মানুষ যখন পৃথিবীতে আগমন করে, তখন তার কোন কর্ম করার শক্তি সামর্থ কিছুই থাকে না। খাওয়া দাওয়া এমন কি গাঁ থেকে মাছি সরানোর যোগ্যতা পর্যন্তও থাকেনা। তখন তার মাতা পিতা তার লালন পালনে সর্বদা তৎপর থাকে। কষ্ট করে তিলে তিলে বড় করে তুলে।আর সেই আদরের দুলাল যখন কর্ম করতে শিখে তখন দশ মাস দশ দিন যে গর্ভ ধারিণী মা তাকে বড় করে তুলেছে তার উপকারের প্রতিশোধ নিতে শুরু করে।আর যখন বিয়ে করে তখন পারলে মা বাবাকে বাজারে বিক্রি করে দেয়।পারে না কুকুরের মত মরধর করতে।এবং মা বাবাকে বিদ্ধাস্রম নামক কারাগারে নিক্ষেপ করে। তাদের খোঁজ খবর নেয় না।আবার কেও আছে এমন মা বাবাকে বস্তায় ভরে রাস্তার মোড়ে রেখে আসে। আরে ভাই কি বলব। একটি কুকুর তার মাঝে যে গুন আছে তা যদি কোন মানুষের মাঝে থাকতো তাহলে মানুষ আল্লাহ্ মুখি এবং মা বাবার অনুগত সন্তান হয়ে যেত। কারন কুকুরে প্রথম যে গুনটি আছে তা হল প্রভু ভক্ত । লাগাতার তাকে কয়েক দিন মাংস দিলে তার মালিকের পা ছাড়ে না।কারন সে মনে করে যে আমাকে নুন খাইয়েছে আমি তার অকৃতজ্ঞ হই কি ভাবে। এমন কি তার মালিকের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকে।আর কুকুর,গরু ছাগল এ জাতীয় প্রানী জন্মের পরেই তারা হাটতে পারে নিজের খাবারের জন্যও চাইতে পারে।আর অপর দিকে মানুষ এত অক্ষম থকে মা বাবার লালন পলনের পর যখন সক্ষম হয়ে যায় তখন তার উপকারের বদলা নিতে শুরু করে। কথায় আছে না উপকারে ঘারে লাথি তাই হচ্ছে। যার নযীর আমরা আজ আমাদের দেশে অবলোকন করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন