আল্লহ তায়া’লা আপন রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন, ঈমানওয়ালাদের জন্য আপন বাহু ঝুকাইয়া রাখুন অর্থাৎ মুসলমানদের সহিত সদয় ব্যাবহার করুন। (সূরা হিজরঃ ৮৮)
আর তোমরা আপন রবের ক্ষমার দিকে দৌড়াও এবং ঐ জান্নাতের দিকে যাহার প্রশস্ততা আসমান-জমিনের প্রশস্ততার মত যাহা আল্লহ তায়া’লাকে ভয়কারীদের জন্য তৈয়ার করা হইয়াছে। (অর্থাৎ সেই উচ্চ স্তরের মুসলমানদের জন্য) যাহারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় নেক কাজের খরচ করিতে থাকে, গোস্বা নিয়ন্ত্রণকারী এবং মানুষকে ক্ষমাকারী। আর আল্লহ তায়া’লা এরূপ নেককারদিগকে পছন্দ করেন। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৩৩-১৩৪)
রহ’মানের খাস বান্দা তাহারা যাহারা জমিনের উপর বিনয়ের সহিত চলে (সূরা ফুরক্বনঃ ৬৩)
(এবং সমান সমান বদলা লওয়ার জন্য আমি অনুমতি দিয়া রাখিয়াছি যে,) মন্দের বদলা তো অনুরূপ মন্দই, (তবে ইহা সত্ত্বেও) যে ব্যক্তি ক্ষমা করিয়া দেয় এবং (পরস্পরের বিষয়ে) সংশোধন করিয়া লয় (যাহার ফলে শত্রুতা নিঃশেষ হইয়া যায় ও বন্ধুত্ব হইয়া যায়, কেননা ইহা ক্ষমা হইতেও উত্তম।) তবে ইহার সওয়াব আল্লহ তায়া’লার জিম্মায়। (আর যে ব্যক্তি বদলা লওয়ার ব্যাপারে সীমা লংঘন করে সে শুনিয়া লউক যে, নিশ্চয়ই) আল্লহ তায়া’লা জালেমদের পছন্দ করেন না। (সূরা শূরাঃ ৪০)
আর যখন তাহারা রাগন্বিত হয় তখন মাফ করিয়া দেয়। (সূরা শূরাঃ ৩৭)
(হযরত লুকমান আপন ছেলেকে উপদেশ প্রদান করেন, হে বৎস) মানুষের সহিত অনজ্ঞাসূচক ব্যবহার করিও না এবং জমিনের উপর দম্ভভরে চলিও না। নিশ্চয়ই আল্লহ তায়া’লা দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না। আর তুমি নিজ চলনে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করিও এবং (কথা বলিতে) নিম্নস্বরে বলিও অর্থাৎ শোরগোল করিও না। (উচ্চ আওয়াজে কথা বলা যদি কোন ভালগুণ হইত তবে গাধার আওয়াজ ভাল হইত; অথচ) সমস্ত আওয়াজের মধ্যে সবচাইতে খারাপ আওয়াজ হইতেছে গাধার আওয়াজ (সুরা লুক্বমানঃ ১৮-১৯)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন