বর্তমান জমানায় অালেমগণের প্রতি যে শুধু খারাপ ধারনা বা তাদেরকে অবহেলা করা হয় তাহাই নহে,
বরং বিরোধীতা ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যও সব রকম ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে অবলম্বন করা হইতেছে। বস্তুতঃ দ্বীনের জন্য এহেন পরিস্থিতি অত্যান্ত ভয়াবহ, মারাত্মক ও ক্ষতিকর।
ইহাতে সন্দেহ নাই যে, দুনিয়াতে যে কোন দলে ভালর মধ্যে মন্দও রহিয়াছে তেমনি অালেমগনের মধ্যেও সত্য মিথ্যা ও ভাল মন্দ উভয় প্রকারের সংমিশ্রন অাছে।
খাটি হক্কানী ওলামায়ে কেরামও যেহেতু মানুষ , তাহারা নিষ্পাপ নহেন, নিষ্পাপ হওয়াতো অাম্বিয়ায়ে কেরামদের বৈশিষ্ট্য, কাজেই তাহাদের ভুল ত্রুটির জন্য তাহারাই দায়ী থাকিবে।
হাদিসে এরশাদ হইয়াছে
যে ব্যাক্তি অামাদের বড়দের সন্মান করে না, অামাদের ছোটদের স্নেহ করেনা, অামাদের অালেমদের শ্রদ্ধা করে না, সে অামার উম্মতের মধ্যে নহে। ( তারগীবঃ অাহমদ, হাকেম )
যে ব্যাক্তি অামাদের বড়দের সন্মান করে না, অামাদের ছোটদের স্নেহ করেনা, অামাদের অালেমদের শ্রদ্ধা করে না, সে অামার উম্মতের মধ্যে নহে। ( তারগীবঃ অাহমদ, হাকেম )
এছাড়াও অারেক হাদিসে এরশাদ হইয়াছে
তিন ধরনের মানুষকে একমাত্র মুনাফেক ছাড়া অার কেহই হেয় মনে করিতে পারে না
(এক) বৃদ্ধ মুসলমান , (২) অালেম , (৩) ন্যায় পরায়ন শাসনকর্তা (তারগীবঃ তাবারানী)
তিন ধরনের মানুষকে একমাত্র মুনাফেক ছাড়া অার কেহই হেয় মনে করিতে পারে না
(এক) বৃদ্ধ মুসলমান , (২) অালেম , (৩) ন্যায় পরায়ন শাসনকর্তা (তারগীবঃ তাবারানী)
অপর এক হাদিসে এরশাদ হইয়াছে ,
তিন ধরনের মানুষকে সন্মান করার অর্থ অাল্লাহ তায়ালাকেই সন্মান করা এক, বৃদ্ধ মুসলমান । দুই, কুরঅানের ঐ রক্ষক যে কম বেশী করে না। তৃতীয়, ন্যায় পরায়ণ বাদশা । (তারগীবঃ অাবু দাউদ)
তিন ধরনের মানুষকে সন্মান করার অর্থ অাল্লাহ তায়ালাকেই সন্মান করা এক, বৃদ্ধ মুসলমান । দুই, কুরঅানের ঐ রক্ষক যে কম বেশী করে না। তৃতীয়, ন্যায় পরায়ণ বাদশা । (তারগীবঃ অাবু দাউদ)
সাধারণ লোকদের মনে অালেমগনের প্রতি খারাপ ধারনা সৃষ্টি করা , ঘৃনা পয়দা করা , তাহাদিগকে দূরে সরাইয়া রাখার চেষ্টা করা , মানুষের জন্য বেদ্বীন হইয়া যাওয়ার কারন হইবে। যাহারা এইরূপ করে তাহাদের জন্য অাজাব রহিয়াছে।
বড়ই দুঃখের সাথে বলতে হয় বর্তমান যুগে অামরা এই পর্যায়ে পৌছিয়াছে যে, অামাদের মতের বিপরীতে যদি কেহ কথা বলে , তবে বলনেওয়ালার হক ও সত্য হওয়ার সঠিক প্রমান থাকা সত্বেও তাহার কথা ও বক্তব্যকে নীচু করার জন্য তাহার ব্যাক্তিত্বের উপর হামলা করা হয়।
জরুরী কর্তব্য হলো , যে অালেমকে ভালো মনে হয়, সুন্নতের অনুসারী মনে হয় তাহার ইজ্জত সন্মানে কমি না করা এবং অন্য কাহারও উপর অনর্থক অাক্রমন ও কটুবাক্য বলা হইতে বিরত থাকা।
অার যাহারা অাল্লাহর নির্ধারিত সীমা লংঘন করে তাহারাই প্রকৃত জালেম ।
(কাউকে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয় নাই, প্রয়োজন মনে করে পোষ্ট করা)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন