শনিবার, ১১ জুলাই, ২০১৫

আলোকিত শান্তির বাণী (ইসলামি কলাম)

১) “আল্লাহকে যারা ভালোবাসেনা, তাদেরকে ভালোবাসবেন না।তারা যদি আল্লাহকে ছেড়ে থাকতে পারে, তারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে।”
০২) “কারো উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে যেয়ো না। মনে রেখো, অন্ধকারে তোমার নিজের ছায়াও তোমাকে ছেড়ে চলে যায়।”
০৩) “আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা আর নিজেদের মাঝে বিভক্ত না হয়ে যাওয়া ইসলামের সবচেয়ে বড় উসূল (বুনিয়াদ) এর একটি ।”
০৪) “ঈমানদারদের জীবন ক্রমাগত বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি করানো হয় তাদের ঈমানকে বিশুদ্ধ এবং তাদের পাপকে মোচন করানোর জন্য। কারণ, ঈমানদারগণ তাদের জীবনের প্রতিটি কাজ করেন কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য; আর তাই জীবনে সহ্য করা এই দুঃখ-কষ্টগুলোর জন্য তাদের পুরষ্কার দেয়া আল্লাহর জন্য অপরিহার্য হয়ে যায়।”
০৫) “জ্ঞানার্জন ছাড়া দিক-নির্দেশনা অর্জন করা যায় না। আর ধৈর্য্য ছাড়া সঠিক পথের দিশা অর্জন করা যায়না।”
০৬) যে কোন দুর্ঘটনা আর সুসংবাদ শুনলে আপনার মুখ দিয়ে কি কি শব্দ বেরিয়ে আসে:-সুবহানআল্লাহ্, আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহু আকবার।নাকি ইংরেজী কোন শব্দগুচ্ছ। খেয়াল করুন। কারণ পরিপূর্ণ সচেতন, সজাগ আর সুস্হ মস্তিষ্কে যেখানে আপনি আপনার মননকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না; সেখানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আপনি কিভাবে শাহাদাহ্ দিতে সমর্থ হবেন?
০৭) “আমরা যা শিখছি তা যদি আমাদের বিশ্বাসের উপর কোন প্রভাব ফেলতে না পারে, আমাদেরকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যেতে না পারে, আমাদের বিশ্বাসকে আরো মজবুত করতে না পারে… তাহলে এর অর্থ হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্যে, নিয়্যতে ভুল আছে”
০৮) “কেউ যদি কুরআনের শরণাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও অন্তরে সংস্পর্শ না লাগে,হৃদয় আলোড়িত না হয়,জীবন অপরিবর্তিত থেকে যায়,খালি হাতে ফিরেন,যেভাবে এসেছিলেন ঠিক সেভাবেই প্রত্যাবর্তন করেন,তাহলে তার চেয়ে মর্মান্তিক দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে?”
০৯) সুখ জীবনের গন্তব্য নয়, এটা আমাদের জীবনের চলার পথের একটা রাস্তা।
১০) “আমার প্রিয় বোনেরা, তোমাদের অন্তরের আর বাহিরের সমস্ত সৌন্দর্যই অমূল্য। যে তোমাকে বিয়ে করবে, কেবলমাত্র সেই মানুষটি তোমার এই সৌন্দর্য দেখার অধিকার রাখে। কখনো ভুলে যাবে না, সে যদি তোমাকে বিয়ে না করে, তাহলে সে তোমার যোগ্য নয়।”
১১) “আধ্যাত্মিকতা অর্জনের ব্যাপারটাই হলো নিজের নফসের সাথে ক্রমাগত জিহাদ করা।”
১২) “আমি যতই জ্ঞান অর্জন করি, আমার বিশ্বাস ততই দৃঢ় হয়। আমি যতই শিখি, আমি ততই সুন্দর করে আল্লাহর ইবাদাত করতে পারি। কারণ, প্রকৃতপক্ষে সমস্ত জ্ঞানের মহাজ্ঞানী আল্লাহ। আমি জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে যা করতে চাই তা হলো — তাঁর কাছে যাওয়া”
১৩) “আপনি আজকে যা করছেন তা হয়ত আমি পছন্দ করিনা, কিন্তু তাই বলে আমি আপনাকে ছোট করবো না। কারণ, আগামীকালের আপনি হয়ত আজকের আমার চাইতে ভালো হবেন”।
১৪) “অনেকে বলে থাকেন, আমি কোন রাজনীতি করিনা, রাজনীতি পছন্দ করিনা। প্রকৃতপক্ষে, কোন রাজনীতি না করাও অন্য একটা রাজনীতির অংশ।”
১৫) “ইসলাম আছে আমার অন্তরের ভিতর’ — এই কথাটা বলা আর পরীক্ষার হলে সাদা খাতা জমা দিয়ে “জ্ঞান আছে আমার মস্তিষ্কে” বলা একই কথা “।
১৬) “ইসলামে কোন সংস্কারের প্রয়োজন নেই। সংস্কার প্রয়োজন আমাদের মুসলিমদের মানসিকতায়”।
১৭) “মুসলিম হিসেবে গর্বিত হওয়াটা কোন স্ট্যাম্প নয় যেটা আপনার অন্তরের উপরে লাগানো থাকে, বরং এটি এমন একটি আলো যা আপনার অন্তরকে আলোকিত করে রাখে।”
১৮) “মুক্তি কী তা আপনি বুঝতে পারবেন না যদি শৃংখলা কী তা বুঝতে না পারেন”।
১৯) মানুষ যখন গর্ব করে সুন্দরভাবে কথা বলার মাধ্যমে; তুমি তখন গর্ব কর নীরবতা সহকারে অন্যের কথা সুন্দরভাবে শোনার মাধ্যমে।
২০) জ্ঞানী মূর্খকে চিনতে পারে কেননা সে জ্ঞানী। পক্ষান্তরে মূর্খ জ্ঞানীকে চিনতে পারে না, কেননা সে মূর্খ।
২১) বন্ধুত্ব একটি ছাতার ন্যায়। বৃষ্টি যতই প্রবল হয় ছাতার ততই প্রয়োজন পড়ে।
২২) পা পিছলে পড়ে যাওয়া লজ্জার কথা নয়। বরং যথা সময়ে উঠে না দাঁড়ানোই লজ্জার ব্যাপার।
২৩) ভূল করা দোষের কথা নয় বরং ভূলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা দোষণীয়।
২৪) মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে অর্থ উপার্জন করতে যেও না। কারণ, বন্ধুত্ব স্থাপনই অর্থাপর্জনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
২৫) মানুষের সাথে সে রূপ আচরণ কর যেমন তারা পছন্দ করে। নিজের পছন্দ মাফিক আচরণ কর না।
২৬) তর্কে জেতা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং বুদ্ধিমানের কাজ হল তর্কে না জড়ানো।
২৭) মানুষ যখন গর্ব করে সুন্দরভাবে কথা বলার মাধ্যমে; তুমি তখন গর্ব কর নীরবতা সহকারে অন্যের কথা সুন্দরভাবে শোনার মাধ্যমে।
২৮) তুমি যদি করো উপকার কর তবে সাবধান! কখনো তা তার কাছে উল্লেখ কর না। আর কেউ যদি তোমার উপকার করে তবে সাবধান! কখনো তা ভুলো না।
২৯) যা কিছু শোন সেগুলো থেকে সব চেয়ে ভাল কথাগুলো লিখে রাখ। আর যা কিছু লেখ সেগুলো থেকে সব চেয়ে ভালোকথা গুলো সংরক্ষণ কর আর যা কিছু শোন সেগুলো থেকে চেয়ে ভাল কথাগুলো মানুষকে বল।
৩০) যে ব্যক্তি কাউকে গোপনে উপদেশ দিল সে তাকে খুশি করল ও সুশোভিত করল আর যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে কাউকে উপদেশ দিল সে যেন তাকে লাঞ্ছিত ও কলঙ্কিত করল।
৩১) সব কিছুই ছোট আকারে শুরু হয় পাপ ছাড়া। কারণ, কেউ বড় পাপ করতে শুরু করলে আস্তে আস্তে তা তার নিকট ছোট মনে হয়। আর কোন কিছু অতিরিক্ত হলে তার মূল্য কমে যায় আদব বা ভদ্রতা ছাড়া। কারণ, আদব যতই বৃদ্ধি পায় তার মূল্য ততই বেড়ে যায়।
৩২) জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনি জ্ঞান কোথা থেকে অর্জন করেছেন? তিনি বললেন, অন্ধের কাছ থেকে। কারণ, সে মাটিতে পা ফেলে না লাঠি দ্বারা তা ভালভাবে পরীক্ষা না করে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন