঝানো হয় হাত বা কলাচী (ফোরআর্ম) মলাশয়ছিদ্র দিয়ে মলাশয়ের অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে যৌনানুভূতি বা যৌনপুলকের উদ্রেক ঘটানো । এটি অ্যানাল ইন্টারকোর্স থেকেই অধিকতর ড্যামেজিং, এতে অ্যানাল টিয়ার বা মলাশয়ের মাসল ছিড়ে যেতে পারে এবং অ্যানাল স্ফিংকটার অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ফিস্টিং মলাশয়ে প্রদাহ, ব্যথা এবং ইনফেকশনের জন্য চরমভাবে দায়ী। একটি সার্ভেতে দেখা যায় ২২% সমকামী ফিস্টিংয়ে লিপ্ত ।
সূত্রঃ Jay and Young, pp. 554-555.
সমকামিতা এবং স্যাডিজম (ধর্ষকাম)
ধর্ষকাম একটি অস্বাভাবিক ও বর্জনীয় যৌনাচারণ যেটিতে ব্যক্তি তার যৌনসঙ্গীর সঙ্গে মারধোর করে, কষ্ট দিয়ে এবং নির্দয় আচরণ করে যৌনানন্দ বা যৌনপুলক লাভ করে । ৩৭% সমকামী এই অস্বাভাবিক যৌনাচারে অভ্যস্ত ।
সূত্রঃ Jay and Young, pp. 554-555.
অ্যানাল সেক্স এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে আজকের দিনে সোর থ্রোট আর সাধারণ অসুখ নেই, হয়ে গেছে কমপ্লিকেটেড অসুখ। আগে এই অসুখের জন্য রোগীকে তেমন প্রশ্ন করতে হতো না, এখন রোগীকে জিজ্ঞাসা করতে হয়, সে সমকামী যৌনাচারে লিপ্ত কিনা, সে ওরাল সেক্স বা অ্যানাল সেক্সের সঙ্গে জড়িত কিনা । হেমোরয়েড বা পাইলস আর শুধুমাত্র সার্জিক্যাল সমস্যা নেই, এটি এখন জটিল রূপ ধারণ করেছে এবং রোগী সমকামী কিনা, তার অ্যানাল ক্যান্সার, রেক্টাল গনোরিয়া, রেক্টাল ক্ল্যামিডিয়া আছে কিনা বা ভেতরে সুপ্ত কিনা সেগুলো জানতে হয়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে জানা যায়, রেক্টাল ও থ্রোট গনোরিয়ার ৭৫% -ই কোন সিম্পটম ব্যতীত।
পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই। নাস্তিক ও হিন্দুরা প্রায়ই সমকামিতার দোহাই দিয়ে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের অবমাননা করে থাকে (হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন সাদ বাদ থেকে গেলমান শব্দটি শিখেছে তারা)। কিন্তু আজ তারা নিজেরাই সমকামিতার পক্ষে মাঠে ঝাপিয়ে পড়েছে। এ কি তাদের ভণ্ডামি নয়?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন