যমীন ও আসমানের একমাত্র মালিক মহান আল্লহ তায়া’লার সত্য ওয়াদা রহিয়াছে যে, পৃথিবীর বাদশাহী ও খেলাফত একমাত্র মুমিনদের জন্য। পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ হইয়াছে–
وَعَدَ اللَّـهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ
তোমাদের মধ্যে যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং নেক আমাল করিয়াছে তাহাদের সহিত আল্লহ তায়া’লা ওয়াদা করিয়াছেন যে, অবশ্যই তাহাদিগকে পৃথিবীতে খিলাফত দান করবেন। । (সূরা নূরঃ ৫৫)
আর ইহাও সান্ত্বনা দিয়াছেন যে, মুমিনগণ সর্বদা কাফেরদের উপর জয়ী থাকিবে এবং কাফেরদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী থাকিবেন না। যেমন পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ হইয়াছে–
وَلَوْ قَاتَلَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوَلَّوُا الْأَدْبَارَ ثُمَّ لَا يَجِدُونَ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
আর যদি এই কাফেররা তোমাদের সহিত যুদ্ধ করিত, তবে অবশ্যই তাহারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিয়া পলায়ন করিত এবং তাহারা কোন সাহায্যকারী ও বন্ধু পাইতনা। (সূরা ফাতহঃ ২২)
আর মুমিনদের মদদ ও সাহায্য আল্লহ তায়া’লার জিম্মায় রহিয়াছে এবং তাহারাই সর্বদা উন্নত শির ও মর্যাদাশীল থাকিবে।
وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ
আর মুমিনদিগকে সাহায্য করা আমার কর্তব্য (সুরা রুমঃ ৪৭)
وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
তোমরা হিম্মতহারা হইও না; দুখিতঃ হইও না, তোমরাই বিজয়ী থাকিবে যদি তোমরা পূর্ণ মুমিন হও। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৩৯)
وَلِلَّـهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ
আর ইজ্জাত শুধু আল্লহই এবং তাঁহার রসুলের এবং মুমিনদের (সূরা মুনাফিকুনঃ ৮)
উপরোক্ত আয়াতসমূহের গভীরভাবে চিন্তা করিলে জানা যায় যে, মুসলমানদের ইজ্জাত, শান-শওকত, উচ্চ মর্যাদা ও সম্মান এবং সর্বপ্রকার শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্য তাহাদের ঈমানী গুনাবলীর সহিত সম্পর্কযুক্ত যদি তাহাদের সম্পর্ক আল্লহ তায়া’লা ও রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সহিত মজবুত থাকে (যাহা ঈমানের উদ্দেশ্য) তবে সবকিছু তাহাদের। আর খোদা না করুন যাদি এই সম্পর্কের মধ্যে ত্রুটি দুর্বলতা পয়দা হইয়া গিয়া থাকে, তবে সম্পূর্ণ ধ্বংস, অপমান ও জিল্লতি রহিয়াছে। যেমন পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্ট বলিয়া দেয়া হইয়াছে–
وَالْعَصْرِ ﴿١﴾ إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ ﴿٢﴾ إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ ﴿﴾٣
যামানার কসম! মানব জাতি বড়ই ক্ষতি ও ধ্বংসের মধ্যে রহিয়াছে; কিন্তু যে সকল লোক ঈমান আনিয়াছে এবং নেক আমাল করিয়াছে এবং একে অপরকে হকের উপদেশ দিতে থাকে এবং একে অপরকে পাবন্দী করার উপদেশ দিতে থাকে। (সূরা আসর)
------------------------------------------------------------------------
(ডুবুরী হয়ে উঠাও ডুবন্ত ভাইকে , ভালোবাসো নবীর উম্মতকে নবীর অনুসারী হয়ে)
-------------------------------------------------------------------------
হযরত অাবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ননা করেন যে , রসূল ( সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যাক্তি অাপন মুসলমান ভাইয়ের প্রয়োজন মিটায় অাল্লাহ তায়ালা তাহার প্রয়োজন মিটাইয়া দেন। (অাবু দাউদ)
------------------------------------------------------------------------
(ডুবুরী হয়ে উঠাও ডুবন্ত ভাইকে , ভালোবাসো নবীর উম্মতকে নবীর অনুসারী হয়ে)
-------------------------------------------------------------------------
হযরত অাবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ননা করেন যে , রসূল ( সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যাক্তি অাপন মুসলমান ভাইয়ের প্রয়োজন মিটায় অাল্লাহ তায়ালা তাহার প্রয়োজন মিটাইয়া দেন। (অাবু দাউদ)
(সবচেয়ে বড় প্রয়োজনতো এটাই, ঈমান ও অামাল)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন