হযরত সাফিয়্যা বিনতে শাইবা বলেন, ‘‘আমরা আয়েশা রা.-এর কাছে বসা ছিলাম। কুরাইশ গোত্রের নারী এবং তাদের গুণাবলির প্রসঙ্গ আলোচনায় এল। তখন হযরত আয়েশা রা. বললেন, কুরাইশ বংশের নারীদের বিশেষত্ব অবশ্যই আছে, তবে আমি আনসারী নারীদের চেয়ে কিতাবুল্লাহ্র প্রতি অধিক বিশ্বাসী ও আস্থাশীল আর কাউকে দেখিনি।
যখন সূরা নূরের এই আয়াত অবতীর্ণ হল-
وليضربن بخمرهن على جيوبهن
‘এবং তারা যেন তাদের বক্ষদেশে ওড়না জড়িয়ে রাখে’
وليضربن بخمرهن على جيوبهن
‘এবং তারা যেন তাদের বক্ষদেশে ওড়না জড়িয়ে রাখে’
তখন তাঁদের পুরুষগণ নিজ-নিজ ঘর বাড়িতে তাদের স্ত্রী, কন্যা ও বোনদের গিয়ে এই আয়াত শোনালেন আর অমনি তারা বড় বড় চাদর দিয়ে নিজেদেরকে সম্পূর্ণরূপে আবৃত করে ফেলল। এটা ছিল আল্লাহ্র কিতাবের প্রতি তাদের নিষ্কম্প বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।
কিতাবুল্লাহ্র প্রতি আনসারী সাহাবিয়াগণের এই একনিষ্ঠ আনুগত্যের বর্ণনা দেওয়ার পর ড. মুহাম্মাদ আলী আলহাশেমী বলেন, এবার আমি দামেস্ক ইউনিভার্সিটির একজন মুসলিম পর্দানশীন তরুণীর কথা বলব, যার অন্তরের অবিচল আনুগত্যও সেই মহান আনসারী সাহাবিয়াগণের সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ। তাকে একজন অতিথি সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিল, ‘‘এই প্রচন্ড গ্রীষ্মের গরমে আপনি কীভাবে বোরকাবৃত থাকেন? আপনার কি গরম লাগে না?
তরুণীটি এর উত্তরে কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করলেন-
قل نار جهنم أشد حرا
‘বলে দিন, জাহান্নামের আগুন এরচেয়ে অনেক বেশি উত্তপ্ত।’
قل نار جهنم أشد حرا
‘বলে দিন, জাহান্নামের আগুন এরচেয়ে অনেক বেশি উত্তপ্ত।’
নিঃসন্দেহে এমন পবিত্রাত্মা মুসলিম নারীর মাধ্যমেই মুসলিম ঘরসমূহ আবাদ হয়, নতুন প্রজন্ম গড়ে ওঠে পবিত্র বৈশিষ্ট্যাদি নিয়ে এবং এদের মাধ্যমেই মুসলিমসমাজে জন্ম নেয় সমাজসংস্কারক কর্মবীর সন্তানেরা।’’-শাখসিয়্যাতুল মারআতিল মুসলিমা ৫১-৫২
আসলে এ জাতীয় প্রশ্ন আসে আল্লাহর বিধানের প্রতি সমর্পণের অভাব থেকে। নইলে প্রচন্ড গরমে ভরদুপুরের রোদে গামবুট আর খাকি পোশাক পরা পুলিশ বা আর্মিকে তো কেউ জিজ্ঞেস করে না-এত মোটা পোশাক পরে আছেন, আপনার গরম লাগে না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন