শিয়া-রাফেযী সম্পর্কে অজ্ঞ ও মডারেট মুসলিমদের মুখে আজকাল শিয়াদের শিখানো বুলি শুনা যায় “শিয়া-বিদ্বেষ আসলে সৌদির চাল, ওহাবীবাদ” ইত্যাদি! কিন্তু ইসলাম এর প্রথম শতাব্দী থেকে শুরু করে তাবেয়ী,হাদিসের হাফিয-বিশ্লেষণকারী, ফকীহ, মুফাসসির ও উলামা- যারা ১৭০০-১৮০০ সালের আগে দ্বীনের খিদমত করেছেন, শিয়াদের ব্যাপারে তাঁদের ফয়সালা/রায় শুনে নিলে সব পরিষ্কার হয়ে যায়! যে, কিভাবে ইমামত,সাবাঈ-মতবাদ,দ্বীনের ক্ষেত্রে মিথ্যাচার-জালিয়াতি,আল্লাহ্র সাথে শিরক ইত্যাদি কারণে তাঁরা শিয়াদের কাফের সাব্যস্ত করে উম্মাহকে সতর্ক করেছেন!
হাদিস এর গবেষক ইমামগণ তাফযিলি/রাজনৈতিক শিয়াদের ক্ষেত্রেই “শিয়াগ্রস্থ” বলে তাদের বর্ণনা নজরদারীতে রেখেছেন এবং বর্তমান শিয়াদের ন্যায় যারা তাদের ক্ষেত্রে “রাফেযী, খবিস,পরিত্যাজ্য” ইত্যাদি বলে রেখেছেন।
কথা না বড়িয়ে আসুন সরাসরি ফতোয়া দেখি-
✿ আলকামা বিন কায়স আন-নাখয়ী(র),বিখ্যাত তাবেয়ী -
শা’বী সূত্রে,আলকামা বলেন, ‘নিশ্চয়ই এই শিয়ারা আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু এর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে, যেমন, নাসারারা ঈসা ইবনে মরিয়াম(আ) এর ব্যাপারে করেছিল’ [আস সুন্নাহ(আবদুল্লাহ ইবন আহমদ) ৫৪৮/২]
✿ ইমাম শা’বী(র), হাফিযে হাদিস,ফকীহ-
> ‘শিয়া জাতি যদি পাখি হত তাহলে শকুন হত, জন্তু হলে গাধা হত’ [শরহুস সুন্নাহ-আল আলকায়ী, ১২৬৭/৭]
> ‘তোমাদের সতর্ক করছি, এই প্রবৃত্তির অনুসারী, পথভ্রষ্ট ও নিকৃষ্ট রাফেযীদের ব্যাপারে। তাদের মধ্যে ইহুদী রয়েছে যারা ইসলামকে ঘৃণা করে যেন এর মধ্যে ভ্রষ্টতা আনতে পারে;যেমনটা ইহুদী বুলস বিন শাওল(পল) খ্রিস্টানদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করে তাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। তারা ইসলামের প্রতি আগ্রহ থেকে অথবা আল্লাহর ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করেনি, বরং আহলে ইসলাম(মুস্লিমদের) প্রতি ঘৃণা থেকেই ’ [শরহুস সুন্নাহ-আল আলকায়ী, ১৪৬১/৮; আস সুন্নাহ-আলখাল্লাল ৪৯৭/১]
হাদিস এর গবেষক ইমামগণ তাফযিলি/রাজনৈতিক শিয়াদের ক্ষেত্রেই “শিয়াগ্রস্থ” বলে তাদের বর্ণনা নজরদারীতে রেখেছেন এবং বর্তমান শিয়াদের ন্যায় যারা তাদের ক্ষেত্রে “রাফেযী, খবিস,পরিত্যাজ্য” ইত্যাদি বলে রেখেছেন।
কথা না বড়িয়ে আসুন সরাসরি ফতোয়া দেখি-
✿ আলকামা বিন কায়স আন-নাখয়ী(র),বিখ্যাত তাবেয়ী -
শা’বী সূত্রে,আলকামা বলেন, ‘নিশ্চয়ই এই শিয়ারা আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু এর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে, যেমন, নাসারারা ঈসা ইবনে মরিয়াম(আ) এর ব্যাপারে করেছিল’ [আস সুন্নাহ(আবদুল্লাহ ইবন আহমদ) ৫৪৮/২]
✿ ইমাম শা’বী(র), হাফিযে হাদিস,ফকীহ-
> ‘শিয়া জাতি যদি পাখি হত তাহলে শকুন হত, জন্তু হলে গাধা হত’ [শরহুস সুন্নাহ-আল আলকায়ী, ১২৬৭/৭]
> ‘তোমাদের সতর্ক করছি, এই প্রবৃত্তির অনুসারী, পথভ্রষ্ট ও নিকৃষ্ট রাফেযীদের ব্যাপারে। তাদের মধ্যে ইহুদী রয়েছে যারা ইসলামকে ঘৃণা করে যেন এর মধ্যে ভ্রষ্টতা আনতে পারে;যেমনটা ইহুদী বুলস বিন শাওল(পল) খ্রিস্টানদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করে তাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। তারা ইসলামের প্রতি আগ্রহ থেকে অথবা আল্লাহর ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করেনি, বরং আহলে ইসলাম(মুস্লিমদের) প্রতি ঘৃণা থেকেই ’ [শরহুস সুন্নাহ-আল আলকায়ী, ১৪৬১/৮; আস সুন্নাহ-আলখাল্লাল ৪৯৭/১]
✿ ইমাম মালিক(র)-
> হিশাম বিন আম্মার সূত্রে- ‘যে আবু বকর(রা) ও উমর(রা)কে গালি দিবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। এবং যে আয়শা(রা)কে গালি দিবে তাকে হত্যা করা হবে। যেহেতু আল্লাহ তায়ালা বলেছেন “আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, তোমরা যদি ঈমানদার হও, তবে তখনও পুনরায় এ ধরণের আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না”(সূরা নূরঃ আয়াত ১৭); অতএব যে আয়শা(রা)কে গালি দিল সে কুরআনের বিরোধিতা করল,আর যে কুরআনের বিরোধিতা করল তাকে হত্যা করা হবে। [মুসনাদ আল-মুয়াত্তা ১১২ পৃ; তাফসিরে কুরতুবী ২০৫/১২; আহকামুল কুরআন লি-ইবন আরাবি ৩৬৬/৩]
> মুসআব ইবন যুবায়র ও ইবন নাফে সূত্রে- হারুনুর রাশীদ মসজিদে ঢুকে নামায পড়লেন,এরপরে নবী(ﷺ)এর কবরে এসে সালাম পেশ করলেন,তারপরে ইমাম মালিকের মজলিসে গেলেন ও বললেনঃ ‘আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু।’তারপরে ইমাম মালিককে বললেন ,‘যে রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর সাহাবীদের গালি দেয় তার কি ফাই(যুদ্ধলব্ধ সম্পদ)তে হক্ক আছে?’ তিনি(মালিক) বললেন, “সম্মান অথবা ভোগ কিছুই না”। তিনি(হারুনুর রশীদ)জিজ্ঞাসা করলেন,‘আপনি কিসের থেকে এই কথা বললেন?’ ইমাম মালিক(র) বলেন-“আল্লাহ আযয অয়াজাল বলেছেন ‘আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন’{সূরা ফাতহঃ আয়াত ২৯}, সুতরাং যে সাহাবাদের বিরোধিতা করে সে কাফের এবং ফাই-তে কাফের এর কোন হক্ক নেই” [তারতীব আল-মাদারিক ৪৬/২; আল-ই’তিসাম লি শাতিবী ৯৬/২]
> আশহাব বিন আব্দুল আযীয সূত্রে- ইমাম মালিক(র)কে রাফেযীদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন- ‘তাদের সাথে কথা বলবেনা এবং তাদের থেকে হাদিস বর্ণনা করবেনা, কারণ তারা নিশ্চিতভাবে মিথ্যাচার করে।’ [মিযানুল ই’তিদাল ২৬/১, তাদরীবুর রাবী ৩৮৭/১]
> আহমদ বিন হাম্বল(র) সূত্রে- ইমাম মালিক(র) বলেন, ‘যারা নবী(ﷺ)এর সাহাবাদের নিন্দা করে, ইসলামে তাদের কোন অংশ নেই’ [আস সুন্নাহ লিল খাল্লাল ৪৯৩/৩; আল ইবানা ১৭৮ পৃ]
> ‘প্রবৃত্তির অনুসারীরা সবাই কাফের এবং রাফেযীরা তাদের সমতুল্য’ [তারতীব আল-মাদারিক ৪৯/২]
> ইমাম মালিক(র)কে নিকৃষ্টতম ফেরকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “রাফেযীরা” [নাফহুত-তীব লিল মুকরি ৩০৭ পৃ/খণ্ড ৫]
✿ ইমাম শাফিঈ(র)-
> হারমালা বিন ইয়াহইয়া সূত্রে- ‘আমি প্রবৃত্তির অনুসরণে ও মিথ্যা/জালিয়াতি সাক্ষ্যে রাফেযীদের চেয়ে বেশী কাউকে দেখিনি’ [আদাবুশ শাফিঈ লি-ইবন আবি হাতিম, ১৪৪পৃ; আল কামিল ৪০৮/৩; মিযানুল ই’তিদাল ২৮/১]
> রাবি’ বিন সুলায়মান সূত্রে-‘আমি বিদাআত-গ্রস্থ এমন কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলিনি যে তাশায়্যু-গ্রস্থ(শিয়া মতবাদ) নয়। নিশ্চয়ই তাশায়্যু নিকৃষ্ট বিদাআত ও তার উৎসস্বরূপ। এটাই রাফেযীবাদ’ [ই’তিকাদ আশ-শাফিঈ লিল হাকারী, ৩১ পৃ]
> ইউনুস বিন আব্দুল আ’লা বলেন- ‘ইমাম শাফিঈর কাছে যখন রাফেযীদের আলোচনা করা হত তিনি নিকৃষ্টরূপে নিন্দা করতেন ও বলতেন জঘন্যতম দল।’ [মানাকিবুশ শাফিঈ লি-বায়হাকী ৪৬৮/১; মানাকিব আশ-শাফিঈ লি-রাযী ১৪২ পৃ]
> রাবি’ বিন সুলায়মান সূত্রে- ‘যে সুন্নাহ এর বিরোধিতা করে সে সাহাবাদের লক্ষ্যবস্তু বানাল এবং যে সাহাবাদের লক্ষ্যবস্তু বানাল সে রাসূল(ﷺ)এর প্রতি বিদ্বেষ রাখল, আর যে রাসূল(ﷺ)এর প্রতি বিদ্বেষ রাখল সে নিশ্চিত কুফরি করল’ [তাবাকাত আল-হানাবিলা ১৩/১]
✿ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র)-
আব্দুল মালিক বিন আব্দুল হামিদ সূত্রে- ইমাম আহমদ(র) বলেন, “যে ব্যক্তি নিন্দা করল(সাহাবাদের),আমি তার ব্যাপারে রাফেযীদের ন্যায় কুফর এর ভয় করি”, অতপর বলেন, “যে ব্যক্তি নবী(ﷺ) এর সাহাবাদের নিন্দা করল, আমি তার মধ্যে দ্বীন এর নির্যাস বিদ্যমান থাকার ব্যাপারে অবিশ্বাস করি” [আস সুন্নাহ লি-আল খাল্লাল, ৫৫৭-৫৫৮/২]
✿ ইউসুফ ফিরইয়াবী(র)- ‘আমি রাফেযী ও জাহমিয়াদের যিন্দিকী ছাড়া অন্য কিছুর উপর পাইনি’ [শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, ১৪৫৭/৮]
✿ কাযী আবু ইউসুফ(র),ইমামুল মুজতাহিদ, ফিকহে হানাফীর শিরতাজ-
‘রাফেযী, জাহমিয়া এবং কাদরিয়াদের পিছনে সালাত আদায় করিনা’ [শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, ৭৩৩/৪]
✿ আবদুর রহমান বিন মাহদী(র),হাদিস বিশারদ-
‘আমি রাফেযীদের অনুসন্ধান করে যিন্দীক ছাড়া অন্য কিছু পাইনি’ [শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, বর্ণনা ১৯৮১]
✿ ইমাম আবু জাফর তাহাবী(র),- রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর সাহাবীদের ভালবাসি এবং এবং তাঁদের কাউকেই ঘৃণা করিনা। তাঁদের কারো থেকে দায়মুক্তি নেইনা এবং যারা তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ রাখে,ভাল ব্যতীত অন্য কিছু বলে সাহাবাদের ব্যাপারে তাদের(সাহাবা-বিদ্বেষী) প্রতি বিদ্বেষ রাখি। সাহাবাদের ব্যাপারে ভাল ছাড়া অন্য কিছু বলিনা। সাহাবীদের প্রতি ভালবাসাঃ দ্বীন,ঈমান ও ইহসান। সাহাবীদের প্রতি বিদ্বেষঃ কুফর,নিফাক ও সীমালঙ্ঘন। [আকিদাতুত তাহাবী,শরহে ইবনুল ইযয, পৃ ৬৮৯]
✿ ইমাম শামসুদ্দিন যাহাবী(র), রিজাল(হাদিসের বর্ণনাকারী) বিশারদ-
আলী(রা) সম্পর্কিত হাদিসসমূহের শেষে ম্নতব্য করেন- “ আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বড় বিষয়সমূহের নেতা/অধিকারী, প্রচলিত মিথ্যাসমূহের বিপরীতে আল্লাহ তায়ালা প্রচুর পরিমাণে তাঁর মর্যাদা/গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন। কিন্তু রাফেযীরা সেগুলাকে দিয়ে খারাপ উদ্দেশ্যে তর্কবিতর্ক ছাড়া আর কিছু পছন্দ করেনা।আলী(রা)এর গুণাবলীর ব্যাপারে সত্য ব্যতীত যা আছে তার দিকে আকৃষ্ট হয়। মাওজু/জাল বর্ণনা নিয়ে দলিল দেয়া তাদের জন্য আবশ্যক,এবং সহিগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করা। যখন তারা নীচু অবস্থা অথবা ভীত বোধ করে, তখন তাকিয়া(ভয়ে দ্বীন গোপন করা) অবলম্বন করে। এবং সহিহাইন(বুখারী-মুসলিম)কে সম্মান দেয়, সুন্নাহকে সম্মান দেয় ও রাফেযীদের অভিশাপ দেয়।কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে তারা নিজেদেরই অভিশাপ দেয়, যা ইহুদী ও মাজুসরাও নিজেদের প্রতি দেয়নি!” [তারতীবাল মাওজুআত, পৃ ১২৪]
✿ কাযী আবু বকর ইবন আরাবী(র), মালিকি ফিকহের ইমাম-
‘খ্রিস্টান ও ইহুদিরা মুসা(আ) ও ঈসা(আ) এর সাহাবিদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলনা। রাফেযীরাও মুহাম্মদ(ﷺ) এর সাহাবীদের প্রতি সন্তুষ্ট না’ [আল আওয়াসিম মিনাল কাওয়াসিম, ১৯২ পৃ]
✿ আবু যুর’আ আর-রাযি(র), সাইয়্যেদুল হাফিয(হাদিস)-
‘যখনি কোন ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর সাহাবীদের কারো সমালোচনা করতে দেখি, তখন জেনে নেই ব্যক্তিটি যিন্দীক। যেহেতু রাসূলুল্লাহ(ﷺ) আমাদের কাছে হক্ক, কুরআন হক্ক, এবং নিশ্চয়ই এই কুরআন ও সুন্নাহ আমাদের কাছে এসেছে যাদের মাধ্যমে তাঁরা হলেন রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর সাহাবীগণ। তারা(শিয়া) আমাদের সাক্ষীদের ক্ষত/বিতর্কিত করতে চায় যাতে আমাদের কিতাব(কুরআন) ও সুন্নাহকে বাতিল সাব্যস্ত করতে পারে’ [আল কিফায়া, ৪৯ পৃষ্ঠা]
✿ আবদুল্লাহ ইবন মুবারক(র),ইমামুল মুহাদ্দিসীন-
‘দ্বীন আহলুল হাদিস এর জন্য, কালাম ও ধূর্ততা আহলুর রায়-দের জন্য,মিথ্যা রাফেযীদের জন্য’ [মুনতাকা মিন মিনহাজ আল-ই’তিদাল, ৪৮০/১]
✿ আবুল মুজাফফর আস-সামআনী(র), আকিদা বিশারদ-
‘ইমামি শিয়াদের তাকফিরের ব্যাপারে উম্মত একমত। যেহেতু তারা সাহাবাদের ভ্রষ্টতার বিশ্বাস রাখে ও তাঁদের ইজমাকে অস্বীকার করে’ [আল আনসাব, ৩৪১/৬]
✿ ইমাম বুখারী(র)-
“আমি রাফেযী,জাহমিদের পিছনে নামায পড়া আর ইহুদি,নাসারাদের পিছে নামায পড়ার মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না। তাদের(রাফেযী,জাহমিয়া) সালাম দেয়া ও বিয়ে করা যাবেনা,সাক্ষ্য নেয়া যাবেনা ও জবাই করা খাবার খাওয়া যাবেনা” [খালক আফ’আল আল ইবাদ,পৃষ্ঠা ১৩]
✿ ইমাম গাযযালী(র),দার্শনিক-
শিয়াদের বাদাআ(আল্লাহ্র নতুন কিছু জানা,জ্ঞাত হওয়া)আকিদা সম্পর্কে ,
“কুরআনের আয়াত যখন নাসখ/রহিত হবে তার সাথে বাদাআ(আল্লাহর ইচ্ছায় নতুন কিছু জানা/আসা)এর কোন আবশ্যকতা নেই।একারণে ব্যর্থ হয়েছে ইহুদিরা যারা নাসখ(আয়াত রহিত) অস্বীকার করে, আর ব্যর্থ হয়েছে রাফেযীরা যারা বাদাআ আকিদায় আরোহণ করেছে। এবং আলী(রা)এর ব্যাপারে বলে- যে তিনি গায়েব এর খবর দিতেন না এই ভয়ে যে যদি আল্লাহর তায়ালা তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেন। এবং তারা জাফর বিন মুহাম্মদ এর নামে বলেঃ ‘আল্লাহর কাছে কোন ব্যাপারে এমন বাদাআ(উদ্ভাসিত) হয়নি যেমন হয়েছে ইসমাইল এর ব্যাপারে,অর্থাৎ তাঁর জবাইয়ের বিষয়ে।’ এগুলা পরিষ্কার কুফর ও আল্লাহ তায়ালার দিকে অজ্ঞতার নিসবত করা। ” [আল মুস্তাসফি, ৮৮/১]
> হিশাম বিন আম্মার সূত্রে- ‘যে আবু বকর(রা) ও উমর(রা)কে গালি দিবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। এবং যে আয়শা(রা)কে গালি দিবে তাকে হত্যা করা হবে। যেহেতু আল্লাহ তায়ালা বলেছেন “আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, তোমরা যদি ঈমানদার হও, তবে তখনও পুনরায় এ ধরণের আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না”(সূরা নূরঃ আয়াত ১৭); অতএব যে আয়শা(রা)কে গালি দিল সে কুরআনের বিরোধিতা করল,আর যে কুরআনের বিরোধিতা করল তাকে হত্যা করা হবে। [মুসনাদ আল-মুয়াত্তা ১১২ পৃ; তাফসিরে কুরতুবী ২০৫/১২; আহকামুল কুরআন লি-ইবন আরাবি ৩৬৬/৩]
> মুসআব ইবন যুবায়র ও ইবন নাফে সূত্রে- হারুনুর রাশীদ মসজিদে ঢুকে নামায পড়লেন,এরপরে নবী(ﷺ)এর কবরে এসে সালাম পেশ করলেন,তারপরে ইমাম মালিকের মজলিসে গেলেন ও বললেনঃ ‘আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু।’তারপরে ইমাম মালিককে বললেন ,‘যে রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর সাহাবীদের গালি দেয় তার কি ফাই(যুদ্ধলব্ধ সম্পদ)তে হক্ক আছে?’ তিনি(মালিক) বললেন, “সম্মান অথবা ভোগ কিছুই না”। তিনি(হারুনুর রশীদ)জিজ্ঞাসা করলেন,‘আপনি কিসের থেকে এই কথা বললেন?’ ইমাম মালিক(র) বলেন-“আল্লাহ আযয অয়াজাল বলেছেন ‘আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন’{সূরা ফাতহঃ আয়াত ২৯}, সুতরাং যে সাহাবাদের বিরোধিতা করে সে কাফের এবং ফাই-তে কাফের এর কোন হক্ক নেই” [তারতীব আল-মাদারিক ৪৬/২; আল-ই’তিসাম লি শাতিবী ৯৬/২]
> আশহাব বিন আব্দুল আযীয সূত্রে- ইমাম মালিক(র)কে রাফেযীদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন- ‘তাদের সাথে কথা বলবেনা এবং তাদের থেকে হাদিস বর্ণনা করবেনা, কারণ তারা নিশ্চিতভাবে মিথ্যাচার করে।’ [মিযানুল ই’তিদাল ২৬/১, তাদরীবুর রাবী ৩৮৭/১]
> আহমদ বিন হাম্বল(র) সূত্রে- ইমাম মালিক(র) বলেন, ‘যারা নবী(ﷺ)এর সাহাবাদের নিন্দা করে, ইসলামে তাদের কোন অংশ নেই’ [আস সুন্নাহ লিল খাল্লাল ৪৯৩/৩; আল ইবানা ১৭৮ পৃ]
> ‘প্রবৃত্তির অনুসারীরা সবাই কাফের এবং রাফেযীরা তাদের সমতুল্য’ [তারতীব আল-মাদারিক ৪৯/২]
> ইমাম মালিক(র)কে নিকৃষ্টতম ফেরকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “রাফেযীরা” [নাফহুত-তীব লিল মুকরি ৩০৭ পৃ/খণ্ড ৫]
✿ ইমাম শাফিঈ(র)-
> হারমালা বিন ইয়াহইয়া সূত্রে- ‘আমি প্রবৃত্তির অনুসরণে ও মিথ্যা/জালিয়াতি সাক্ষ্যে রাফেযীদের চেয়ে বেশী কাউকে দেখিনি’ [আদাবুশ শাফিঈ লি-ইবন আবি হাতিম, ১৪৪পৃ; আল কামিল ৪০৮/৩; মিযানুল ই’তিদাল ২৮/১]
> রাবি’ বিন সুলায়মান সূত্রে-‘আমি বিদাআত-গ্রস্থ এমন কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলিনি যে তাশায়্যু-গ্রস্থ(শিয়া মতবাদ) নয়। নিশ্চয়ই তাশায়্যু নিকৃষ্ট বিদাআত ও তার উৎসস্বরূপ। এটাই রাফেযীবাদ’ [ই’তিকাদ আশ-শাফিঈ লিল হাকারী, ৩১ পৃ]
> ইউনুস বিন আব্দুল আ’লা বলেন- ‘ইমাম শাফিঈর কাছে যখন রাফেযীদের আলোচনা করা হত তিনি নিকৃষ্টরূপে নিন্দা করতেন ও বলতেন জঘন্যতম দল।’ [মানাকিবুশ শাফিঈ লি-বায়হাকী ৪৬৮/১; মানাকিব আশ-শাফিঈ লি-রাযী ১৪২ পৃ]
> রাবি’ বিন সুলায়মান সূত্রে- ‘যে সুন্নাহ এর বিরোধিতা করে সে সাহাবাদের লক্ষ্যবস্তু বানাল এবং যে সাহাবাদের লক্ষ্যবস্তু বানাল সে রাসূল(ﷺ)এর প্রতি বিদ্বেষ রাখল, আর যে রাসূল(ﷺ)এর প্রতি বিদ্বেষ রাখল সে নিশ্চিত কুফরি করল’ [তাবাকাত আল-হানাবিলা ১৩/১]
✿ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র)-
আব্দুল মালিক বিন আব্দুল হামিদ সূত্রে- ইমাম আহমদ(র) বলেন, “যে ব্যক্তি নিন্দা করল(সাহাবাদের),আমি তার ব্যাপারে রাফেযীদের ন্যায় কুফর এর ভয় করি”, অতপর বলেন, “যে ব্যক্তি নবী(ﷺ) এর সাহাবাদের নিন্দা করল, আমি তার মধ্যে দ্বীন এর নির্যাস বিদ্যমান থাকার ব্যাপারে অবিশ্বাস করি” [আস সুন্নাহ লি-আল খাল্লাল, ৫৫৭-৫৫৮/২]
✿ ইউসুফ ফিরইয়াবী(র)- ‘আমি রাফেযী ও জাহমিয়াদের যিন্দিকী ছাড়া অন্য কিছুর উপর পাইনি’ [শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, ১৪৫৭/৮]
✿ কাযী আবু ইউসুফ(র),ইমামুল মুজতাহিদ, ফিকহে হানাফীর শিরতাজ-
‘রাফেযী, জাহমিয়া এবং কাদরিয়াদের পিছনে সালাত আদায় করিনা’ [শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, ৭৩৩/৪]
✿ আবদুর রহমান বিন মাহদী(র),হাদিস বিশারদ-
‘আমি রাফেযীদের অনুসন্ধান করে যিন্দীক ছাড়া অন্য কিছু পাইনি’ [শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, বর্ণনা ১৯৮১]
✿ ইমাম আবু জাফর তাহাবী(র),- রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর সাহাবীদের ভালবাসি এবং এবং তাঁদের কাউকেই ঘৃণা করিনা। তাঁদের কারো থেকে দায়মুক্তি নেইনা এবং যারা তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ রাখে,ভাল ব্যতীত অন্য কিছু বলে সাহাবাদের ব্যাপারে তাদের(সাহাবা-বিদ্বেষী) প্রতি বিদ্বেষ রাখি। সাহাবাদের ব্যাপারে ভাল ছাড়া অন্য কিছু বলিনা। সাহাবীদের প্রতি ভালবাসাঃ দ্বীন,ঈমান ও ইহসান। সাহাবীদের প্রতি বিদ্বেষঃ কুফর,নিফাক ও সীমালঙ্ঘন। [আকিদাতুত তাহাবী,শরহে ইবনুল ইযয, পৃ ৬৮৯]
✿ ইমাম শামসুদ্দিন যাহাবী(র), রিজাল(হাদিসের বর্ণনাকারী) বিশারদ-
আলী(রা) সম্পর্কিত হাদিসসমূহের শেষে ম্নতব্য করেন- “ আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বড় বিষয়সমূহের নেতা/অধিকারী, প্রচলিত মিথ্যাসমূহের বিপরীতে আল্লাহ তায়ালা প্রচুর পরিমাণে তাঁর মর্যাদা/গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন। কিন্তু রাফেযীরা সেগুলাকে দিয়ে খারাপ উদ্দেশ্যে তর্কবিতর্ক ছাড়া আর কিছু পছন্দ করেনা।আলী(রা)এর গুণাবলীর ব্যাপারে সত্য ব্যতীত যা আছে তার দিকে আকৃষ্ট হয়। মাওজু/জাল বর্ণনা নিয়ে দলিল দেয়া তাদের জন্য আবশ্যক,এবং সহিগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করা। যখন তারা নীচু অবস্থা অথবা ভীত বোধ করে, তখন তাকিয়া(ভয়ে দ্বীন গোপন করা) অবলম্বন করে। এবং সহিহাইন(বুখারী-মুসলিম)কে সম্মান দেয়, সুন্নাহকে সম্মান দেয় ও রাফেযীদের অভিশাপ দেয়।কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে তারা নিজেদেরই অভিশাপ দেয়, যা ইহুদী ও মাজুসরাও নিজেদের প্রতি দেয়নি!” [তারতীবাল মাওজুআত, পৃ ১২৪]
✿ কাযী আবু বকর ইবন আরাবী(র), মালিকি ফিকহের ইমাম-
‘খ্রিস্টান ও ইহুদিরা মুসা(আ) ও ঈসা(আ) এর সাহাবিদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলনা। রাফেযীরাও মুহাম্মদ(ﷺ) এর সাহাবীদের প্রতি সন্তুষ্ট না’ [আল আওয়াসিম মিনাল কাওয়াসিম, ১৯২ পৃ]
✿ আবু যুর’আ আর-রাযি(র), সাইয়্যেদুল হাফিয(হাদিস)-
‘যখনি কোন ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর সাহাবীদের কারো সমালোচনা করতে দেখি, তখন জেনে নেই ব্যক্তিটি যিন্দীক। যেহেতু রাসূলুল্লাহ(ﷺ) আমাদের কাছে হক্ক, কুরআন হক্ক, এবং নিশ্চয়ই এই কুরআন ও সুন্নাহ আমাদের কাছে এসেছে যাদের মাধ্যমে তাঁরা হলেন রাসূলুল্লাহ(ﷺ)এর সাহাবীগণ। তারা(শিয়া) আমাদের সাক্ষীদের ক্ষত/বিতর্কিত করতে চায় যাতে আমাদের কিতাব(কুরআন) ও সুন্নাহকে বাতিল সাব্যস্ত করতে পারে’ [আল কিফায়া, ৪৯ পৃষ্ঠা]
✿ আবদুল্লাহ ইবন মুবারক(র),ইমামুল মুহাদ্দিসীন-
‘দ্বীন আহলুল হাদিস এর জন্য, কালাম ও ধূর্ততা আহলুর রায়-দের জন্য,মিথ্যা রাফেযীদের জন্য’ [মুনতাকা মিন মিনহাজ আল-ই’তিদাল, ৪৮০/১]
✿ আবুল মুজাফফর আস-সামআনী(র), আকিদা বিশারদ-
‘ইমামি শিয়াদের তাকফিরের ব্যাপারে উম্মত একমত। যেহেতু তারা সাহাবাদের ভ্রষ্টতার বিশ্বাস রাখে ও তাঁদের ইজমাকে অস্বীকার করে’ [আল আনসাব, ৩৪১/৬]
✿ ইমাম বুখারী(র)-
“আমি রাফেযী,জাহমিদের পিছনে নামায পড়া আর ইহুদি,নাসারাদের পিছে নামায পড়ার মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না। তাদের(রাফেযী,জাহমিয়া) সালাম দেয়া ও বিয়ে করা যাবেনা,সাক্ষ্য নেয়া যাবেনা ও জবাই করা খাবার খাওয়া যাবেনা” [খালক আফ’আল আল ইবাদ,পৃষ্ঠা ১৩]
✿ ইমাম গাযযালী(র),দার্শনিক-
শিয়াদের বাদাআ(আল্লাহ্র নতুন কিছু জানা,জ্ঞাত হওয়া)আকিদা সম্পর্কে ,
“কুরআনের আয়াত যখন নাসখ/রহিত হবে তার সাথে বাদাআ(আল্লাহর ইচ্ছায় নতুন কিছু জানা/আসা)এর কোন আবশ্যকতা নেই।একারণে ব্যর্থ হয়েছে ইহুদিরা যারা নাসখ(আয়াত রহিত) অস্বীকার করে, আর ব্যর্থ হয়েছে রাফেযীরা যারা বাদাআ আকিদায় আরোহণ করেছে। এবং আলী(রা)এর ব্যাপারে বলে- যে তিনি গায়েব এর খবর দিতেন না এই ভয়ে যে যদি আল্লাহর তায়ালা তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেন। এবং তারা জাফর বিন মুহাম্মদ এর নামে বলেঃ ‘আল্লাহর কাছে কোন ব্যাপারে এমন বাদাআ(উদ্ভাসিত) হয়নি যেমন হয়েছে ইসমাইল এর ব্যাপারে,অর্থাৎ তাঁর জবাইয়ের বিষয়ে।’ এগুলা পরিষ্কার কুফর ও আল্লাহ তায়ালার দিকে অজ্ঞতার নিসবত করা। ” [আল মুস্তাসফি, ৮৮/১]
✿ ইবনুল জাওযী(র)-
‘আলি(রা) এর ভালবাসার ক্ষেত্রে রাফেযীদের বাড়াবাড়ি তাদেরকে আলী(রা)এর ফযীলত বহনকারী বহু হাদিস জাল করিয়েছে, যার বেশির ভাগই আসলে তাঁকে অপমান ও আঘাত করে।তারা নিজেদের ভিত্তিহীন ফিকহের মাজহাব,রূপকথা আবিষ্কার করে নিয়েছে যেগুলা ইজমার বিরোধী... এরকম বহু মাসায়েল যাতে ইজমার লঙ্ঘন করা হয়েছে। ইবলিস তাদেরকে এমন জালিয়াতি করতে উদ্বুদ্ধ করেছে যেগুলার কোন সনদের বা আছার এর অথবা কিয়াস এর ভিত্তি নাই [তালবিস আল ইবলিস, পৃ ৬১]
✿ ইবনে হাযম আন্দালুসী(র)-
“খ্রিস্টানরা রাফেযীদের দাবির ভিত্তিতে বলে কুরআনে পরিবর্তন হয়েছে।কিন্তু নিশ্চয়ই রাফেযীরা মুসলিম নয়!তারাই প্রথমে রাসূল(সা) এর ওফাতের ২৫ বছর পরে দল বের করে।মিথ্যা ও কুফরের ক্ষেত্রে রাফেযীরা ইহুদি-নাসারাদের স্রোতে প্রবাহিত“ [আল ফাসল ফি আল-মিলাল ওয়াল আহওয়া আন নিহাল- ২/২১৩]
✿ শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা(র)-
> রাফেযীরা হল ইহুদীদের গাধা,প্রতিটি ফিতনার জন্য যাতে আরোহণ করা হয়। [মিনহাজুস সুন্নাহ ১/২০-২১]
> যাদের মধ্যে অধিকাংশ রাফেযীদেরকে পাওয়া যাবে: তারা হয়ত নাস্তিক, মুনাফিক ও ধর্মত্যাগী; অথবা তাদেরকে পাওয়া যাবে জাহিল তথা মূর্খদের মাঝে, যাদের কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনা ভিত্তিক ও যুক্তি-বুদ্ধি ভিত্তিক কোনো জ্ঞান নেই। [ পৃ. ৮১, ২য় খণ্ড ]
> যে মিথ্যা তাদের মধ্যে পাওয়া যায়, সত্যকে অস্বীকার করা, অধিক মূর্খতা, অসম্ভবের প্রতি বিশ্বাস, বিবেক-বুদ্ধির কমতি, প্রবৃত্তির অনুসরণের ক্ষেত্রে চরম বাড়াবাড়ি এবং অস্পষ্ট বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা, অনুরূপ বৈশিষ্ট্য অপর কোনো দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে পাওয়া যায় না। [ পৃ. ৪৩৫, ৩য় খণ্ড]
✿ ইমামুল মুফাসসির ইবনে কাসির(র)-
রাসূলুল্লাহ(সা) এর রেখে যাওয়া সম্পদ এর বণ্টন , খিলাফত ও আরো বিবিধ বিষয়ে আবু বকর(রা) এর প্রতি শিয়াদের জঘন্য অপবাদ ও মুসলিমদের মধ্যে ফিতনা-ফাসাদ তৈরিতে শিয়াদের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ হয়ে , আল্লামা ইবনে কাসির(র) বলেন-
“শিয়াদের রক্ত প্রবাহিত করা মদ প্রবাহিত করে ফেলে দেয়ার চেয়ে অধিক ন্যায়সঙ্গত” । [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪১৭-৪১৮ পৃ/ খণ্ড ৫]
~~ এ তো গেল ইসলাম এর স্বর্ণযুগ ও সম্মানের যুগের আলেম-স্কলারদের মত। এবার বর্তমান যুগের আলেম-স্মাজের মত দেখা যাক। যদিও উপরে উল্লিখিত যেই কোন এক জন এর মতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মত স্পর্ধা,যোগ্যতা কোনটিই গত ২০০ বছরে কোন আলেম-উলামা অর্জন করেন নাই। বরং রাজনীতিকে দ্বীনের ফুরু বানিয়ে অনেকে শিয়া-বিষয়ে চুপ থাকা,ঐক্যের ডাক(আকিদা বিসর্জন দিয়ে!) ইত্যাদি করে থাকেন। তবু আমরা হক্কানী উলামাদের ফতোয়া দেখে নেই-
‘আলি(রা) এর ভালবাসার ক্ষেত্রে রাফেযীদের বাড়াবাড়ি তাদেরকে আলী(রা)এর ফযীলত বহনকারী বহু হাদিস জাল করিয়েছে, যার বেশির ভাগই আসলে তাঁকে অপমান ও আঘাত করে।তারা নিজেদের ভিত্তিহীন ফিকহের মাজহাব,রূপকথা আবিষ্কার করে নিয়েছে যেগুলা ইজমার বিরোধী... এরকম বহু মাসায়েল যাতে ইজমার লঙ্ঘন করা হয়েছে। ইবলিস তাদেরকে এমন জালিয়াতি করতে উদ্বুদ্ধ করেছে যেগুলার কোন সনদের বা আছার এর অথবা কিয়াস এর ভিত্তি নাই [তালবিস আল ইবলিস, পৃ ৬১]
✿ ইবনে হাযম আন্দালুসী(র)-
“খ্রিস্টানরা রাফেযীদের দাবির ভিত্তিতে বলে কুরআনে পরিবর্তন হয়েছে।কিন্তু নিশ্চয়ই রাফেযীরা মুসলিম নয়!তারাই প্রথমে রাসূল(সা) এর ওফাতের ২৫ বছর পরে দল বের করে।মিথ্যা ও কুফরের ক্ষেত্রে রাফেযীরা ইহুদি-নাসারাদের স্রোতে প্রবাহিত“ [আল ফাসল ফি আল-মিলাল ওয়াল আহওয়া আন নিহাল- ২/২১৩]
✿ শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা(র)-
> রাফেযীরা হল ইহুদীদের গাধা,প্রতিটি ফিতনার জন্য যাতে আরোহণ করা হয়। [মিনহাজুস সুন্নাহ ১/২০-২১]
> যাদের মধ্যে অধিকাংশ রাফেযীদেরকে পাওয়া যাবে: তারা হয়ত নাস্তিক, মুনাফিক ও ধর্মত্যাগী; অথবা তাদেরকে পাওয়া যাবে জাহিল তথা মূর্খদের মাঝে, যাদের কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনা ভিত্তিক ও যুক্তি-বুদ্ধি ভিত্তিক কোনো জ্ঞান নেই। [ পৃ. ৮১, ২য় খণ্ড ]
> যে মিথ্যা তাদের মধ্যে পাওয়া যায়, সত্যকে অস্বীকার করা, অধিক মূর্খতা, অসম্ভবের প্রতি বিশ্বাস, বিবেক-বুদ্ধির কমতি, প্রবৃত্তির অনুসরণের ক্ষেত্রে চরম বাড়াবাড়ি এবং অস্পষ্ট বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা, অনুরূপ বৈশিষ্ট্য অপর কোনো দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে পাওয়া যায় না। [ পৃ. ৪৩৫, ৩য় খণ্ড]
✿ ইমামুল মুফাসসির ইবনে কাসির(র)-
রাসূলুল্লাহ(সা) এর রেখে যাওয়া সম্পদ এর বণ্টন , খিলাফত ও আরো বিবিধ বিষয়ে আবু বকর(রা) এর প্রতি শিয়াদের জঘন্য অপবাদ ও মুসলিমদের মধ্যে ফিতনা-ফাসাদ তৈরিতে শিয়াদের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ হয়ে , আল্লামা ইবনে কাসির(র) বলেন-
“শিয়াদের রক্ত প্রবাহিত করা মদ প্রবাহিত করে ফেলে দেয়ার চেয়ে অধিক ন্যায়সঙ্গত” । [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪১৭-৪১৮ পৃ/ খণ্ড ৫]
~~ এ তো গেল ইসলাম এর স্বর্ণযুগ ও সম্মানের যুগের আলেম-স্কলারদের মত। এবার বর্তমান যুগের আলেম-স্মাজের মত দেখা যাক। যদিও উপরে উল্লিখিত যেই কোন এক জন এর মতের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মত স্পর্ধা,যোগ্যতা কোনটিই গত ২০০ বছরে কোন আলেম-উলামা অর্জন করেন নাই। বরং রাজনীতিকে দ্বীনের ফুরু বানিয়ে অনেকে শিয়া-বিষয়ে চুপ থাকা,ঐক্যের ডাক(আকিদা বিসর্জন দিয়ে!) ইত্যাদি করে থাকেন। তবু আমরা হক্কানী উলামাদের ফতোয়া দেখে নেই-
☗ উলামায়ে আরব-
শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায(র): ‘দেখা যায় যে শিয়াদের মধ্যে বহু দল-উপদল/ফিরকা আছে, এবং তাদের প্রত্যকের মধ্যেই বিভিন্ন প্রকারের বিদাআত আছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হল খোমেনীর ইছনা আশারিয়া/১২ ইমামি উপদল। আহলে বাইতের কাছে সাহায্য চাওয়া,তাদের গায়েবের জ্ঞান রাখার আকিদা রাখা, আবু বকর ও উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুর মত সাহাবাদের তাকফির,গালি দেয়া – ইত্যাদি এদের বাতিল হওয়া প্রমাণ করে ’ [ফাতোয়ায়ে বিন বায ৪৩৯/৪]
শায়খ আব্দুলাহ বিন আব্দুর রহমান বিন জিবরীন শিয়াদের কাফের ঘোষণা করেন তাদের আল কাফি,ফাসলুল খিতাব ইত্যাদি কিতাবের ভিত্তিতে। এছাড়া শায়খ সালেহ আল মুনাযযিদ ও প্রায় সকল বিশিষ্ট আরব আলেমরাই শিয়াদের জবাইকৃত পশু খেতে নিষেধ করেছেন! আরব আলিমদের মধ্যে যারা শিয়া-কাফেরদের সাথে মুখোমুখি বিতর্ক ও লিখিত পর্দাফাঁস এর কাজ করে যাচ্ছেন উম্মাহর খেদমতে, তাঁদের মধ্যে শায়খ আল আরিফি, শায়খ আদনান আরুর, শায়খ উসমান আল খামিস, শায়খ আব্দুর রহমান আল-দামেস্কী, শায়খ খালিদ আল-ওয়াসাবী {আল্লাহ তাঁদের সকলকে হিফাযাত করুন ও বরকত দান করুন} প্রমুখের নাম সুপরিচিত।
শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায(র): ‘দেখা যায় যে শিয়াদের মধ্যে বহু দল-উপদল/ফিরকা আছে, এবং তাদের প্রত্যকের মধ্যেই বিভিন্ন প্রকারের বিদাআত আছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হল খোমেনীর ইছনা আশারিয়া/১২ ইমামি উপদল। আহলে বাইতের কাছে সাহায্য চাওয়া,তাদের গায়েবের জ্ঞান রাখার আকিদা রাখা, আবু বকর ও উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুর মত সাহাবাদের তাকফির,গালি দেয়া – ইত্যাদি এদের বাতিল হওয়া প্রমাণ করে ’ [ফাতোয়ায়ে বিন বায ৪৩৯/৪]
শায়খ আব্দুলাহ বিন আব্দুর রহমান বিন জিবরীন শিয়াদের কাফের ঘোষণা করেন তাদের আল কাফি,ফাসলুল খিতাব ইত্যাদি কিতাবের ভিত্তিতে। এছাড়া শায়খ সালেহ আল মুনাযযিদ ও প্রায় সকল বিশিষ্ট আরব আলেমরাই শিয়াদের জবাইকৃত পশু খেতে নিষেধ করেছেন! আরব আলিমদের মধ্যে যারা শিয়া-কাফেরদের সাথে মুখোমুখি বিতর্ক ও লিখিত পর্দাফাঁস এর কাজ করে যাচ্ছেন উম্মাহর খেদমতে, তাঁদের মধ্যে শায়খ আল আরিফি, শায়খ আদনান আরুর, শায়খ উসমান আল খামিস, শায়খ আব্দুর রহমান আল-দামেস্কী, শায়খ খালিদ আল-ওয়াসাবী {আল্লাহ তাঁদের সকলকে হিফাযাত করুন ও বরকত দান করুন} প্রমুখের নাম সুপরিচিত।
⌂ জামিয়া আল আযহার:
বহু চক্রান্ত ও ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝেও জামিয়া আল আযহার এর বহু আলিম শিয়াদের শিরক-কুফর এর ব্যাপারে ফতোয়া দিয়ে ও কিতাব লিখে উম্মাহর ঈমান রক্ষায় সচেষ্ট হচ্ছেন। শায়খুল আযহার সালিম আল-বিশরী শিয়াদের মিথ্যাচার সংবলিত ‘আল মুরাজাআত’ এর রদ করেছেন।
শিয়া-রাফেযীদের বিভিন্ন জঘন্য আকিদা, আয়াতুল্লাত জাফর সুবহানী,রুহুল্লাত খোমেনীর কিতাবের বিভিন্ন অংশের পর্যালোচনার করে, জামিয়া আল আযহার এর আলিমরা প্রমাণ করেছেন যে শিয়াদের সাথে প্রকৃত মুসলিম তথা আহ্লুস সুন্নাহ এর পার্থক্য দ্বীনি উসুল এর। বিস্তারিত দেখুন- মাওকিফাল আযহার শরীফ মিন শিয়া ইছনা আশারিয়া, পৃ ২৫১-৩০৫
আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাযুল হাদিস ড.মুহাম্মদ খুশুয়ী, উস্তাযুল আকিদা উমার বিন আব্দুল আযীয কুরায়শী, এর সংকলনে ‘ফাতওয়া কিবার উলামায়ে আযহার শারীফ ফি শিয়া’ প্রকাশ করা হয়। যাতে জামিয়া আল আযহার এর সম্মানিত বিভিন্ন শায়খ শিয়াদের শিরক-কুফর এর সম্ভার তুলে ধরে তাদের কাফের-মুশরিক হবার প্রমাণ দেন, মিশরে তাদের ফেতনা প্রতিরোধ করার আহবান জানান।
বহু চক্রান্ত ও ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝেও জামিয়া আল আযহার এর বহু আলিম শিয়াদের শিরক-কুফর এর ব্যাপারে ফতোয়া দিয়ে ও কিতাব লিখে উম্মাহর ঈমান রক্ষায় সচেষ্ট হচ্ছেন। শায়খুল আযহার সালিম আল-বিশরী শিয়াদের মিথ্যাচার সংবলিত ‘আল মুরাজাআত’ এর রদ করেছেন।
শিয়া-রাফেযীদের বিভিন্ন জঘন্য আকিদা, আয়াতুল্লাত জাফর সুবহানী,রুহুল্লাত খোমেনীর কিতাবের বিভিন্ন অংশের পর্যালোচনার করে, জামিয়া আল আযহার এর আলিমরা প্রমাণ করেছেন যে শিয়াদের সাথে প্রকৃত মুসলিম তথা আহ্লুস সুন্নাহ এর পার্থক্য দ্বীনি উসুল এর। বিস্তারিত দেখুন- মাওকিফাল আযহার শরীফ মিন শিয়া ইছনা আশারিয়া, পৃ ২৫১-৩০৫
আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উস্তাযুল হাদিস ড.মুহাম্মদ খুশুয়ী, উস্তাযুল আকিদা উমার বিন আব্দুল আযীয কুরায়শী, এর সংকলনে ‘ফাতওয়া কিবার উলামায়ে আযহার শারীফ ফি শিয়া’ প্রকাশ করা হয়। যাতে জামিয়া আল আযহার এর সম্মানিত বিভিন্ন শায়খ শিয়াদের শিরক-কুফর এর সম্ভার তুলে ধরে তাদের কাফের-মুশরিক হবার প্রমাণ দেন, মিশরে তাদের ফেতনা প্রতিরোধ করার আহবান জানান।
☗ উলামায়ে দেওবন্দঃ
দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই উলামায়ে দেওবন্দ এর আকাবির/পূর্বসূরিরা শিয়াদের শিরক-কুফর সম্পর্কে ফতোয়া দিয়ে আসছেন। শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহল্ভী(র) ইমামী শিয়াদেরকে খতমে নবুয়্যাত অস্বীকারকারী কাফের ঘোষণা করেছেন।{তাফহিমাত আল-ইলাহিয়্যাত ২৫০পৃষ্ঠা} শাহ আব্দুল আযীয দেহল্ভী(র) ১২ ইমামি শিয়াদের ব্যাপারে বলেন- ‘তাদের কুৎসিত আকিদাসমূহ পরিষ্কার,ইসলামে তাদের কোন অংশ নেই,তাদের কুফর সন্দেহাতীত..’ {মুখতাসার তুহফা ইছনা আশারিয়া, ৩০০-৩০১ পৃ}। রশীদ গাঙ্গুহী(র) শিয়াদের উদ্দেশ্যে ‘হিদায়াতুস শিয়া’ কিতাব লিখেন। সেই থেকে শিয়া-কাফেরদের ঈমানবিধ্বংসী চক্রান্তের বিরুদ্ধে আজও সংগ্রাম অব্যাহত আছে- সেটা কিতাব,ফতোয়ায় অথবা সাংগঠনিকভাবে।
ভারত ও পাকিস্তানের শিয়াদের আকিদা-আমল পর্যবেক্ষণ করে দারুল ইফতা দেওবন্দের একাধিক ফতোয়া শিয়াদের কাফের,মুরতাদ সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাদের সাথে বিয়েশাদী,সাক্ষ্য গ্রহণ,যাকাত দেয়া,মুসাফাহ করা,সালামের জবাব দেয়া নিষেধ করা হয়েছে। তারমধ্যে 11299 Mar 29,2009(Fatwa: 312/286=B/1430), 2125 Dec 09,2007(Fatwa: 1487/1314=B), 16730 Dec 22,2009(Fatwa: 1994/1586/D=1430) বিশেষভাবে উল্লেখ্য!
এছাড়া ১৯৮০ তে সিপাহ-এ-সাহাবা ও ১৯৯৬ এ লস্কর-এ-জাংভি সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জীবনের বিনিময়ে হলেও শিয়া-মালাঊনদের প্রতিহত করার কাজ হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক, ৭ই মে ২০১৫, আল্লামা আহমদ শফি(হাফিঃ) চট্টগ্রামে শিয়াদের কাফের ঘোষণা করে হাজার বছরের ইসলামী উসুলকে স্মরণ করিয়ে দেন।
~~ বর্তমান শিয়াদের ৯০% আকিদা-আমল এর ক্ষেত্রে রাফেযী অর্থাৎ জাতিগত কাফের।এরপরেও একশ্রেণীর অন্ধ,নিফাকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চোখ-কান বন্ধ করে চিৎকার করে যায় “সব শিয়া রাফেযী না”। বস্তুত, রাফেযী বাছতে শিয়া উজার।এমনকি গর্বের সাথে ‘রাফেযী/রাফিদ’ নাম রাখা ও নিজেদের জন্য ব্যবহারের অহরহ প্রচলন দেখা যায়!
দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই উলামায়ে দেওবন্দ এর আকাবির/পূর্বসূরিরা শিয়াদের শিরক-কুফর সম্পর্কে ফতোয়া দিয়ে আসছেন। শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহল্ভী(র) ইমামী শিয়াদেরকে খতমে নবুয়্যাত অস্বীকারকারী কাফের ঘোষণা করেছেন।{তাফহিমাত আল-ইলাহিয়্যাত ২৫০পৃষ্ঠা} শাহ আব্দুল আযীয দেহল্ভী(র) ১২ ইমামি শিয়াদের ব্যাপারে বলেন- ‘তাদের কুৎসিত আকিদাসমূহ পরিষ্কার,ইসলামে তাদের কোন অংশ নেই,তাদের কুফর সন্দেহাতীত..’ {মুখতাসার তুহফা ইছনা আশারিয়া, ৩০০-৩০১ পৃ}। রশীদ গাঙ্গুহী(র) শিয়াদের উদ্দেশ্যে ‘হিদায়াতুস শিয়া’ কিতাব লিখেন। সেই থেকে শিয়া-কাফেরদের ঈমানবিধ্বংসী চক্রান্তের বিরুদ্ধে আজও সংগ্রাম অব্যাহত আছে- সেটা কিতাব,ফতোয়ায় অথবা সাংগঠনিকভাবে।
ভারত ও পাকিস্তানের শিয়াদের আকিদা-আমল পর্যবেক্ষণ করে দারুল ইফতা দেওবন্দের একাধিক ফতোয়া শিয়াদের কাফের,মুরতাদ সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাদের সাথে বিয়েশাদী,সাক্ষ্য গ্রহণ,যাকাত দেয়া,মুসাফাহ করা,সালামের জবাব দেয়া নিষেধ করা হয়েছে। তারমধ্যে 11299 Mar 29,2009(Fatwa: 312/286=B/1430), 2125 Dec 09,2007(Fatwa: 1487/1314=B), 16730 Dec 22,2009(Fatwa: 1994/1586/D=1430) বিশেষভাবে উল্লেখ্য!
এছাড়া ১৯৮০ তে সিপাহ-এ-সাহাবা ও ১৯৯৬ এ লস্কর-এ-জাংভি সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জীবনের বিনিময়ে হলেও শিয়া-মালাঊনদের প্রতিহত করার কাজ হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক, ৭ই মে ২০১৫, আল্লামা আহমদ শফি(হাফিঃ) চট্টগ্রামে শিয়াদের কাফের ঘোষণা করে হাজার বছরের ইসলামী উসুলকে স্মরণ করিয়ে দেন।
~~ বর্তমান শিয়াদের ৯০% আকিদা-আমল এর ক্ষেত্রে রাফেযী অর্থাৎ জাতিগত কাফের।এরপরেও একশ্রেণীর অন্ধ,নিফাকে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চোখ-কান বন্ধ করে চিৎকার করে যায় “সব শিয়া রাফেযী না”। বস্তুত, রাফেযী বাছতে শিয়া উজার।এমনকি গর্বের সাথে ‘রাফেযী/রাফিদ’ নাম রাখা ও নিজেদের জন্য ব্যবহারের অহরহ প্রচলন দেখা যায়!
আল্লাহ আমাদের তাউফিক দান করুন যেন, আমরা সালফে সালেহীন এর মতকে প্রাধান্য দিয়ে নির্দ্বিধায় শিয়া-রাফেযীদের কাফের বলতে পারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন