خْبَرَنِي أَبُو بشر الوكيل، وأبو الفتح الضبي، قالا: حَدَّثَنَا عُمَر بن أَحْمَد الواعظ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَد بن مُحَمَّد بن عصمة الخراساني، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَد بن بسطام، قَالَ: حَدَّثَنَا الفضل بن عبد الجبار، قال: سمعت أبا عثمان حمدون بن أبي الطوسي، يقول: سمعت عبد الله بن المبارك، يقول: قدمت الشام على الأوزاعي فرأيته ببيروت، فقال لي: يا خراساني، من هذا المبتدع الذي خرج بالكوفة، يكنى: أبا حنيفة، فرجعت إلى بيتي فأقبلت على كتب أبي حنيفة، فأخرجت منها مسائل من جياد المسائل، وبقيت في ذلك ثلاثة أيام، فجئت يوم الثالث، وهو مؤذن مسجدهم وإمامهم، والكتاب في يدي، فقال لي: أي شيء هذا الكتاب؟ فناولته، فنظر في مسألة منها وقعت عليها، قال: النعمان بن ثابت، فما زال قائما بعد ما أذن حتى قرأ صدرا من الكتاب، ثم وضع الكتاب في كمه، ثم أقام وصلى، ثم أخرج الكتاب حتى أتى عليها، فقال لي: يا خراساني، من النعمان بن ثابت هذا؟ قلت: شيخ لقيته بالعراق، فقال: هذا نبيل من المشايخ، اذهب فاستكثر منه، قلت: هذا أَبُو حنيفة الذي نهيت عنه.
তিনি বলেন, আমি ‘‘শামে’’ ইমাম আওযায়ী (রহ.) এর নিকট আগমন করলাম। আমি তাঁর সঙ্গে ‘‘বৈরুতে’’ সাক্ষাৎ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, হে খোরাসানী! (আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক), আবূ হানিফা নামে কুফার আবির্ভূত এই ‘বিদআতী’ কে?
ইমাম ইবনুল মুবারক বলেন, এই কথা শুনে আমি ঘরে ফিরে এলাম। ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) এর কিতাবগুলো অধ্যয়ন শুরু করলাম। এরপর, তিন দিন ধরে সেখান থেকে উত্তম মাসয়ালাগুলো নির্বাচিত করলাম। তৃতীয় দিন কিতাবটি নিয়ে আমি ইমাম আওযায়ী (রহ.) এর কাছে আসলাম।
(ইমাম আওযায়ী (রহ.) এলাকার মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমাম ছিলেন)। ইমাম আওযায়ী (রহ.) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কোন কিতাব? আমি কিতাবটি তাঁকে দিলাম। তিনি একটি মাসয়ালা দেখলেন, যাতে আমি লিখেছিলাম, ‘‘নু’মান’’ (এটি ইমাম আবূ হানিফা রহ. এর আসল নাম) বলেছেন। আযান দেয়ার পর তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় কিতাবের শুরু অংশটা পড়লেন। কিতাবটি তিনি জামার হাতার মাঝে রাখলেন। এরপর ইকামাত বললেন এবং নামাজ আদায় করলেন।
নামায শেষে তিনি কিতাবটি পড়া শুরু করলেন। কিতাবটি শেষ করে, তিনি বললেন, হে খোরাসানী! (আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক), এই ‘‘নু’মান’’ বিন সাবেত কে? আমি বললাম, একজন শায়েখ, যার সঙ্গে আমি ইরাকে সাক্ষাৎ করেছি। ইমাম আওযায়ী (রহ.) বললেন, তিনি অনেক বড় শায়খ!! তার কাছে যাও এবং আরও ইলম হাসিল করো। আমি বললাম, তিনি হলেন, ইমাম আবূ হানিফা! যার কাছে যেতে আপনি (ইতিপূর্বে) নিষেধ করেছিলেন।
তিনি বলেন, আমি ‘‘শামে’’ ইমাম আওযায়ী (রহ.) এর নিকট আগমন করলাম। আমি তাঁর সঙ্গে ‘‘বৈরুতে’’ সাক্ষাৎ করলাম। তিনি আমাকে বললেন, হে খোরাসানী! (আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক), আবূ হানিফা নামে কুফার আবির্ভূত এই ‘বিদআতী’ কে?
ইমাম ইবনুল মুবারক বলেন, এই কথা শুনে আমি ঘরে ফিরে এলাম। ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) এর কিতাবগুলো অধ্যয়ন শুরু করলাম। এরপর, তিন দিন ধরে সেখান থেকে উত্তম মাসয়ালাগুলো নির্বাচিত করলাম। তৃতীয় দিন কিতাবটি নিয়ে আমি ইমাম আওযায়ী (রহ.) এর কাছে আসলাম।
(ইমাম আওযায়ী (রহ.) এলাকার মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমাম ছিলেন)। ইমাম আওযায়ী (রহ.) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কোন কিতাব? আমি কিতাবটি তাঁকে দিলাম। তিনি একটি মাসয়ালা দেখলেন, যাতে আমি লিখেছিলাম, ‘‘নু’মান’’ (এটি ইমাম আবূ হানিফা রহ. এর আসল নাম) বলেছেন। আযান দেয়ার পর তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় কিতাবের শুরু অংশটা পড়লেন। কিতাবটি তিনি জামার হাতার মাঝে রাখলেন। এরপর ইকামাত বললেন এবং নামাজ আদায় করলেন।
নামায শেষে তিনি কিতাবটি পড়া শুরু করলেন। কিতাবটি শেষ করে, তিনি বললেন, হে খোরাসানী! (আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক), এই ‘‘নু’মান’’ বিন সাবেত কে? আমি বললাম, একজন শায়েখ, যার সঙ্গে আমি ইরাকে সাক্ষাৎ করেছি। ইমাম আওযায়ী (রহ.) বললেন, তিনি অনেক বড় শায়খ!! তার কাছে যাও এবং আরও ইলম হাসিল করো। আমি বললাম, তিনি হলেন, ইমাম আবূ হানিফা! যার কাছে যেতে আপনি (ইতিপূর্বে) নিষেধ করেছিলেন।
❏ وزاد الحافظ الدين الكردرى فى مناقبه 45 من رواية أخرى من كلام ابن المبارك نفسه، قال ((ثم التقينا بمكة، فرأيت الأوزاعى يجارى أبا حنيفة فى تلك المسائل، والإمام يكشف له بأكثر مما كتبت عنه، فلما افترقا قلت للأوزاعى : كيف رأيته؟ قال : غبطت الرجل بكثرة علمه ووفور عقله، وأستغفر الله تعالى، لقد كنت فى غلط ظاهر، الزم الرجل فأنه بخلاف ما بلغنى عنه ))
❏ হাফিজুদ্দিন কারদারী (রহ.) তার মানাকিবে এ সম্পর্কিত ইবনুল মুবারক (রহ.) এর অপর একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহ.) বলেন, অতঃপর আমি ইমাম আওযায়ী (রহ.) এর সঙ্গে ‘মক্কায়’ সাক্ষাৎ করলাম। ইমাম আওযায়ী (রহ.) কে দেখলাম, তিনি ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) এর সাথে উক্ত মাসায়ালাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) মাসয়ালাগুলো আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরলেন। তারা দু’জন যখন পৃথক হলেন, আমি ইমাম আওযায়ী (রহ.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, তাঁকে (ইমাম আবূ হানিফা রহ.)কে ) কেমন মনে হলো? তিনি বললেন, ‘‘আমি তাঁর ইলমের আধিক্য ও প্রচণ্ড বুদ্ধিমত্তা দেখে ঈর্ষা বোধ করছি। সেই সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তাঁর সম্পর্কে আমি সুস্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিলাম। লোকমুখে তাঁর সম্পর্কে যা শুনেছি, তিনি এর সম্পূর্ণ বিপরীত।
❏ হাফিজুদ্দিন কারদারী (রহ.) তার মানাকিবে এ সম্পর্কিত ইবনুল মুবারক (রহ.) এর অপর একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহ.) বলেন, অতঃপর আমি ইমাম আওযায়ী (রহ.) এর সঙ্গে ‘মক্কায়’ সাক্ষাৎ করলাম। ইমাম আওযায়ী (রহ.) কে দেখলাম, তিনি ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) এর সাথে উক্ত মাসায়ালাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইমাম আবূ হানিফা (রহ.) মাসয়ালাগুলো আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরলেন। তারা দু’জন যখন পৃথক হলেন, আমি ইমাম আওযায়ী (রহ.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, তাঁকে (ইমাম আবূ হানিফা রহ.)কে ) কেমন মনে হলো? তিনি বললেন, ‘‘আমি তাঁর ইলমের আধিক্য ও প্রচণ্ড বুদ্ধিমত্তা দেখে ঈর্ষা বোধ করছি। সেই সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তাঁর সম্পর্কে আমি সুস্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিলাম। লোকমুখে তাঁর সম্পর্কে যা শুনেছি, তিনি এর সম্পূর্ণ বিপরীত।
❀ বি. দ্র. : ইমাম আওযায়ী (রহ.) একজন বিখ্যাত মুহাদ্দীস ছিলেন, যার থেকে ইমাম বুখারী ও সুনানে আরবায়া সহ অসংখ্য মুহাদ্দীসগণ তার সূত্রে বর্ণনা গ্রহণ করেছেন।
এতবড় একজন মুহাদ্দীসের যদি এই অবস্থা হতে পারে, তাহলে উপমহাদেশের লা-মাযহাবীদের কথিত শায়খদের দূরাবস্থা দেখে তেমন একটা কষ্ট লাগার কথা না কিন্তু তারা এই সব ঘটনা দেখার পরেও শিক্ষা অর্জন করছে না, দেখে আমরা খুবই মর্মাহত।
এতবড় একজন মুহাদ্দীসের যদি এই অবস্থা হতে পারে, তাহলে উপমহাদেশের লা-মাযহাবীদের কথিত শায়খদের দূরাবস্থা দেখে তেমন একটা কষ্ট লাগার কথা না কিন্তু তারা এই সব ঘটনা দেখার পরেও শিক্ষা অর্জন করছে না, দেখে আমরা খুবই মর্মাহত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন