অথচ এই সম্পর্কিত কুরআনের সম্বোধনসমূহ ব্যাপক যাহা উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রত্যেক ব্যক্তিকে অন্তর্ভূক্ত করে। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম, তাবেঈ’ন ও তাবে তাবেঈ’ন রহমাতুল্লহ আ’লাইহি দের জীবনী ইহার যথার্থ প্রমাণ।
দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব আলেমদের সহিত খাছ করিয়া নেওয়া অতঃপর তাহাদের উপর ভরসা করিয়া এই কাজ ছাড়িয়া দেওয়া আমাদের মারাত্মক অজ্ঞতা ও বোকামী।
উলামা কেরামদের কাজ হইল সত্যপথ বাতলাইয়া দেওয়া এবং সরল পথ দেখাইয়া দেওয়া। কিন্তু সে অনুযায়ী আমাল করাইয়া নেওয়া এবং মানুষকে ঐ পথে চালানোর দায়িত্ব অন্যদের কাজ।
যেমন নিম্নবর্ণিত হাদীসশরীফে এই বিষয়ে সতর্ক করা হইয়াছে–
অর্থাৎ, নিশ্চয়ই তোমরা সকলেই জিম্মাদার এবং তোমরা সকলেই নিজ নিজ অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হইবে। সুতরাং বাদশাহ জনগনের উপর জিম্মাদার–সে নিজ নিজ প্রজাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হইবে। গৃহকর্তা তাহার পরিবারের লোকদের ব্যাপারে জিম্মাদার–তাহাদের সম্পর্কে সে জিজ্ঞাসিত হইবে। স্ত্রী তাহার স্বামীর ঘর ও সন্তান-সন্ততির জিম্মাদার–এই সবের ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হইবে। গোলাম তাহার মনিবের সম্পদের জিম্মাদার–সে এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। অতএব, তোমরা সকলেই জিম্মাদার এবং প্রত্যেককেই তাহার অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হইবে। (বুখারী ও মুসলিম)
উপরোক্ত বিষটিকে আরেক হাদীসে আরও স্পষ্টরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে–
অর্থাৎ, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ফরমাইয়াছেন, দ্বীন হইল হিত কামনা। সাহাবাহ কেরাম রদিয়াল্লহু আ’নহুম আরজ করিলেন কাহার জন্য? ফরমাইলেন, আল্লহ তায়া’লার জন্য, আল্লহর রসূলের জন্য, মুলসমানদের ইমাম তথা আমীর ও অনুসরণীয়দের জন্য এবং সাধারণ মুসলমানদের জন্য। (মুসলিম)
যদি তর্কের খাতিরে মানিয়াও লওয়া হয় যে, ইহা উলামা কেরামেরই কাজ, তবুও বর্তমান সময়ের চাহিদা ইহাই যে, প্রত্যেক ব্যক্তি এই কাজে লাগিয়া যাইবে এবং আল্লহ তায়া’লার কালেমাকে বুলন্দ করা ও দ্বীনের হিফাজতের জন্য কোমর বাঁধিয়া লইবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন