কুরআন মজীদে নারীদেরকে গৃহাভ্যন্তরে অবস্থানের আদেশ করা হয়েছে। ইরশাদ করেছেন, (তরজমা) আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহেলী যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না। (সূরা আহযাব (৩৩) : ৩৩)
এই আয়াতে গৃহকে নারীর দিকে সম্বন্ধ করা হয়েছে। এটি ছাড়া সমগ্র কুরআন মজীদে আর মাত্র দুটি আয়াত এমন আছে, যেখানে গৃহের সম্বন্ধ নারীর দিকে করা হয়েছে।
গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, নারীর দিকে গৃহের এই সম্বন্ধ তার মালিকানা বোঝানোর জন্য নয়; বরং তা নারীর জন্য সর্বদা গৃহে অবস্থান আবশ্যক হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।
অতএব বোঝা গেল, নারীর প্রধান কর্মক্ষেত্র ও তার সকল কর্মব্যস্ততা হবে গৃহের অভ্যন্তরে। ঘরোয়া ও সাংসারিক কাজকর্মই হবে তার প্রধান কাজ। আর পুরুষের কর্মক্ষেত্র ও কর্মব্যস্ততা হবে গৃহের বাইরে।
অতএব বোঝা গেল, নারীর প্রধান কর্মক্ষেত্র ও তার সকল কর্মব্যস্ততা হবে গৃহের অভ্যন্তরে। ঘরোয়া ও সাংসারিক কাজকর্মই হবে তার প্রধান কাজ। আর পুরুষের কর্মক্ষেত্র ও কর্মব্যস্ততা হবে গৃহের বাইরে।
নারী-পুরুষ প্রত্যেকের সমাজ হবে আলাদা। নারীর বিশেষ সমাজ শুধু নারীর সঙ্গে; গৃহের অভ্যন্তরে। আর পুরুষের বিশেষ সমাজ হবে শুধু পুরুষের সঙ্গে ও গৃহের বাইরে।
তো ইসলামে যেহেতু নারীকে ঘরে অবস্থানের বিধান দেওয়া হয়েছে তাই সমাজের কর্তব্য, তাকে এই বিধান পালনের সুযোগ দেওয়া। চাপ প্রয়োগ করে বা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নারীকে এই বিধান পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এটা নারীর ধর্মীয় অধিকার।
তো ইসলামে যেহেতু নারীকে ঘরে অবস্থানের বিধান দেওয়া হয়েছে তাই সমাজের কর্তব্য, তাকে এই বিধান পালনের সুযোগ দেওয়া। চাপ প্রয়োগ করে বা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নারীকে এই বিধান পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এটা নারীর ধর্মীয় অধিকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন