১. আদম আ
(মানব জাতির প্রথম পুরুষ । বেহেশত থেকে পৃথিবীতে সরাসরি অবতীর্ন করা হয় তাকে । মানব জাতির আদী মাতার নাম হাওয়া । )
(মানব জাতির প্রথম পুরুষ । বেহেশত থেকে পৃথিবীতে সরাসরি অবতীর্ন করা হয় তাকে । মানব জাতির আদী মাতার নাম হাওয়া । )
২. শীষ (অর্থ “আল্লাহর দান”)
৩. ইয়ানিশ (অর্থ সত্যবাদী)
৪. কায়নান (অর্থ সমান)
৫. মাহলীল (অর্থ প্রশংসিত)
৬. ইয়ারদ (অর্থ হচ্ছে নিয়ন্ত্রক)
৭. আখনুখ
(সম্ভবত ইনি হযরত
ইদরীস আ, আদম আ এর পর প্রথম নবী, কলম দিয়ে তিনি ই প্রথম লেখার সূচনা করেন )
৮. মাতু শালাখ
( এর অর্থ হচ্ছে যার
দুত মারা গেছে , উনি মার্তৃগর্ভে থাকাকালীন তার বাবা-আখনুখ মারা যান)
৯. লামাক
১০. নূহ আ:
(নুহ আ এর আসল নাম
আব্দুল গাফ্ফার, নূহ শব্দটির অর্থ কান্না, সম্ভবত তিনি আল্লাহর ভয়ে প্রচুর কাদতেন বলে তার
এমন নাম হয়েছিল । হিন্দু ধর্মশাস্ত্রের বর্ণিত “মনু” ই হচ্ছেন নূহ আ, ইতিহাসের বিশ্লেষণ
থেকে দেখা যায় ভারতবর্ষে হিন্দুজাতির আগমন নুহ আ এর প্লাবনের পরেই হয়েছিল । সরাসরি
নুহ আ এর উম্মত হচ্ছেন আজকের হিন্দু জাতি )
১১. সাম
১২. আরফাখশাজ (অর্থ জ্বলন্ত প্রদীপ)
১৩. শালেখ (অর্থ প্রতিনিধি)
১৪. আয়বার
১৫. ফালেখ
১৬. রাউ
১৭. সারূগ
১৮. নাহুর (অর্থ কুরবানীদাতা)
১৯. তারেহ (অন্য নাম আযার –
অর্থ , হে খোড়া ব্যাক্তি)
২০. ইবরাহীম আ
(শব্দটির মুল রূপ
হলো, আবূন রহিম যার অর্থ দয়ালু পিতা, খৃষ্টানদের মধ্যে
প্রচলিত নামটির রূপ হচ্ছে আব্রাহাম, মূলত বর্তমানে
প্রচলিত জাতিগুলির সবাই ইবরাহীম আ
এর প্রতি সমানভাবে সম্মান প্রদর্শন করে থাকে… মহানবী সা এর নবুওতের সময়েও আল্লাহ বিভিন্ন সময়ে আরবের মুশরিক, ইয়াহুদী খৃষ্টানদেরকে “ইবরাহীমের দ্বীন” এর প্রতি আহবান জানিয়েছেন ।
এর প্রতি সমানভাবে সম্মান প্রদর্শন করে থাকে… মহানবী সা এর নবুওতের সময়েও আল্লাহ বিভিন্ন সময়ে আরবের মুশরিক, ইয়াহুদী খৃষ্টানদেরকে “ইবরাহীমের দ্বীন” এর প্রতি আহবান জানিয়েছেন ।
২১. ইসমাঈল আ
(অর্থ আল্লাহর
অনুগত- আল্লাহর নির্দেশে কুরবানী হতে পিতার ছুড়ির নিচে শুয়ে পড়েছিলেন নির্দিধায়, কুরবানীর ইতিহাস
এখান থেকেই শুরু, তিনি ১৩০ বছর বেঁচে ছিলেন,তার মাতা হাজেরা মিশরীয় বংশদ্ভুত ছিলেন – রাসুল
সা এর ওসীয়ত আছে এব্যাপারে, তিনি বলে দিয়েছিলেন সাহাবাদের, যেন মিশর জয় করার
পরে তার অধিবাসীদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করা হয়, কারন, মুসলিম রাষ্ট্রের
বিজিত অমুসলিম নাগরিক আইনানুগ ভালো ব্যবহার এর অধিকারী এবঙ আত্মীয়তার সূত্রেও …)
২২. নাবিত
২৩. ইয়াশজাব ( অর্থ হচ্ছে নিন্দুক)
২৪. ইয়ারাব
২৫. তায়রা (দু:খ ভারাক্রান্ত)
২৬. নাহুর (পৃর্ববর্তী আরেক পুরুষের একই নাম রয়েছে)
২৭. মুকাওয়াম
২৮. উদাদ (স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা-শাব্দিক
অর্থ)
২৯. আদনান (অর্থ চিরস্থায়ী)
৩০. মায়াদ (অর্থ শক্তিমান)
৩১. নিযার (শাব্দিক অর্থ অল্প)
৩২. মুযার (মুল শব্দরূপ মাযীরা, যা দুধের তৈরী
একধরনের খাদ্যের নাম)
৩৩. ইলয়াস
(অর্থ, এমন বীর যিনি কখনও
যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাননা)
৩৪. মুদরাকা (তার ২ ছেলে, খুযায়মা ও হুজায়ল)
৩৫. খুযায়মা
(এর শাব্দিক অর্থ
হচ্ছে কোন কিছুকে শক্ত করে বাধা, তার ৪ ছেলে, কিনানা, আসাদ, আসাদাহ ও হুন)
৩৬. কিনানা
(তার মায়ের নাম
আওয়ানা, তার ৪ ছেলে, নাজর ,
মালিক, আবদে মানাত, মিলকান, শেষ তিন জনের মা ভিন্ন)
মালিক, আবদে মানাত, মিলকান, শেষ তিন জনের মা ভিন্ন)
৩৭. নাজর
(তার মা বাররাহ যার
বংশ উপরের দিকে ইলয়াস(৩৩)এ একত্রিত হয়েছে , নাজরের নামই ছিলো
কুরাইশ)
৩৮. মালিক (মালিকের মায়ের নাম আতিকা)
৩৯. ফিহের
(ফিহের শব্দটির
অর্থ হচ্ছে লম্বা পাথর, তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে, গালিব, মুহারিব, হারিস ও আসাদ এবং জান্দালাহ এর মায়ের নাম লায়লা)
৪০. গালিব (তার তিন ছেলে লুআঈ, তায়ম ও কায়সের
মায়ের নাম সালমা)
৪১. লুয়াই
(তার ৭ ছেলে, কা’আব, আমির, সামাহ এর মায়ের
নাম মাবিয়াহ । আওফ, সাদ, খুজাইমাহ হারিস এর মা ভিন্ন ভিন্ন )
৪২. কা’আব
(রাসুল সা এর আগে
ইনিই প্রথম আরব ঐক্যের ডাক দেন । কারো কারো মতে সপ্তাহের একটি দিনকে জুমআ নামটিও
তার দেয়া, এই দিনে তিনি কুরাইশদের একত্রিত করে রাসুল সা এর আগমনের কথা আলোচনা করতেন , তার তিন পুত্র ছিল,
মুররা, আদী, হুসায়স এর মায়ের নাম ওয়াহশ্যিয়া যার পুর্বপুরুষ ফিহের (৩৯))
মুররা, আদী, হুসায়স এর মায়ের নাম ওয়াহশ্যিয়া যার পুর্বপুরুষ ফিহের (৩৯))
৪৩. মুররা
(শব্দটির অর্থ
অতিশয় তিক্ত, তার ৩ ছেলে, কিলাব, তায়ম, ইয়াকাযা)
৪৪. কিলাব (তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে)
৪৫. কুসাই (তার ৪ পুত্র ও ৪ মেয়ে ছিল)
৪৬. আবদে মানাফ (অন্য নাম মুগীরা)
৪৭. হাশিম
(তার ৪ ছেলে -আব্দুল
মুত্তালিব, আসাদ, আবূ সায়ফী, নাযলাও ৫ মেয়ে – শিফা, খালিদা, যাঈফা, রুকায়্যা, হাইয়া.. আব্দুল মুত্তালিব ও রুকায়্যা আপন ভাইবোন ছিলেন ।
৪৮. আব্দুল
মুত্তালিব
(আসল নাম শায়বা, তার এই নামের কারন
জন্মের সময়েই তার মাথায় পাকা চুল পাওয়া গিয়েছিল , তিনি ১৪০ বছর বেচে
ছিলেন, তিনিই নাকি চুলে কলপ ব্যবহার করেন সর্বপ্রথম, তার ১০ ছেলে ও ৬
মেয়ে ছিল…আব্বাস, হামজা, আব্দুল্লাহ, আবু তালিব, যুবায়র, হারিছ, হাজলা, মুকাব্বিম, যিরারা, আবু লাহাব.. এবং মেয়েরা … সাফিয়্যা, উম্মে হাকীম বায়যা, আতিকা, উমায়মা, আরওয়া, বাররাহ) )
৪৯. আবদুল্লাহ
(তিনি পিতার সবচেয়ে
স্নেহভাজন ছিলেন । যমযম কুপের সংস্কার করতে গিয়ে বিরোধ বাধলে আব্দুল মুত্তালিব
মানত করেন তার যদি ১০ সন্তান জন্ম নেয় এবং জীবদ্দশায় বয়োপ্রাপ্ত হয় তবে ১ জনকে
কুরবানী করবেন । পরবর্তীতে তীর টানা (এক ধরনের লটারী) য় আব্দুল্লাহর নাম চলে আসে ।
তিনি মানত পৃর্ন করতে উদ্যত হলেও অন্যান্য কুরায়শদের বাধা ও পরামর্শে হিজাজের জনৈক
মহিলা জোতীষীর পরামর্শ নিয়ে ১০০ উট আব্দুল্লাহর পরিবর্তে কুরবানী দেয়ার মানত করার
পরে তীর টানায় আব্দুল্লাহর পরিবর্তে উটের নাম চলে আসে । )
৫০. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
(রাসুল সা এর মাতা
আমিনা সমগ্র কুরাইশ বংশের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ও মর্যাদাসম্পন্ন মহিলা ছিলেন ।আবদে
মানাফ (৪৬)থেকে তার পির্তৃবংশ আলাদা হয়ে গেছে । এবঙ তার মায়ের বংশ কুসাই(৪৫) থেকে
আলাদা হয়েছে । রাসুল সা এর মুহাম্মদ নাম আমিনাকে স্বপ্নের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে
। এর আগে আরবে আরো ৩ জনের মুহাম্মদ নাম ছিলো । তাদের পিতা রা জেনে ফেলেছিল যে
সর্বশেষ নবী যার আগমনের সময় আসন্ন তার নাম মুহাম্মদ হবে । )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন