“ইলম ও জ্ঞানচর্চার দ্বারা যদি তোমার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে আত্মগৌরব ও বড়াই-অহংকার করা, সমকালীন লোকদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করা, আপন প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্ববাসীর নিকট প্রিয়পাত্র অথবা ভক্তিভাজন হওয়া, পার্থিব গৌরব অর্জন করা এবং রকমারী ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করা, তাহলে জেনে রাখো– এই জ্ঞান অর্জনের দ্বারা তুমি তোমার দ্বীন ও ঈমান ধ্বংস করছ, স্বীয় মূল্যবান জীবন বিনষ্ট করছ। নশ্বর এই পৃথিবীর বিনিময়ে আখিরাতের অনন্ত জীবনকে বিক্রয় করে দিচ্ছ। নিঃসন্দেহে এটা অত্যন্ত গর্হিত ও ক্ষতিকর কাজ। এই ব্যবসায় তোমার বৃহৎ লোকসান ছাড়া লাভের কিছু অবশিষ্ট থাকছে না।”
— ইমাম আল-গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ)
[বিদায়াতুল হিদায়াহ : ইমাম আল-গাজ্জালী , প্রকাশক: দারুল কিতাব, পৃ-১১]
“দ্বীনি ইলমই হচ্ছে একমাত্র বিদ্যা যা তোমার অন্তরে খোদাভীতি সৃষ্টি করবে, নিজের দোষ-ত্রুটি উপলব্ধি করার জ্ঞান বাড়াবে, সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তার পরিচয় করিয়ে দিবে। দুনিয়ার মোহান্ধতা হ্রাস করে আখিরাতের প্রতি শওক ও আগ্রহ বৃদ্ধি করবে, পাপকার্যের কুফল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবে। ফলে, পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার মন-মানসিকতা গড়ে উঠবে, শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করবে।”
— ইমাম আবু হামিদ আল গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ)
[বিদায়াতুল হিদায়াহ : ইমাম আল-গাজ্জালী , প্রকাশক: দারুল কিতাব, পৃ-৪৬]
“‘ইলম (জ্ঞান) আপনার কাছে এগিয়ে আসার কথা নয়, বরং আপনারই ‘ইলমের (জ্ঞানের) দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।”
— ইমাম মালিক ইবনে আনাস
[আদাব শারি’ইয়্যাহ, ২/১৪৪]
আল-খাতীব তার আল-জামী(২/৩৮৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেন:
“এক ব্যক্তি মালিক ইবনে আনাসকে প্রশ্ন করেছিলেন, “হে আবদ-আল্লাহ, আমার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে দিতে পারে এমন কোন কিছু কি আছে? তিনি বলেন, যদি কোন কিছু স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে তা হলো পাপ করা ছেড়ে দেয়া।”
[শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ, ইসলামকিউএ/৩৩২৮]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন