কুফফার ও তাগুতী শক্তি সচেতনভাবে ইসলামের সত্যতা ও কুরআনের অলৌকিকত্বের স্বীকৃতি দিবে, একথা বিশ্বাস করাও চরম বোকামি৷ আমরা ইসলাম নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার দায়িত্ব তাদের হাতে অর্পণ করেছি৷ আমরা চাই ইসলামের বিজ্ঞানময় বিষয়াবলী তাদের হাতেই শোভা পাক৷ অথচ আমরা ভুলেই গেছি ইসলাম কখনোই তাদের নিরাপদ নয়৷
আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ওরা চায় ফুৎকার দিয়ে ইসলামের আলোকে নিভিয়ে দিতে, কিন্তু আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণতা দিবেনই৷
ওরা যখন ইসলামের ঐতিহাসিক কোনো কিছু আবিষ্কার করে, তখন আমরা মনে করি তারা মনে হয় ইসলামের বিরাট উপকার করে ফেলেছে৷ অথচ এসবের মাধ্যমে ওরা ইসলামের বারোটা বাজাতেই বদ্ধপরিকর৷ ওরা তো ইসলামের চিরন্তন শত্রু৷ তারা আবার ইসলামের পক্ষে কাজ করবে কেমনে? বাহ্যত পক্ষে দেখলেও ওদের দুর্ভিসন্ধি থাকে সুদূরপ্রসারী৷
কিছুদিন আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় চামড়ার উপর লিখিত কুরআনের হস্তলিপি আবিষ্কার করে সারাবিশ্বের মুসলিমদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিল৷ আমরা আনন্দে গদগদ হয়ে গিয়েছিলাম৷ একটু সময়ের জন্যেও একথা মাথায় আসে নি যে, ওরা তো ইসলামের দুশমন৷ ওদের এসব আবিষ্কারে ইসলামের কিছুই যায়-আসে না৷
যার কারণে আজ তারা এই হস্তলিপির ব্যাপারে একথা বলার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে যে, এই হস্তলিপি নাকি রাসূল (সা,)-এরও যামানার আগের৷ যে কুরআন দীর্ঘ তেইশ বছরে রাসূলের উপর নাযিল হলো, সেই কুরআন রাসূলের আগমনের আগে আসে কোথা থেকে? আর সাড়ে ১৪০০শ বছর পরে তারা এই আজগুবি তথ্য পায়ই বা কোথা থেকে? সেটাই তো ভাবনার বিষয়৷ কুরআনের সত্যতার উপর, রাসূলের রেসালাতের উপর কত বড় কালেমা লেপন করেছে ভেবে দেখেছেন? তাদের এসব গাঁজাখুরি আবিষ্কারের কোনো দাম নেই সচেতন মুসলিম উম্মাহর কাছে৷ বোকারাই কেবল এসব নিয়ে লাফালাফি করে৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন