প্রশ্নঃ
জুমআর নামাযে বয়ানের আগে ও খুতবার আগে যে দুই আযান দেয়া হয় এর মধ্যে কোনটা রাসুলের সময় ছিল আর কোনটা উসমান রাঃ মানুষের সুবিধার জন্য বাড়িয়েছেন? এবং এ দুই আযানের জবাবের ব্যপারে কোন পার্থক্য আছে কিনা?
জানালে উপকৃত হব।
জুমআর নামাযে বয়ানের আগে ও খুতবার আগে যে দুই আযান দেয়া হয় এর মধ্যে কোনটা রাসুলের সময় ছিল আর কোনটা উসমান রাঃ মানুষের সুবিধার জন্য বাড়িয়েছেন? এবং এ দুই আযানের জবাবের ব্যপারে কোন পার্থক্য আছে কিনা?
জানালে উপকৃত হব।
উত্তর:
হযরত উসমান রাঃএর যুগে বর্ধিত আযান হলো বর্তমানকার জুমার প্রথম আযান ৷ যেটা কেবলমাত্র মসজিদের বাইরের মানুষদেরকে সমবেত করার উদ্দেশ্যে দেয়া হয় ৷ আর দুই আযানের জবাব দেয়ার মধ্যে বড় পার্থক্য হলো, প্রথম আযানের জবাব সাধারন আযানের মতো সবাই প্রদান করবে ৷ কিন্তু দ্বিতীয় আযান যেহেতু ইমাম নামাযের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মিম্বারে উপবেশন করার পর দেয়া হয় ৷ ইমাম মিম্বারে বসার পর আবূ হানীফা রহঃএর নিকট মুসল্লীদের জন্য যাবতীয় কথাবার্তা ও নামায পড়া নিষিদ্ধ ৷ যদিও অধিকাংশের মতে নিষেধাজ্ঞা হলো খুৎবা শুরু হওয়ার পর থেকে ৷ কিন্তু ইমাম আবূ হানীফা রহঃএর কথাই বেশি সতর্কতামূলক ৷
হযরত উসমান রাঃএর যুগে বর্ধিত আযান হলো বর্তমানকার জুমার প্রথম আযান ৷ যেটা কেবলমাত্র মসজিদের বাইরের মানুষদেরকে সমবেত করার উদ্দেশ্যে দেয়া হয় ৷ আর দুই আযানের জবাব দেয়ার মধ্যে বড় পার্থক্য হলো, প্রথম আযানের জবাব সাধারন আযানের মতো সবাই প্রদান করবে ৷ কিন্তু দ্বিতীয় আযান যেহেতু ইমাম নামাযের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মিম্বারে উপবেশন করার পর দেয়া হয় ৷ ইমাম মিম্বারে বসার পর আবূ হানীফা রহঃএর নিকট মুসল্লীদের জন্য যাবতীয় কথাবার্তা ও নামায পড়া নিষিদ্ধ ৷ যদিও অধিকাংশের মতে নিষেধাজ্ঞা হলো খুৎবা শুরু হওয়ার পর থেকে ৷ কিন্তু ইমাম আবূ হানীফা রহঃএর কথাই বেশি সতর্কতামূলক ৷
و اخرج ابن أبي شيبة في مصنفه عن علي وابن عباس وابن عمر رضي الله عنهم : كانوا يكرهون الصلاة والكلام بعد خروج الإمام
"মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাতে আলী,ইবনে আব্বাস ও ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত যে, তারা ইমামের বের হওয়ার পর থেকেই নামায ও কথা বলাকে মাকরূহ মনে করতেন "
আযানের জবাবও যেহেতু কথাবলার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং জুমার দিনে দ্বিতীয় আযানের জবাব কোনো মুসল্লী দিতে পারবে না ৷ শুধু ইমাম জবাব দিবেন ৷ কেননা কথা বলার নিষেধাজ্ঞা ইমামের উপর নেই ৷ বরং ইমামের মর্যাদা রক্ষার্থেই অন্যদের জন্য কথা বলা নিষেধ ৷ ইমামের তো জবাব দিতে কোনো বাধা নেই ৷ তাই ইমাম জবাব দিবেন ৷
আযানের জবাবও যেহেতু কথাবলার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং জুমার দিনে দ্বিতীয় আযানের জবাব কোনো মুসল্লী দিতে পারবে না ৷ শুধু ইমাম জবাব দিবেন ৷ কেননা কথা বলার নিষেধাজ্ঞা ইমামের উপর নেই ৷ বরং ইমামের মর্যাদা রক্ষার্থেই অন্যদের জন্য কথা বলা নিষেধ ৷ ইমামের তো জবাব দিতে কোনো বাধা নেই ৷ তাই ইমাম জবাব দিবেন ৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন