একজন মুসলমান ভারত থেকে পাকিস্তান হিজরত করলো। সাথে তার কয়েকজন আত্মীয় স্বজনও ছিলো। সবাই এদিক সেদিক বিক্ষিপ্ত হয়ে গেলো। হিজরতের সময় লোকটির মামাও তার সাথে ছিলো। সেও কোথাও হারিয়ে গেলো। বহু খোঁজা খুঁজির পরও মামাকে আর খুঁজে পেলো না সে। পাকিস্তানে এসে দীর্ঘ মেহনতের ফলে সে বহু সম্পদের মালিক হয়ে গেলো।
:
এভাবেই কেটে গেলো বহু বছর। লোকটি এবার সুন্দর একটি বাড়ি বানানোর মনস্ত করলেন। ঘরের নির্মান কাজ শুরু হওয়ার পর একদিন একজন শীর্ণকায় বৃদ্ধ তার কাছে এসে বললো, বাবা ! আমি ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার। প্রাকৃতিক দূর্যোগ আমাকে আত্মীয় স্বজন থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। আমাকে তোমার বাড়ির পাহারাদারির দায়িত্বটা অন্তত দাও। বিনিময়ে দু‘মুঠো খাবার দিলেই হবে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করবেন।
:
লোকটি ভাবলো, বুড়োকে রেখে দিলে মন্দ হয় না। রাত-দিন এখানে থাকবে। তাছাড়া বাড়তি খরচও হচ্ছে না। মোটামুটি কিছু দিলেই বুড়ো সন্তুষ্ট।
লোকটি বললো, বুড়ো মিয়া ! ঠিক আছে, এখানে বসে বসে আপনি পাহারা দিবেন। আপনাকে মাসে এতোটাকা মাইনে দেবো। বৃদ্ধ কথা মতো ডিউটি পালনে লেগে গেলো।
:
বুড়ো মানুষ ! শরীরও দুর্বল। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে প্রায়শই ঠিক মতো ডিউটি করতে পারেন না। ধীরে ধীরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাড়ির মালিক। গালি-গালাজও করে। বৃদ্ধ একাকি কেঁদে কেঁদে বুক ভাসায়। দিনে দিনে গালি-গালাজের মাত্রা বাড়তে থাকে। কখনো আবার ক্ষিপ্ত হয়ে গায়েও হাত তুলতে চায়। ফলে একদিন বৃদ্ধ বললো, বাবা ! রিযিকের মালিক আল্লাহ। তোমার ইচ্ছে হলে আমাকে বের করে দাও। আমি অন্য কোথাও চলে যাবো। আমি ভাগ্যের নির্মমতার শিকার হয়ে তোমার কাছে এসেছি। না হয় আমার সব ছিলো। আমি হিজরত করে এসেছিলাম আত্মীয় স্বজনের সাথেই। কিন্তু যুগান্তরের দূর্বিপাক আমার সব কেড়ে নিয়েছে। আমি তাদের হারিয়ে ফেলেছি। বলেই বৃদ্ধ কাঁদতে শুরু করলো।
:
যুবক ভাবনায় পড়ে গেলো। বললো, বাবা! আপনার হিজরতের পূর্ণ কাহিনি আমাকে খুলে বলুন । বৃদ্ধ একএক করে সব খুলে বললেন। ঘটনার বিবরণ শুনে যুবক নিশ্চিত হলো যে, এই বৃদ্ধ আর কেউ নন। তিনি তার সেই মামা যার বিচ্ছেদে সে অস্থির হয়ে আছে।
:
এবার যুবক বৃদ্ধের পা-জড়িয়ে ধরে বললো, মামা! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি মারাত্মক অন্যায় করে ফেলেছি। এই বাড়ি আপনার। আপনি যেভাবে ইচ্ছা এ বাড়ি ব্যাবহার করুন। বৃদ্ধ এবার যুবককে বুকে টেনে নিলেন। বহু বছরের বিচ্ছেদ অনলকে শান্ত করলেন চোখের তপ্ত অশ্রু ঢেলে।
:
বন্ধুরা ! পরিচয় না থাকার কারণে কী অবিচারটাই না করেছিলো যুবক। আর পরিচয় হওয়ার পর কেমন পাল্টে গেলো আচরণ। যাকে আগে গালি-গালাজ করতো এখন তার পায়ে পড়ে আছে।
সমাজের বহু মানুষ আজ প্রভুর বড়ত্ব সম্পর্কে না জেনে তাঁর বিধান থেকে বে-খবর। গাফেল। যাচ্ছেতাই জীবনাচারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। প্রভুর বিধানকে লঙ্ঘন করে চলেছে অহরহ। যদি তাদেরকে হাতধরে টেনে এনে শুধু একবার প্রভুর দরবারে হাজির করা যায় তাহলে হয়তো তারাও মত্ত হয়ে যাবে প্রভুর প্রেমে। প্রভুর সাথে তাদের গড়ে উঠবে প্রেমের সম্পর্ক। সমাজে বিরাজিত হবে শান্তির সুবাতাস।
:
তাই আসুন না ! আমরা সকলে ঐ প্রভুভোলা মানুষ গুলোকে পরিচয় করিয়ে দেই প্রভুর সাথে।
:
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন। আমীন।।
:
এভাবেই কেটে গেলো বহু বছর। লোকটি এবার সুন্দর একটি বাড়ি বানানোর মনস্ত করলেন। ঘরের নির্মান কাজ শুরু হওয়ার পর একদিন একজন শীর্ণকায় বৃদ্ধ তার কাছে এসে বললো, বাবা ! আমি ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার। প্রাকৃতিক দূর্যোগ আমাকে আত্মীয় স্বজন থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। আমাকে তোমার বাড়ির পাহারাদারির দায়িত্বটা অন্তত দাও। বিনিময়ে দু‘মুঠো খাবার দিলেই হবে। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করবেন।
:
লোকটি ভাবলো, বুড়োকে রেখে দিলে মন্দ হয় না। রাত-দিন এখানে থাকবে। তাছাড়া বাড়তি খরচও হচ্ছে না। মোটামুটি কিছু দিলেই বুড়ো সন্তুষ্ট।
লোকটি বললো, বুড়ো মিয়া ! ঠিক আছে, এখানে বসে বসে আপনি পাহারা দিবেন। আপনাকে মাসে এতোটাকা মাইনে দেবো। বৃদ্ধ কথা মতো ডিউটি পালনে লেগে গেলো।
:
বুড়ো মানুষ ! শরীরও দুর্বল। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে প্রায়শই ঠিক মতো ডিউটি করতে পারেন না। ধীরে ধীরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাড়ির মালিক। গালি-গালাজও করে। বৃদ্ধ একাকি কেঁদে কেঁদে বুক ভাসায়। দিনে দিনে গালি-গালাজের মাত্রা বাড়তে থাকে। কখনো আবার ক্ষিপ্ত হয়ে গায়েও হাত তুলতে চায়। ফলে একদিন বৃদ্ধ বললো, বাবা ! রিযিকের মালিক আল্লাহ। তোমার ইচ্ছে হলে আমাকে বের করে দাও। আমি অন্য কোথাও চলে যাবো। আমি ভাগ্যের নির্মমতার শিকার হয়ে তোমার কাছে এসেছি। না হয় আমার সব ছিলো। আমি হিজরত করে এসেছিলাম আত্মীয় স্বজনের সাথেই। কিন্তু যুগান্তরের দূর্বিপাক আমার সব কেড়ে নিয়েছে। আমি তাদের হারিয়ে ফেলেছি। বলেই বৃদ্ধ কাঁদতে শুরু করলো।
:
যুবক ভাবনায় পড়ে গেলো। বললো, বাবা! আপনার হিজরতের পূর্ণ কাহিনি আমাকে খুলে বলুন । বৃদ্ধ একএক করে সব খুলে বললেন। ঘটনার বিবরণ শুনে যুবক নিশ্চিত হলো যে, এই বৃদ্ধ আর কেউ নন। তিনি তার সেই মামা যার বিচ্ছেদে সে অস্থির হয়ে আছে।
:
এবার যুবক বৃদ্ধের পা-জড়িয়ে ধরে বললো, মামা! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি মারাত্মক অন্যায় করে ফেলেছি। এই বাড়ি আপনার। আপনি যেভাবে ইচ্ছা এ বাড়ি ব্যাবহার করুন। বৃদ্ধ এবার যুবককে বুকে টেনে নিলেন। বহু বছরের বিচ্ছেদ অনলকে শান্ত করলেন চোখের তপ্ত অশ্রু ঢেলে।
:
বন্ধুরা ! পরিচয় না থাকার কারণে কী অবিচারটাই না করেছিলো যুবক। আর পরিচয় হওয়ার পর কেমন পাল্টে গেলো আচরণ। যাকে আগে গালি-গালাজ করতো এখন তার পায়ে পড়ে আছে।
সমাজের বহু মানুষ আজ প্রভুর বড়ত্ব সম্পর্কে না জেনে তাঁর বিধান থেকে বে-খবর। গাফেল। যাচ্ছেতাই জীবনাচারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। প্রভুর বিধানকে লঙ্ঘন করে চলেছে অহরহ। যদি তাদেরকে হাতধরে টেনে এনে শুধু একবার প্রভুর দরবারে হাজির করা যায় তাহলে হয়তো তারাও মত্ত হয়ে যাবে প্রভুর প্রেমে। প্রভুর সাথে তাদের গড়ে উঠবে প্রেমের সম্পর্ক। সমাজে বিরাজিত হবে শান্তির সুবাতাস।
:
তাই আসুন না ! আমরা সকলে ঐ প্রভুভোলা মানুষ গুলোকে পরিচয় করিয়ে দেই প্রভুর সাথে।
:
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন। আমীন।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন