হায়েয-নেফাসগ্রস্থ নারীরা কি ইবাদত করতে পারবেন এই মহিমান্বিত রাতগুলোতে-
আমরা প্রত্যেকেই সলাত আদায়, কুরআন তিলায়াত, দুয়া-জিকির, দান ইত্তাদির মাধ্যমে আজ থেকে সাড়া রাত জেগে ইবাদত করবো ইন-শা-আল্লাহ কিন্তু হায়েয-নেফাসগ্রস্থ নারীর কি করনীয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না, তারা এ রাতগুলোতে সব ইবাদতই করতে পারবেন শুধু সলাত আদায় ও কুরআন তিলায়ত করতে পারবেন না-সঠিক মত অনুযায়ী। ১- তাদের করনীয় কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দোয়া ও জিকির।
দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, ওযূহীন ও (বীর্যপাত বা সঙ্গম-জনিত) অপবিত্র অবস্থায় এবং মহিলাদের মাসিক অবস্থায় আল্লাহর যিকির করা যায়।
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বক্ষণ (সর্বাবস্থায়) আল্লাহর যিকির করতেন।’ (মুসলিম-৩৭৩)
আর জিকিরের যে কি ফযিলত সেটা আমাদের সবারই জানা রয়েছে। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা হাওলা ওয়া লা-কুওয়তা ইল্লা বিল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম ওয়া বিহামদিহ এগুলো প্রতিটা ১ বার বলাতে জান্নাতে ১টা বৃক্ষ রোপণ করা হয় তার জন্য আর তাছাড়া
এই তাসবিহগুলো আল্লাহ তা’লার কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং সারা পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে রাসুল (সাঃ)-এর কাছে এই তাসবিহগুলোই সবচেয়ে প্রিয় ছিল,(মুসলিম-৩৯৮৫, মুসলিম-২৬৯৫) এছাড়াও তাসবিহগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন নিচের হাদিসটা পড়লেই- রাসুল (সাঃ) বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্ মিজানের পাল্লাকে(কিয়ামতের দিন যে দাঁড়িপাল্লায় পাপ পুণ্য মাপা হবে) পরিপূর্ণ করে দেয়। আর সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ্ আসমান ও জমিনের ফাকা অংশকে পরিপূর্ণ করে দেয়। (মুসলিম হা/২২৩)
এগুলো পাঠ করা ছাড়াও রাসুল (সাঃ)-এর উপর দরুদ পাঠ করতে পারেন-
.আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।
রাসুল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর ১বার দরুদ পাঠ করে, সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ ১০বার রহমত বর্ষণ করেন, তার ১০টি পাপ মোচন করেন, এবং তাকে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত করেন। (সহিহ নাসাই-১২৩০)
সুতরাং প্রচুর পরিমানে উপরে বর্ণিত তাসবিহ-তাহলিলগুলো এবং দরুদ পাঠ করবেন।
২- প্রতি রাতে কিছু টাঁকা দানের নিয়তে সরিয়ে রাখবেন সুযোগ মতো গরীবদের দান করে দিবেন এতে করে আপনি লাইলাতুল কদরে দান করার সওয়াব পেয়ে যাবেন যেটা কিনা ৮৩ বছর ৪ মাস ধরে একটানা দান করার চেয়ে বেশী হবে।
৩- আল্লাহ তা’লার কাছে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করবেন এবং যা কিছু চাওয়ার রয়েছে চেয়ে নিবেন এবং বেশী বেশী লায়লাতুল কদরের যে বিশেষ দুয়া রয়েছে সে দোয়া করবেন আর এভাবেই চেষ্টা করবেন সাড়া রাত জেগে আল্লাহ তা’লাকে সন্তুষ্ট করার। আর এতে করে আপনি অন্যদের চেয়ে সওয়াবে পিছিয়ে থাকবেন না ইন-শা-আল্লাহ।
আমরা প্রত্যেকেই সলাত আদায়, কুরআন তিলায়াত, দুয়া-জিকির, দান ইত্তাদির মাধ্যমে আজ থেকে সাড়া রাত জেগে ইবাদত করবো ইন-শা-আল্লাহ কিন্তু হায়েয-নেফাসগ্রস্থ নারীর কি করনীয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না, তারা এ রাতগুলোতে সব ইবাদতই করতে পারবেন শুধু সলাত আদায় ও কুরআন তিলায়ত করতে পারবেন না-সঠিক মত অনুযায়ী। ১- তাদের করনীয় কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দোয়া ও জিকির।
দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, ওযূহীন ও (বীর্যপাত বা সঙ্গম-জনিত) অপবিত্র অবস্থায় এবং মহিলাদের মাসিক অবস্থায় আল্লাহর যিকির করা যায়।
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বক্ষণ (সর্বাবস্থায়) আল্লাহর যিকির করতেন।’ (মুসলিম-৩৭৩)
আর জিকিরের যে কি ফযিলত সেটা আমাদের সবারই জানা রয়েছে। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা হাওলা ওয়া লা-কুওয়তা ইল্লা বিল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম ওয়া বিহামদিহ এগুলো প্রতিটা ১ বার বলাতে জান্নাতে ১টা বৃক্ষ রোপণ করা হয় তার জন্য আর তাছাড়া
এই তাসবিহগুলো আল্লাহ তা’লার কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং সারা পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে রাসুল (সাঃ)-এর কাছে এই তাসবিহগুলোই সবচেয়ে প্রিয় ছিল,(মুসলিম-৩৯৮৫, মুসলিম-২৬৯৫) এছাড়াও তাসবিহগুলোর গুরুত্ব বুঝতে পারবেন নিচের হাদিসটা পড়লেই- রাসুল (সাঃ) বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্ মিজানের পাল্লাকে(কিয়ামতের দিন যে দাঁড়িপাল্লায় পাপ পুণ্য মাপা হবে) পরিপূর্ণ করে দেয়। আর সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ্ আসমান ও জমিনের ফাকা অংশকে পরিপূর্ণ করে দেয়। (মুসলিম হা/২২৩)
এগুলো পাঠ করা ছাড়াও রাসুল (সাঃ)-এর উপর দরুদ পাঠ করতে পারেন-
.আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।
রাসুল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর ১বার দরুদ পাঠ করে, সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ ১০বার রহমত বর্ষণ করেন, তার ১০টি পাপ মোচন করেন, এবং তাকে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত করেন। (সহিহ নাসাই-১২৩০)
সুতরাং প্রচুর পরিমানে উপরে বর্ণিত তাসবিহ-তাহলিলগুলো এবং দরুদ পাঠ করবেন।
২- প্রতি রাতে কিছু টাঁকা দানের নিয়তে সরিয়ে রাখবেন সুযোগ মতো গরীবদের দান করে দিবেন এতে করে আপনি লাইলাতুল কদরে দান করার সওয়াব পেয়ে যাবেন যেটা কিনা ৮৩ বছর ৪ মাস ধরে একটানা দান করার চেয়ে বেশী হবে।
৩- আল্লাহ তা’লার কাছে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করবেন এবং যা কিছু চাওয়ার রয়েছে চেয়ে নিবেন এবং বেশী বেশী লায়লাতুল কদরের যে বিশেষ দুয়া রয়েছে সে দোয়া করবেন আর এভাবেই চেষ্টা করবেন সাড়া রাত জেগে আল্লাহ তা’লাকে সন্তুষ্ট করার। আর এতে করে আপনি অন্যদের চেয়ে সওয়াবে পিছিয়ে থাকবেন না ইন-শা-আল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন