আগেকার দিনে মুসলমান হওয়ার অর্থ ইহাই বুঝা হইত যে, নিজের জান-মাল, ইজ্জাত-আব্রু দ্বীনের প্রচার ও আল্লহ তায়া’লার কালেমাকে বুলন্দ করার জন্য কুরবান করিতে হইবে
আর যে ব্যক্তি এই কাজে গাফলতি করিত তাকে বড় নাদান মনে করা হইত।
কিন্তু আফসোস যে, আজ আমরা মুসলমান হিসাবে পরিচিত এবং চোখের সামনে দ্বীনের কাজ মিটিতেছে দেখিতেছি,
তবুও সেই দ্বীনের প্রচার-প্রসার ও হিফাযতের জন্য চেষ্টা হইতে দূরে সরিয়া থাকি।
মোটকথা, আল্লহ তায়া’লার কালেমাকে বুলন্দ করা ও দ্বীনের প্রচার-প্রসার করা যাহা মুসলমানের জীবনের মূল লক্ষ্য ও আসল কাজ ছিল এবং যাহার সহিত উভয় জাহানের কামিয়াবী ও উন্নতি জড়িত ছিল এবং যাহা ছাড়িয়া দিয়া আজ আমরা লাঞ্চিত ও বেইজ্জত হইতেছি;
এখন পুনরায় আমাদের মূল উদ্দেশ্যকে গ্রহণ করা উচিত এবং ঐ কাজকে আমাদের জীবনের অঙ্গ ও আসল কাজ বানানো উচিত।
যাহাতে আল্লহ তায়া’লার রহমত পুনরায় আসিয়া যায় এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সম্মান ও সুখ নসীব হয়।
ইহার অর্থ কখনও এই নহে যে, নিজের সমস্ত কাজ-কর্ম বাদ দিয়া শুধু এই কাজেই লাগিয়া যাইবে।
বরং উদ্দেশ্য হইল দুনিয়ার অন্যান্য জরুরত যেমন মানুষের লাগিয়াই থাকে এবং সেইগুলিকে পুরা করা হয়, তেমনি এই কাজকেও জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করিয়া ইহার জন্য সময় বাহির করা হয়।
সময় দেন ভাই সময় দেন,
অাজ অামি অনুরোধ করছি কাল অাপনি অনুরোধ করবেন অাল্লাহর কাছে, হে অাল্লাহ অামাকে সময় দেন , অামি অাবার ঈমান ও অামল বানিয়ে অাসবো, তখন বলা হবে, কখনো না।
(জ্ঞানী ব্যাক্তির জন্য রয়েছে চিন্তার উপকরন।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন