১- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় স্ত্রী সঙ্গম হারাম। ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন না করা পর্যন্ত স্ত্রী মিলন সম্পূর্ণ হারাম বা অবৈধ। অবশ্য এ অবস্থায় যৌনাঙ্গে সঙ্গম ব্যতীত স্ত্রীর সাথে অন্য কিছু করা হারাম নয়। রাসুল (সাঃ) বলেন- “যৌন সঙ্গম ছাড়া তুমি সব কিছু করতে পার।” (সহীহ্ মুসলিম)
অর্থাৎ সঙ্গম ছাড়া যে কোন কিছুই বৈধ করা হয়েছে তবে ১ টা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, যদিও বিষয়টা লজ্জাজনক কিন্তু অনেক মানুষ না জানার কারণে এই পাপে লিপ্ত হয় আর সেটা হল আল্লাহ তা’লা স্ত্রীদের যে যোনিপথে সঙ্গম করা স্বামীদের জন্য হালাল করেছেন সেটা বাদ দিয়ে অন্য পথে সঙ্গম করা, আর এটা নিকৃষ্ট হারাম কাজ।
২- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় সলাত আদায় করতে হবে না। (সুস্থ হওয়ার পরেও এই নামাজের কাজা করতে হবে না)(বুখারি, মুসলিম)
৩- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় রোযা রাখতে হবে না। (সুস্থ হওয়ার পড় এই রোজাগুলোর কাজা আদায় করা ফরয)(বুখারি, মুসলিম)
৪- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় খালি হাতে সরাসরি কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।(মুয়াত্তা মালেক) এ সময় কুরআন তিলায়ত করা অনুচিত যদিও এ ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে তবে মুল কুরআন বাদে তাফসির, হাদিস যেকোন কিছু পড়তে পারবে।
৫- এ অবস্থায় মসজিদে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে পারবে না তবে সামান্য সময়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করলে কোন সমস্যা নেই। (আবু দাউদ)
৬- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় কাবা ঘরের তাওয়াফ করা নিষেধ। তবে হজ্জ উমরার অন্যান্য সকল কার্যক্রম করতে পারবে। (বুখারি, মুসলিম)
বি-দ্রঃ হায়েজ হচ্ছে মাসিক রিতুস্রাব আর নিফাস হচ্ছে সন্তান প্রসবের পড় অপবিত্র দিনগুলো আর উভয় ক্ষেত্রেই একই বিধান প্রযোজ্য।
(শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাফি ও শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদি (হাঃ)-এর পোস্ট থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে)
মহিলাদের হায়েজ-নিফাস কিভাবে শুরু হয়, শেষ হওয়ার লক্ষণ কি, যে দিনগুলোতে চলতে থাকে তাঁর আগেই বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর বিধান কি এরকম অনেক প্রশ্ন রয়েছে এ ব্যাপারে কিন্তু বিষয়টা লজ্জাজনক হওয়ায় কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারে না অথচ এর উপর সলাত, সিয়ামের মত বড় বড় ইবাদত নির্ভর করে তাই আপনারা যাতে নিজেরাই এ ব্যাপারে কুরআন ও সহিহ হাদিসে কি নির্দেশনা রয়েছে সেটা সহজেই জানতে পারেন এজন্য শাইখ মুহাম্মাদ বিন সলেহ আল উসাইমিন (রঃ)-এর ‘মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টিপ্রশ্ন’
বইটা দিলাম সকলেই ডাউনলোড করে নিন ইন-শা-আল্লাহ।
অর্থাৎ সঙ্গম ছাড়া যে কোন কিছুই বৈধ করা হয়েছে তবে ১ টা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, যদিও বিষয়টা লজ্জাজনক কিন্তু অনেক মানুষ না জানার কারণে এই পাপে লিপ্ত হয় আর সেটা হল আল্লাহ তা’লা স্ত্রীদের যে যোনিপথে সঙ্গম করা স্বামীদের জন্য হালাল করেছেন সেটা বাদ দিয়ে অন্য পথে সঙ্গম করা, আর এটা নিকৃষ্ট হারাম কাজ।
২- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় সলাত আদায় করতে হবে না। (সুস্থ হওয়ার পরেও এই নামাজের কাজা করতে হবে না)(বুখারি, মুসলিম)
৩- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় রোযা রাখতে হবে না। (সুস্থ হওয়ার পড় এই রোজাগুলোর কাজা আদায় করা ফরয)(বুখারি, মুসলিম)
৪- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় খালি হাতে সরাসরি কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।(মুয়াত্তা মালেক) এ সময় কুরআন তিলায়ত করা অনুচিত যদিও এ ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে তবে মুল কুরআন বাদে তাফসির, হাদিস যেকোন কিছু পড়তে পারবে।
৫- এ অবস্থায় মসজিদে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে পারবে না তবে সামান্য সময়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করলে কোন সমস্যা নেই। (আবু দাউদ)
৬- হায়েজ-নিফাস অবস্থায় কাবা ঘরের তাওয়াফ করা নিষেধ। তবে হজ্জ উমরার অন্যান্য সকল কার্যক্রম করতে পারবে। (বুখারি, মুসলিম)
বি-দ্রঃ হায়েজ হচ্ছে মাসিক রিতুস্রাব আর নিফাস হচ্ছে সন্তান প্রসবের পড় অপবিত্র দিনগুলো আর উভয় ক্ষেত্রেই একই বিধান প্রযোজ্য।
(শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাফি ও শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদি (হাঃ)-এর পোস্ট থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে)
মহিলাদের হায়েজ-নিফাস কিভাবে শুরু হয়, শেষ হওয়ার লক্ষণ কি, যে দিনগুলোতে চলতে থাকে তাঁর আগেই বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর বিধান কি এরকম অনেক প্রশ্ন রয়েছে এ ব্যাপারে কিন্তু বিষয়টা লজ্জাজনক হওয়ায় কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারে না অথচ এর উপর সলাত, সিয়ামের মত বড় বড় ইবাদত নির্ভর করে তাই আপনারা যাতে নিজেরাই এ ব্যাপারে কুরআন ও সহিহ হাদিসে কি নির্দেশনা রয়েছে সেটা সহজেই জানতে পারেন এজন্য শাইখ মুহাম্মাদ বিন সলেহ আল উসাইমিন (রঃ)-এর ‘মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টিপ্রশ্ন’
বইটা দিলাম সকলেই ডাউনলোড করে নিন ইন-শা-আল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন