তিনটি বিষয়ের যে কোনো একটির মাধ্যমে পুরুষ সন্তানের বালেগ তথা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া প্রমাণিত হবে:
এক: স্বপ্নদোষ বা অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত হওয়া।
দুই: নাভীর নিচের পশম গজানো। এ ব্যাপারে আতিয়া আল-কুরাযী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
‘যুদ্ধের দিন আমাদের বন্দি করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে উপস্থিত করা হয়েছিল। অতঃপর যাদের নাভীর নিচে পশম গজিয়েছিল, তাদের হত্যা করা হয়েছিল। যাদের পশম গজায়নি তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।’(আহমদ: ৪/৩৪১, ৫/৩৭২; নাসাঈ: ৬/১৫৫, নং ৮৫৬৭)
তিন: ১৫ বছর বয়সে উপনীত হওয়া।
* এ ব্যপারে আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,
‘‘আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে উহুদ যুদ্ধের দিন যুদ্ধের জন্য পেশ করা হলো। আমার বয়স তখন ১৪ বছর ছিল। তিনি তখন আমাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেন নি (আমি নাবালেগ বলে আমাকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেন নি)’।’(ইবন মাজাহ: ২৫৪৩)
ইমাম বায়হাকী ও ইবনে হিব্বান সহীহ গ্রন্থে বিশুদ্ধ সনদে বর্ধিত আকারে বর্ণনা করেন: আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
‘তিনি মনে করেন নি যে আমি বালেগ তথা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছি। অতঃপর খন্দকের যুদ্ধের সময় আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে যুদ্ধের জন্য পেশ করা হলো, তখন আমার বয়স ১৫ বছর। সে সময় তিনি আমাকে যু্দ্ধের অনুমতি দিলেন।’(বাইহাকী: ৩/৮৩, ৬/-৫৫, ৮/২৬৪, ৯/২১,২২। ইবনে হিব্বান: ৪৭২৮)
এক: স্বপ্নদোষ বা অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত হওয়া।
দুই: নাভীর নিচের পশম গজানো। এ ব্যাপারে আতিয়া আল-কুরাযী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
‘যুদ্ধের দিন আমাদের বন্দি করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে উপস্থিত করা হয়েছিল। অতঃপর যাদের নাভীর নিচে পশম গজিয়েছিল, তাদের হত্যা করা হয়েছিল। যাদের পশম গজায়নি তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।’(আহমদ: ৪/৩৪১, ৫/৩৭২; নাসাঈ: ৬/১৫৫, নং ৮৫৬৭)
তিন: ১৫ বছর বয়সে উপনীত হওয়া।
* এ ব্যপারে আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,
‘‘আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে উহুদ যুদ্ধের দিন যুদ্ধের জন্য পেশ করা হলো। আমার বয়স তখন ১৪ বছর ছিল। তিনি তখন আমাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেন নি (আমি নাবালেগ বলে আমাকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেন নি)’।’(ইবন মাজাহ: ২৫৪৩)
ইমাম বায়হাকী ও ইবনে হিব্বান সহীহ গ্রন্থে বিশুদ্ধ সনদে বর্ধিত আকারে বর্ণনা করেন: আব্দুল্লাহ ইবন ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,
‘তিনি মনে করেন নি যে আমি বালেগ তথা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছি। অতঃপর খন্দকের যুদ্ধের সময় আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে যুদ্ধের জন্য পেশ করা হলো, তখন আমার বয়স ১৫ বছর। সে সময় তিনি আমাকে যু্দ্ধের অনুমতি দিলেন।’(বাইহাকী: ৩/৮৩, ৬/-৫৫, ৮/২৬৪, ৯/২১,২২। ইবনে হিব্বান: ৪৭২৮)
* আর মেয়েরা বালেগা (প্রাপ্ত বয়স্কা) হবে পুরুষদের বালেগ হওয়ার মতই তবে তাদের উপরোক্ত তিনটির সাথে চতুর্থ একটি আলমতও রয়েছে। আর সে চতুর্থটি হলো: হায়েয বা ঋতুবতী হওয়া।
সুতরাং যখন মেয়েদের হায়েয হয়, তখন তার ওপর শরীয়তের যাবতীয় নির্দেশ পালন করা আবশ্যক। যদিও বয়স ১০ বছর না হয়।
আর যদি কেউ রমযান মাসে দিনের বেলায় বালেগ-বালেগা হয়, তাহলে যদি সে দিন সাওম পালনরত অবস্থায় বালেগ-বালেগা হয় তাহলে সে তার সাওম পূর্ণ করবে। আর যদি সে দিন সাওম ভঙ্গকারী হিসেবে থাকে তবে দিনের বাকি সময় পানাহার থেকে বিরত থাকবে; তাকে এ দিনের সাওম কাযা করতে হবে না।
সুতরাং যখন মেয়েদের হায়েয হয়, তখন তার ওপর শরীয়তের যাবতীয় নির্দেশ পালন করা আবশ্যক। যদিও বয়স ১০ বছর না হয়।
আর যদি কেউ রমযান মাসে দিনের বেলায় বালেগ-বালেগা হয়, তাহলে যদি সে দিন সাওম পালনরত অবস্থায় বালেগ-বালেগা হয় তাহলে সে তার সাওম পূর্ণ করবে। আর যদি সে দিন সাওম ভঙ্গকারী হিসেবে থাকে তবে দিনের বাকি সময় পানাহার থেকে বিরত থাকবে; তাকে এ দিনের সাওম কাযা করতে হবে না।
শাইখ মুহাম্মদ ইবন সালেহ আল-উছাইমীন (রঃ)-(রমজান মাসের ৩০ আসর)
উপরোক্ত শর্তগুলোর যেকোনো ১টি দৃশ্যমান হলেই সেই বেক্তি প্রাপ্তবয়স্ক বলে বিবেচিত হবে এবং তার উপর ইসলামের সমস্ত বিধি বিধান অর্পিত হবে। সুতরাং আপনার সন্তান যদি ৯ বছর বয়সেও এই অবস্থায় পৌঁছে তবে তার উপর সলাত সিয়াম সবই ফরজ হয়ে যাবে, তাকে অবশ্যই এগুলো মেনে চলতে হবে। আপনাকে আদেশ করতে হবে বিধিবিধান মেনে চলার ব্যাপারে, বিপরীতে যদি আপনিই তাদেরকে বাধা দেন তাহলে তাদেরকে জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিলেন এবং সেই সাথে নিজেকেও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন