এখন যেহেতু উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে, সর্ব প্রকার ভাল-মন্দ বিশদ ভাবে বর্ণনা করিয়া দেওয়া হইয়াছে, একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা দেওয়া হইয়াছে, কাজেই রিসালাত ও নবুওয়াতের ধারা বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছে এবং অতীতে কাজ নবী ও রসূলগণের দ্বারা লওয়া হইতে ছিল তা কিয়ামাত পর্যন্ত উম্মতে মুহাম্মাদীর উপরে ন্যাস্ত করা হইয়াছে।
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّـهِ
অর্থঃ হে উম্মতে মুহাম্মাদী! তোমরা শেষ্ঠ উম্মত। তোমাদিগকে মানুষের কল্যাণের জন্য পাঠানো হইয়াছে। তোমরা সৎ কাজসমূহকে মানুষের মাঝে প্রসার কর এবং অসৎ কাজ হইতে তাহাদিগকে ফিরাইয়া থাক এবং আল্লহ তায়া’লার উপর ঈমান রাখ। (আল-ইমরানঃ১১০)
وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
অর্থঃ তোমাদের মধ্যে এমন জামাত থাকা চাই, যাহারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহবান করে এবং ভাল কাজের হুকুম করে ও মন্দ কাজ হইতে নিষেধ করে–এই কাজ যাহারা করে একমাত্র তাহারাই কামিয়াব। (আল-ইমরানঃ১০৪)
প্রথম আয়াতে শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার কারণ কবলা হইয়াছে যে, তোমরা সৎ কাজের প্রসার করিয়া থাক এবং অসৎ কাজ হতে ফিরাইয়া থাক। দ্বিতীয় আয়াতে নির্দিষ্ট করিয়া বলিয়া দিয়াছেন যে কামিয়াবী সফলতা একমাত্র ঐ সকল লোকদের জন্যই যাহারা এই কাজ করিতেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন