মুসলমানদের চৌদ্দ শত বছরের জীবনকে যখন ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় তখন জানা যায় যে, আমরা ইজ্জাত ও শ্রেষ্ঠত্ব, শান ও শওকত এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির একমাত্র ও একচ্ছত্র অধিকারী ছিলাম।
কিন্তু যখন ইতিহাসের পাতা হইতে নজর সরাইয়া বর্তমান অবস্থার উপর দৃষ্টিপাত করা হয় তখন আমাদিগকে চরম লাঞ্ছিত ও অপদস্থ, নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্থ জাতি হিসাবে দেখিতে পাওয়া যায়।
না আছে শক্তি-সামর্থ্য, না আছে ধন-দৌলত, না আছে শান-শওকত, না আছে পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বন্ধন, না স্বভাব ভাল, না আখলাক ভাল, না আমাল ভাল, না আচার-আচরণভাল–সব ধরণের অকল্যাণ আমাদের মধ্যে, সব ধরণের কল্যাণ হইতে আমরা বহু দূরে।
বিধর্মীরা আমাদের এই দুরাবস্থার উপর আনন্দ বোধ করে, প্রকাশ্যে আমাদের দুর্নাম গাওয়া হয় এবং আমাদের লইয়া উপহাস করা হয়।
এখানেই শেষ নয় বরং স্বয়ং আমাদের কলিজার টুকরা নব সভ্যতার প্রতি অনুরক্ত যুবকগণ ইসলামের পূত-পবিত্র বিধানসমূহকে উপহাস করে, কথায় কথায় দোষ খুজিঁয়া বেড়ায় এবং এই পবিত্র শরীয়ত কে আমালের অযোগ্য, অনর্থক ও বেকার মনে করে।
অবাক হইতে হয় যে জাতি একদা পিপাসা মিটাইয়াছে, তাহারা আজ কেন পিপাসার্ত!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন