অাল্লাহওয়ালাদের পরিচয় হলো , সুন্নতের অনুসরন। কেননা, অাল্লাহ তায়ালা অাপন মাহবুব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে উম্মতের হেদায়েতের জন্য জন্য নমুনা স্বরূপ পাঠাইয়াছেন এবং পবিত্র কুরঅানে এরশাদ ফরমাইয়াছেনঃ
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّـهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّـهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّـهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আপনি বলিয়া দিন, যদি তোমরা আল্লহ তায়া’লার সঙ্গে ভালবাসা রাখ তবে তোমরা আমার অনুসরণ কর, আল্লহ তায়া’লা তোমাদিগকে ভালবাসিবেন এবং তোমাদের যাবতীয় গুনাহ মাফ করিয়া দিবেন। আল্লহ তায়া’লা খুব ক্ষমাশীল, বড় করুণাময়। (সূরা আল-ইমরন)
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّـهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّـهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّـهَ كَثِيرًا
অর্থঃ অবশ্যই তোমাদের জন্য আল্লহর রসূল সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে সুন্দর আদর্শ রহিয়াছে (সূরা আহযাবঃ ২১)
সুতরাং যে ব্যাক্তি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পূর্ন অনুসরনকারী হইবে সে~ই প্রকৃত অাল্লাহওয়ালা।
অার যে ব্যাক্তি সুন্নতের অনুসরন হইতে যত দূরে , সে ব্যাক্তি অাল্লাহর নৈকট্য হইতেও তত দূরে ।
মুফাচ্ছিরগণ লিখিয়াছেন, যে ব্যাক্তি অাল্লাহ তায়ালার সহিত মহব্বতের দাবী করে অথচ মুহাম্মদ (সাঃ) এর সুন্নতের বিরোধীতা করে সে মিথ্যুক।
অাশ্চর্যের বিষয় যে, ইসলাম ও মুসলমানের উন্নতি ও কল্যাণ সাধনের দাবীদারগন নিজেরাই অাল্লাহ ও রসূলের অানুগত্য হইতে অবাধ্য।
তাহাদের সম্মুখে যদি বলা হয় যে, ইহা সুন্নতের খেলাফ, রসূল (সাঃ) তরীকা বিরোধী, তবে যেন তাহাদিগকে বর্শা দ্বারা অাঘাত করা হয়।
এইজন্য বলতে হয়, " হে পথিক ! অামার ভয় হইতেছে তুমি কাবা শরীফে পৌছিতে পারিবেনা, যে পথ তুমি ধরিয়াছ উহা কাবার পথ নহে বরং তুর্কিস্থানের পথ"
অাসুন সুন্নাহ শিখি এবং শিখাই । গড়ে তুলি অাল্লাহওয়ালাদের মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন