রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বাংলা ট্রিবিউন নামক একটি অনলাইন নিউজ ক্বওমী মাদ্রাসা নিয়ে একটি রিপোর্ট করলো;





ছোট ছোট বাচ্চাদের ঈদ মাটি করে তাদের দিয়ে চামড়া উঠানোর বিরুদ্ধে!  রিপোর্ট তো নয়, সত্যমিথ্যার খিচুড়ি; ডিজিটালীয় নাম তথ্যসন্ত্রাস!  আহা কি মায়া, কতো দরদ! কিন্তু সচেতন মানুষ কাউকে মাসি হতে দেখলেই যে সন্দেহে পড়ে যায়!

সমালোচনা নয়, আমরা স্যালুট দিই ক্বওমী কর্তৃপক্ষ কে, যারা সমাজের কিছু সুবিধা বঞ্চিত মানুষের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়ে নিজেদের ঈদকেই মাটি করেছেন।
আজকে যে সব শিশুদের সাথে নিয়ে তারা ধর্মপ্রাণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ধর্ণা দিয়েছেন সে সব নিরীহ শিশুরা মাদ্রাসায় না আসলে কী করতো?
হয়ত তাদেরকে কারো বাড়ীর দুয়ারে গোস্তের জন্য ধর্ণা দিতে দেখতাম; আর না হয় রাস্তায় রাস্তায় ভবঘুরে পথকলি বা টোকাই হিসেবে পেতাম।

এমনকি ছিনতাই কাজে ব্যবহূত হতেও দেখতে পারতাম!
ভারি কাজে বাংলাদেশে কম শিশু নিয়োজিত?
নিয়োগকর্তা কি ক্বওমী কর্তৃপক্ষ?
ট্রাফিকসিগনালে গাড়ী থামতেই ভিক্ষার হাত মেলে দৌড়ে আসে যে শিশু সে ও কি ক্বওমী স্টুডেন্ট? 
নিজের চেয়েও ভারি ইটের বোঝা মাথায় নিয়ে জীবনযুদ্ধে লড়াই করা ছোট্ট কিশোড় কোন মাদ্রাসার ছাত্র? 
তাদের ব্যাপারে এই মাসিদের ভূমিকা কি?

যাদের জন্য তাদের মায়াকান্না, সেই ছাত্রদের সাথে কি কথা হয়েছে কখনো?
ভেতরের খবর কজন জানেন?
বহু ছাত্রকে দেখেছি ঈদের রাতে গভীর অন্ধকারে হাতপেতে অাছে রবের দরবারে, আকুতি মিনতি, চোখের লোনাজলে বুক ভাসছে, একটাই আরজি; মা'বূদ হে, দ্বীনের এই ক্বুরবানীর জন্য আমি গুনাহগারকে কবুল করো!
ছোটদের আগ্রহটা আরো প্রবল।
তারা এটাকে কেবল নিজের রোযীর ব্যবস্থাই ভাবছে না, ভাবছে দ্বীনের জন্য ক্বুরবানী। তারা বয়সে শিশু হলেও মন মননে আবু জাহেলের হত্যাকারী মু'আজ আর মুআউয়িজ চেতনায় উদ্ভাসিত!
আমাদের চেতনায় যখন আবু জাহেলদের মানসিকতা ভর করবে, উম্মতের কিশোড় সার্দুলরা হুঙ্কারে হামলে পড়বে এটাই স্বাভাবিক।
দায়িত্ব ছিলো আমাদের, অসহায়দের অন্য-বস্ত্র-বাসস্তান-শিক্ষা আর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার!
তা করি নি।
কিন্তু যখন একদল দুনিয়াভুলা মানুষ এগিয়ে এসেছেন তখন আমাদের চেতনা পায়ূপথে বায়ু নিঃসরণের মতো উঁকিঝুঁকি মারা শুরু করেছে!
ধিক এমন দুর্ঘন্ধযুক্ত চেতনার! 
ভাববেন না আমি শিশুশ্রমের সাপোর্ট করছি!
কিন্তু শিশুরা শ্রমিক হলো কেনো?
তাদের প্রাপ্য আমরা কেনো মাদ্রাসায় পৌঁছে দিলাম না? আমাদের কাজটাই যারা করছে তাদের সমালোচনা আমরা করছি?
নিজের দায়িত্ব নিজের কাঁধে না উঠাতে পারলে চুপ থাকাই উচিত।
রিপোর্ট করা দরকার ছিলো সোনার ছেলেদের নিয়ে;
যারা নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তৃত করার জন্য ঈদের দিনে এই শিশুদের শ্রম পণ্ড করেছে, কেড়ে নিয়েছে তাদের গ্রাস!
চামড়া কেনার নামে যারা ওপেন ছিনতাইকর্ম চালিয়েছে।

"শক্তের ভক্ত নরমের যম! "

সৎসাহস না থাকলে নিউজে কাজ করতে কে বলেছে?
স্বাদে কি মানুষ তোমাদেরকে সাংঘাতিক বলে?!!! 

আমাদের সকলের পক্ষ থেকে সেইসব হৃদয়বানদের সহশ্র সালাম যারা আমাদের পরিবার সমাজ রাষ্ট্রকে বাঁচাতে নিজেদের সকল সুখকে ক্বুরবানী দিয়েছেন;
অনেক আদর আর স্নেহ সেই শিশুদের যারা ভবিষ্যত কাণ্ডারী হতে নিজেদের উৎসর্গ করেছে,

" জাযাকুমুল্লাহু খাইরা!!!!"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন