ইমামরা দুনিয়া ও আখিরাতের মালিক ??? ইমামদের মর্যাদা নবীদের চেয়েও বেশি??? ইমামরা নবী ও ফেরেশতাদের চেয়েও বেশি ইলম ওয়ালা ??? (নাউজুবিল্লাহ ) পুরাটাই পড়ুন ।
ইমামপন্থী শী'আ (ইরানের আয়াতুল্লাহ খোমেনীরা ) পৃথিবীর মোট শী'আদের ৮৫ শতাংশ ।এদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থের নাম "উসূলে কাফী " । এরা মুসলমানদের "কোরআন " বিশ্বাস করে না । শীআদের কোরআন ৯০ পারা মুসলমানদের মত ৩০ পারা নয় । সেই ৯০ পারা কোরআন তাদের শেষ ইমাম নিয়ে আত্বগোপন করেছেন ।
মুসলমানদের বুখারী,মুসলিম সহ কোন হাদিসের কিতাব কেই তারা বিশ্বাস করে না।কারন হাদিস এসেছে রসূলুল্লাহ (সঃ) থেকে সাহাবা (রাঃ) দের মাধ্যমে । আর শী'আরা , সাহাবা (রাঃ) দের কাফির বলে ( নাউজুবিল্লাহ) । তাই হাদিস শী'আদের কাছে গ্রহনযোগ্য নয়।
ইমামপন্থী শী'আদের আকিদা হলো , রসূলুল্লাহ (সঃ) এর ওফাতের পর মুসলমানদের পথ প্রদর্শন ও নেতৃত্বের জন্য আল্লাহ তায়ালা ১২ জন ইমাম মনোনীত করেছেন। যাহারা হলেনঃ
১.ইমাম হযরত আলী (রাঃ) ,
২.হাসান ইবনে আলী (রাঃ) ,
৩.হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ) ,
৪.আলী ইবনে হুসাইন ওরফে জয়নুল আবেদীন,
৫.মোহাম্মদ ইবনে আলী ওরফে ইমাম বাকের ,
৬. জা'ফর সাদেক ইবনে বাকের,
৭.মূসা কাযেম ইবনে জা'ফর সাদেক,
৮.আলী রেযা ইবনে মূসা কাযেম,
৯.মোহাম্মদ তাকী ইবনে আলী রেযা,
১০.আলী নাকী ইবনে মোহাম্মদ তাকী,
১১.হাসান আসকারী ইবনে আলী নাকী,
১২.মুহাম্মদ আল মাহদী ইবনে হাসান আসকারী অর্থাৎ ইমাম মাহদী ।
যিনি শী'আ আকিদা অনুযায়ী এখন থেকে প্রায় ১১০০ বছর পূর্বে জন্মগ্রন করেন এবং ৫ বছর বয়সে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এখন পর্যন্ত তিনি "সুররা মান রা'আ " নামক গুহার মধ্যেই আত্বগোপন করে আছেন।
উপরোক্ত ইমামদের সম্পর্কে শী'আদের কুফরী আকিদা সমূহঃ
১.ইমামগণ দুনিয়া ও আখিরাতের মালিক এবং তারা যাকে ইচ্ছা দেন ও মাফ করেন। (উসূলে কাফী, ২য় খন্ড,২৬৯ পৃষ্টা)
২.ইমামগণ মানুষকে জান্নাতে ও দোযখে প্রেরণকরী ।তারা ইচ্ছে করলে যে কাউকে জান্নাতে বা দোযখে দিতে পারেন। (উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ২৮০ পৃষ্টা)
৩.ইমামগণের মর্যাদা রসূলুল্লাহ (সঃ)এর সমান এবং অন্য সকল নবীদের উর্ধ্বে। হযরত আলী(রাঃ) এর মর্যাদা মুহাম্মদ (সঃ) এর সমান। ইমামতের মর্তবা নবুওয়াত ও পয়গম্বরীর উর্ধ্বে। (হায়াতুল কুলূব,৩য় খন্ড, ১০ পৃষ্টা)
৪.ইমামগণ তাদের মৃত্যুর সময়ও জানেন এবং তাদের মৃত্যু তাদের ইচ্ছাধীন থাকে। (উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ৩৮৭ পৃষ্টা)
৫. যে ইমামকে না মানে সে কাফির।(উসূলে কাফী,১ম খন্ড, ২৬৬ পৃষ্টা)
৬. জান্নাতে যাওয়া না যাওয়া ইমামদের মান্য করা না করার উপরই নির্ভরশীল। (উসূলে কাফী, ২য় খন্ড, ২০৬ পৃষ্টা)
৭. ইমামগণের এমন ইলম আছে, যা ফেরেশতা ও নবীগণদেরও নাই। (উসূলে কাফী, ১ খন্ড, ৩৭৫ পৃষ্টা)
৮. প্রত্যেক জুমুআর রাত্রিতে ইমামগণদের মে'রাজ হয়, তারা আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌছেন ।এটা ইমামগণের জন্যই খাস। যদিও হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পুরো জীবনে ১বার মাত্র মে'রাজে গিয়েছেন এবং অন্য নবীদের সে সুযোগও হয়নি। (উসূলে কাফী, ১ খন্ড, ৩৭২ পৃষ্টা)
৯. ইমামগনদের কাছে "আল-জাফর" আছে। এটি একটি চামড়ার থলে। এতে সকল নবী ও ওছীর ইলম আছে এবং বনী ইসরাইলের সকল আলেমদের ইলম আছে। (উসূলে কাফী, ১ খন্ড, ৩৪৫ পৃষ্টা)
১০. ইমামদের কাছে "মাসহাফে ফাতেমা " রয়েছে। যাহা মুসলমানদের কুরআনের চেয়েও ৩ গুন বড়। এতে কোরআনের ১ টি হরফও নেই। ( উসূলে কাফী, ১ খন্ড, ৩৪৭ পৃষ্টা)
১১. ইমামগণের প্রতি প্রতিবছর শবে কদরে আল্লাহর নিকট থেকে এক কিতাব নাযিল হয়, যা ফেরেশতা ও "রুহ" নিয়ে আসেন। (উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ৩৬৬ পৃষ্টা)
১২.ইমামগণের অতীত ও ভবিষ্যতের ইলম জানা আছে অর্থাৎ তারা অতীত ও ভবিষ্যত জানেন। (উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ৩৮৮ পৃষ্টা)
১৩. ইমামগন যা ইচ্ছা হালাল অথবা হারাম করতে পারেন। (উসূলে কাফী, ২য় খন্ড, ৩২৬ পৃষ্টা)
১৪. ইমামগণ নবীদের মতো নিষ্পাপ। তাদের কোন গুনাহ্ই নেই। (উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ২৮৭ পৃষ্টা)
১৫.ইমামগনের জন্মের সময় মায়ের জরায়ূ দিয়ে ভূমিষ্ট হন না, উরু দিয়ে ভূমিষ্ট হন। ইমামগণ যখন মায়ের গর্ভ থেকে বাইরে আসেন ,তখন তাদের হাত মাটিতে এবং মস্তক আকাশের দিকে উঠানো থাকে। (উসূলে কাফী, ২য় খন্ড, ২২৬ পৃষ্টা)
১৭. ইমাম ব্যতীত দুনিয়া কায়েম থাকবে না। (উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ২৫২ পৃষ্টা)
১৭. ইমামগণের সামনে মুসলমানদের দিবারাত্রির আমল পেশ করা হয়।(উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ৩১৯ পৃষ্টা)
১৮. ইমামগণের আনুগত্য করা ফরয। (উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ২৬৩ পৃষ্টা)
১৯. ইমামগণের ইমামত,নবুওয়াত ও রেসালত স্বীকার করা এবং তাদের প্রতি ঈমান - বিশ্বাস স্হাপন করা নাজাতের জন্য শর্ত। (উসূলে কাফী, ১ম খন্ড, ২৫৫ পৃষ্টা)
বিঃদ্রঃ ইমামপন্থী শীআদের আকিদা - বিশ্বাস সমূহের মধ্যে অল্প সংখ্যক কুফরী আকিদা অতি স্বল্প পরিসরে এখানে তুলে ধরা হলো।
একবার ভেবে দেখুনতো এরকম আকিদা ওয়ালারা কি মুসলমান হতে পারে???
বাংলায় বিস্তারিত পড়তে চাইলে অনুগ্রহপূর্বক "ইসলামী আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ " বইটি পড়ুন।
[লেখক - মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন সাহেব (দাঃবাঃ) , শাইখুল হাদীস ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন