‘ইলম (জ্ঞান) আপনার কাছে এগিয়ে আসার কথা নয়, বরং আপনারই ‘ইলমের (জ্ঞানের) দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।”
— ইমাম মালিক ইবনে আনাস
[আদাব শারি’ইয়্যাহ, ২/১৪৪]
ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) ফাতওয়া প্রদানের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক ছিলেন। তিনি বলেন:
“কাউকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তার জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত এবং জবাব দেয়ার আগে তার আখিরাতের মুক্তি সম্পর্কে ভাবা উচিত।”
[ইসলামী পুনর্জাগরণ সমস্যা ও সম্ভাবনা, পৃ-১২৪]
ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) আবু জাফরকে (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:
“রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীরা বিভিন্ন দূরবর্তী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিলেন, প্রত্যেকের কাছে জ্ঞান সঞ্চিত ছিলো। তুমি যদি একটি মত অনুসরণে জবরদস্তি করো তাহলে ফিতনা সৃষ্টি করবে।”
[ইসলামী পুনর্জাগরণ সমস্যা ও সম্ভাবনা, ড. ইউসুফ আল-কারাদাওয়ি, পৃ-১০২]
ইবনে আবু-হাসান বলেন,
“মালিককে ২১ টি বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি মাত্র দু’টির ফাতওয়া দিয়েছিলেন। তারপর বার বার বলেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো সাধ্য বা ক্ষমতা নেই।”
[ইসলামী পুনর্জাগরণ সমস্যা ও সম্ভাবনা, ড. ইউসুফ আল-কারাদাওয়ি, পৃ-১২৫]
ইবনে আল কাসিম ইমাম মালিককে (রাহিমাহুল্লাহ) বলতে শুনেছেন, “আমি একটা বিষয়ে দশ বছর ধরে গবেষণা করছি কিন্তু এখনো মনস্থির করতে পরিনি।”
[ইসলামী পুনর্জাগরণ সমস্যা ও সম্ভাবনা, ড. ইউসুফ আল-কারাদাওয়ি, পৃ-১২৫]
“প্রচুর পরিমাণে আলোচনার মাঝে জ্ঞান নির্ভর করে না, বরং জ্ঞান হলো এমন আলো যা আল্লাহ অন্তরের মাঝে স্থাপন করে দেন।”
— ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহিমাহুল্লাহ)
[আল-জামি লি আখলাক আর-রাওয়ি ওয়া আদাব আস-সামী, ২/১৭৪]
“ততদিন পর্যন্ত আমি ফাতওয়া দেয়া শুরু করিনি, যতদিন না পর্যন্ত ৭০ জন (আলেম) বলেছিলেন আমি সেই কাজের উপযুক্ত।”
— ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহিমাহুল্লাহ)
[তাযকিরাতুল-হুফফাজ : ইমাম আয-যাহাবী]
ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
“নিশ্চয়ই আমি একজন মানুষ, আমি ভুলও করতে পারি এবং সঠিকও হতে পারি। সুতরাং, আমার মতামতের মধ্যে যা কিছু কুরআন এবং সুন্নাহর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় তা গ্রহণ করুন এবং যা কিছু কুরআন এবং সুন্নাহর সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হয় তা এড়িয়ে যান।”
[জামিঈ’ বায়ান আল-ইলম, ১/৭৭৫]
“যে কাজটি আল্লাহর জন্য (আন্তরিকতার সাথে) করা হয় সেটিই রয়ে যায়।”
— ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ)
“সুন্নাহ নূহ আলাইহিস সালামের জাহাজের মতন, যে এতে পা রাখল সে মাগফিরাত লাভ করলো, যে এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো সে ডুবে গেলো।”
—- ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ)
—- ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন