কলমের যা কিছু দান তা রাব্বুল কলমের ইহসান। কারণ মানুষকে তিনি শিক্ষা দান করেছেন কলমের মাধ্যমে। সুতরাং কলমের দান পেতে হলে তোমাকে যেতে হবে রাব্বুল কলমের দুয়ারে এবং চাইতে হবে দু’হাত পেতে।
শোনো বন্ধু! তুমি যদি শুধু কলম চালনা করো তাহলে কলম তোমাকে পরিচালনা করবে, কখনো এদিকে, কখনো সেদিকে, কখনো ঠিক পথে,কখনো ভুল পথে। কলমের অনুশীলনে তুমি শুধু লেখক হতে পারো, সাহিত্যের সাধক হতে পারো না। এজন্য প্রয়োজন কলমের সাথে কলবের বন্ধন। কলম ও কলব এ দুয়ের শুভ মিলনেরই নাম সাহিত্যের সাধনা। তুমি যদি হতে পারো এ দুয়ের মিলনক্ষেত্র তাহলে তুমি পেয়ে গেলে মহাসত্যের আলোক-রেখা। তোমাকে করতে হবেনা আর পথের সন্ধান। পথ নিজেই ডাকবে তোমাকে। তুমি শুধু চলবে সামনে, আরো সামনে এবং পৌঁছে যাবে আলোর ঝর্ণাধারার নিকটে। তোমার কলম থেকে ঝরবে তখন আলোর শব্দ এবং শব্দের আলো। কারণ লেখা তো কিছু না, শুধু রেখা, তাতে তুমি পাবে না সত্যের দেখা। জীবনসফরে কলমের পথে যদি সত্যের দেখা পেতে চাও তাহলে কলমের আগে রাব্বুল কলমের নৈকট্য অর্জন করো। হৃদয় যদি স্রষ্টার ডাকে সাড়া দিতে পারে, হৃদয় যদি সৃষ্টির সৌন্দর্যের বাণী শ্রবণ করতে পারে, তাহলে তোমার সামনে পরম সত্যের প্রকাশ এবং সুপ্ত রহস্যের উদ্ভাস ঘটবে। তখন তোমার কলম জীবন্ত হবে, সৃজনশীল হবে। সাহিত্যের সাধনায় তুমি সফল হবে। তোমার সাহিত্য সত্য ও সুন্দরের এবং শুভ ও কল্যাণের ধারক হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন