এই যন্ত্রটাকে আমরা হৃদযন্ত্র বা Heart নামে চিনি। নিচে তাকালেই দেখতে পাবেন এই হৃদয় মহাশয়ের একখানা ছবি, তবে মুখ নেই বিধায় তিনি ছবির জন্য হাসিমুখে পোজ দিতে পারেননি। এই ছবিটাতে হৃদযন্ত্র কিভাবে কাজ করে, তার একটা সংক্ষিপ্ত মেকানিকাল বিবরণ দেয়া আছে। এর কোন অংশ কি যন্ত্রের মতো কাজ করে, তার নাম লেখা আছে চিহ্নিত করে।
তবে মজার ব্যাপার হল, বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, এই যন্ত্রটা নিজে থেকে তৈরি হয়ে গিয়েছে। Believe Me!! কেউ বানায় নি!! "কিছুনা" থেকে একটা কোষ হল, সেই একটা কোষ বিভাজনক্ষম কেমনে হল জানি না, তবে বিভাজিত হল, এরপর আরও বিভাজিত হল, হতেই থাকল... হতেই থাকল..., সেটা থেকে ওটা তৈরি হল, ওটা থেকে সেটা তৈরি হল, সেটা থেকে ঐটা তৈরি হল, এভাবে লাখ লাখ বছর ধরে হতে হতে এটা তৈরি হয়ে গেলো! True Story!!
আরেকটা কথা, আপনি হয়ত ভেবেছেন এই ছবিটা কেউ ফটোশপে তৈরি করেছে, মোটেই কিন্তু তা নয়।
ভিয়েতনাম এর এক জঙ্গলে কিছু ধুলাবালিওয়ালা জায়গা ছিল কয়েক লাখ বছর আগে। জানেনই তো, বালুতে সিলিকন থাকে, আর এটাও জানেন সিলিকন হচ্ছে সেমিকন্ডাক্টর। সুতরাং লাখ লাখ বছর ধরে মাটির নিচের লোহা, তামা, পাশের পাহাড় থেকে সিরামিক আর বাতাসের প্রবাহের কারণে তারে তারে গিট্টু লেগে...লেগে... তৈরি হল আইসি আর মাইক্রোচিপ। এরপর আশে পাশের গাছপালা আর বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে কার্বন জোগাড় করে তৈরি হল প্লাস্টিক। ওভাবেই লাখ লাখ বছরে তৈরি হল কীবোর্ড, মাউস, সি পি ইউ, মাউস সব। আর বিদ্যুৎ? অনেক বাতাস আছে, পাশে নদী আছে, একটা উইন্ডমিল আর একটা জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হতে আর কতক্ষণ। এরপর একটা বাঁদর এসে লাফাতে দিয়ে ভুলে সি পি ইউ অন করে দিয়ে চলে গেলো। আর কয়েকটা কাক এসে নাচানাচি শুরু করল কীবোর্ডের ওপর। লাখ লাখ বছর ধরে কাকের সেই তাণ্ডব নৃত্য চলতে থাকল(!!!) সেই কাকগুলো আর তাদের বংশধরেরা। কীবোর্ডে চাপ লেগে...লেগে... প্রগোগ্রামিং হয়ে তৈরি হল উইন্ডোজ, এরপর সেই উইন্ডোজের একটা চমৎকার ইউজার ইন্টারফেস তৈরি হল। এরপর সেই কাকগুলোর লাফালাফিতে কোড হয়ে তৈরি হল ফটোশপ। এরপর কিছু টিয়াপাখি এসে ঠোকাঠুকি শুরু করল মাউসটাকে নিয়ে। এদের এই লাফালাফি আর ঠোকাঠুকিতে লাখ লাখ বছর ধরে তৈরি হল এই ছবিটা। এরপর কয়েক হাজার বছরের মধ্যে একটা ওয়াই মাক্স মডেম তৈরি হয়ে ছবিটা ইন্টারনেটে আপলোড হয়ে গেলো। আর আমি সেটা ডাউনলোড করে এই লেখাতে দিলাম। আর পুরোটাই True Story!!! Believe Me!!! Its Logical Man!!
এবার একেবারেই শেষ কথা, একটা প্রশ্ন, আপনি কি আমার উপরের লেখার সাথে একমত হয়ে মাথা ঝাঁকাচ্ছেন? যদি ঝাঁকাতে থাকেন, তবে আপনাকে একটা বিশাল সুখবর দিচ্ছি, আপনি একজন “মহান মুক্তমনা”!!, সোজা বাংলায় নাস্তিক। কিন্তু যদি আপনি আমার লেখার সাথে একমত না হতে পারেন, যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয়, আমার কথা লজিকাল না হয় তবে আপনাকে তিরস্কার। আপনাকে দিয়ে হবে না, আপনি এখনো দাসত্বমনাই রয়ে গেছেন!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন