অার এমন ব্যাক্তিকে, যে তোমাদের সম্মুখে অানুগত্যের অালামত পেশ করে (যেমন অাসসালামু অালাইকুম বলে অথবা কালেমা পড়ে ) এই রূপ বলিয়া দিওনা যে, তুমি (অান্তরিক ভাবে) মুসলমান নও। তোমরা পার্থিব জীবনের সামগ্রী তালাশ করিতেছ, অথচ অাল্লাহ তায়ালার নিকট প্রচুর গনিমতের মাল রহিয়াছে। ( নিসাঃ৯৪)
উপরোক্ত অায়াত সমূহে এই বিষয়ে সতর্ক করা হইয়াছে যে, কোন কোন মুসলমান কোন কোন কাফেরকে, যাহারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করিত গনিমতের মালের অাগ্রহে কতল করিয়া দিয়াছিল।
এই পরিপ্রেক্ষিতে এই সমস্ত অায়াত নাযিল হয় যে, শুধু মাত্র তুচ্ছ দুনিয়ার মাল কামাই করিবার জন্য এই ঘৃন্য কাজ করা হইয়াছে।
অর্থাৎ একজন মুসলমান একজন কাফেরের উপর হামলা করিল। সে তাড়াতাড়ি কালেমা পড়িয়া লইল। এতদসত্বেও সেই মুসলমান তাহাকে কতল করিয়া দিল। যখন রসূল (সাঃ) জানিতে পারিলেন, তখন তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলেন। সেই মুসলমান ওজর করিলেন যে, এই ব্যাক্তি শুধু ভয়ের কারণে কালেমা পড়িয়াছিল। রসূল (সাঃ) বলিলেন, তুমি কি তাহার দিল চিরিয়া দেখিয়া লইয়াছিলে যে, সে ভয়ের কারনে পড়িয়াছে? (দূররে মানসুর)
অাল্লাহ তায়ালা সীমালংঘন করিবার অনুমতি কোথাও দেয় নাই। শুধু পার্থিব স্বার্থের কারনে কাফেরদের উপর জুলুম ও বাড়াবাড়ি করিতেও শরীয়ত কখনও অনুমতি দেয় না।
সূরা মায়েদার শুরুতে অাল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
" মক্কার কাফেরগণ যাহারা তোমাদিগকে হোদায়বিয়ার ওমরার সময় মক্কায় প্রবেশ করিতে বাধা দিয়াছিল এবং তোমাদের ওমরা না করিয়া মক্কা মুকাররমার নিকট হইতে অকৃতকার্য হইয়া ফিরিয়া অাসিতে হইয়াছিল। ইহার গোস্বা ও জিদ যেন তোমাদিগকে সীমা অতিক্রম করিতে না দেয়। এমন যেন কখনও না হয় যে, তোমরা বাড়াবাড়ি করিতে অারম্ভ কর। তোমরা নেক কাজ ও তাকওয়ার কাজে একে অপরকে সাহায্য কর। (মায়েদাঃ২)
" মক্কার কাফেরগণ যাহারা তোমাদিগকে হোদায়বিয়ার ওমরার সময় মক্কায় প্রবেশ করিতে বাধা দিয়াছিল এবং তোমাদের ওমরা না করিয়া মক্কা মুকাররমার নিকট হইতে অকৃতকার্য হইয়া ফিরিয়া অাসিতে হইয়াছিল। ইহার গোস্বা ও জিদ যেন তোমাদিগকে সীমা অতিক্রম করিতে না দেয়। এমন যেন কখনও না হয় যে, তোমরা বাড়াবাড়ি করিতে অারম্ভ কর। তোমরা নেক কাজ ও তাকওয়ার কাজে একে অপরকে সাহায্য কর। (মায়েদাঃ২)
মোট কথা অনেক জায়গায় এই বিষয়ের উপর সতর্ক করা হইয়াছে যে, মুসলমান যেন ইনসাফ ও ন্যায়পরায়নতা হইতে বিচ্যুত না হয় এবং সীমা অতিক্রম না করে।
তাই সকল মুসলমান ভাইকে অনুরোধ করছি, প্রত্যেকে (অালোচনা সমালোচনায় )যেন সীমা অতিক্রম না করি এবং অামাদের মহব্বত যেন বাকী থাকে ।
এর জন্য অবশ্য অামাদের একটু (ত্যাগ ) কোরবানী হবে।
অাসুন কোরবানী দিয়ে কোরবানীর গুন অর্জন করি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন